ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইফতার পার্টিতে গিয়েও বিএনপি আল্লাহ-রাসুলের নাম না নিয়ে আ.লীগের গীবত গায় : প্রধানমন্ত্রী

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৩:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ মার্চ ২০২৪
  • 125

সিনিয়র রিপোর্টার : আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ মানুষের পাশে দাঁড়াতে জানে। আওয়ামী লীগ যখন মানুষকে ইফতার বিতরণ করছে, তখন যারা প্রতিনিয়ত আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে সরাতে চায়, উৎখাত করতে চায়, অগ্নিসন্ত্রাস করে তারা মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে নিজেরা ইফতার পার্টি করছে। সেই ইফতার পার্টিতে গিয়েও বিএনপি আল্লাহ-রাসুলের নাম না নিয়ে আওয়ামী লীগের গীবত গায়। কবে আওয়ামী লীগকে উৎখাত করবে সেই পরিকল্পনা করে। তারা কিভাবে ভুলে যায় যে, আওয়ামী লীগ তো মানুষের পাশে আছে।

সোমবার (১৮ মার্চ) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মদিন উপলক্ষে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ইফতার পার্টি করব না, এই খাবার সাধারণ মানুষের মধ্যে বিলিয়ে দেব। সারা বাংলাদেশে একমাত্র আওয়ামী লীগ এবং আমাদের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও আমাদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার বিলি করছেন। আপনারা খেয়ে দেয়ে মাইক একটা লাগিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎপাত করবেন। আওয়ামী লীগের অপরাধটা কী, এ দেশ স্বাধীন করেছে, সেটা অপরাধ? আওয়ামী লীগের অপরাধটা কী? গরীব মানুষের পাশে দাঁড়ায়, দেশটা আজ উন্নত করেছে, সেটাই কি অপরাধ? তারা যে গণতন্ত্রের কথা বলে, আমরা কিন্তু গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছি।

শেখ হাসিনা বলেন, তারা তোতা পাখির মতো বলে যাচ্ছে, গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে। এ দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ, গণতন্ত্র দিয়েছে আওয়ামী লীগ। আজকে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার আছে বলেই কথা বলতে পারে। এই যে এতগুলো টেলিভিশন কে দিয়েছে? আওয়ামী লীগ সরকার। গণতন্ত্রের কথা বলে তারা তো দেয় নাই, একটাই টেলিভিশন ছিল, একটাই রেডিও ছিল, তারা নিজেরাই ব্যবহার করত। আর মাত্র কয়েকটা পত্রিকা ছিল। আর আজ হাজার হাজার পত্রিকা। প্রায় অর্ধশত টেলিভিশন, রেডিও আমাদের হয়ে গেছে। যার যার ইচ্ছা মতো টকশো করছে কথা বলে যাচ্ছে। সব কথা বলে যদি বলে যে কথা বলতে পারি না, তাহলে কোথায় যাব আমরা?

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ২০০১ সালের পহেলা অক্টোবরের নির্বাচনের দিন থেকে আওয়ামী লীগের ওপর যে অত্যাচার, যে নির্যাতন করছে, সে কথা মানুষ বলবে কী করে। জিয়াউর রহমানের দিন থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত নির্যাতনের শিকার, তার আগে আইয়ুব খানের আমল থেকে নির্যাতন। এমনকি লিয়াকত আলীর সময়ও কেউ রেহাই পায়নি। আওয়ামী লীগের জন্মের পর থেকেই বারবার নির্যাতন। আজকে দেশে মানুষ যদি কিছু পেয়ে থাকে তাহলে আওয়ামী লীগের হাত থেকেই পেয়েছে। স্বাধীনতা পেয়েছে, গণতন্ত্র পেয়েছে,গণতান্ত্রিক অধিকার পেয়েছে, আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। 

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

নিহত আলিফের চট্টগ্রামের বাড়িতে মাতম

ইফতার পার্টিতে গিয়েও বিএনপি আল্লাহ-রাসুলের নাম না নিয়ে আ.লীগের গীবত গায় : প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় ০৩:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ মার্চ ২০২৪

সিনিয়র রিপোর্টার : আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ মানুষের পাশে দাঁড়াতে জানে। আওয়ামী লীগ যখন মানুষকে ইফতার বিতরণ করছে, তখন যারা প্রতিনিয়ত আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে সরাতে চায়, উৎখাত করতে চায়, অগ্নিসন্ত্রাস করে তারা মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে নিজেরা ইফতার পার্টি করছে। সেই ইফতার পার্টিতে গিয়েও বিএনপি আল্লাহ-রাসুলের নাম না নিয়ে আওয়ামী লীগের গীবত গায়। কবে আওয়ামী লীগকে উৎখাত করবে সেই পরিকল্পনা করে। তারা কিভাবে ভুলে যায় যে, আওয়ামী লীগ তো মানুষের পাশে আছে।

সোমবার (১৮ মার্চ) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মদিন উপলক্ষে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ইফতার পার্টি করব না, এই খাবার সাধারণ মানুষের মধ্যে বিলিয়ে দেব। সারা বাংলাদেশে একমাত্র আওয়ামী লীগ এবং আমাদের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও আমাদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার বিলি করছেন। আপনারা খেয়ে দেয়ে মাইক একটা লাগিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎপাত করবেন। আওয়ামী লীগের অপরাধটা কী, এ দেশ স্বাধীন করেছে, সেটা অপরাধ? আওয়ামী লীগের অপরাধটা কী? গরীব মানুষের পাশে দাঁড়ায়, দেশটা আজ উন্নত করেছে, সেটাই কি অপরাধ? তারা যে গণতন্ত্রের কথা বলে, আমরা কিন্তু গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছি।

শেখ হাসিনা বলেন, তারা তোতা পাখির মতো বলে যাচ্ছে, গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে। এ দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ, গণতন্ত্র দিয়েছে আওয়ামী লীগ। আজকে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার আছে বলেই কথা বলতে পারে। এই যে এতগুলো টেলিভিশন কে দিয়েছে? আওয়ামী লীগ সরকার। গণতন্ত্রের কথা বলে তারা তো দেয় নাই, একটাই টেলিভিশন ছিল, একটাই রেডিও ছিল, তারা নিজেরাই ব্যবহার করত। আর মাত্র কয়েকটা পত্রিকা ছিল। আর আজ হাজার হাজার পত্রিকা। প্রায় অর্ধশত টেলিভিশন, রেডিও আমাদের হয়ে গেছে। যার যার ইচ্ছা মতো টকশো করছে কথা বলে যাচ্ছে। সব কথা বলে যদি বলে যে কথা বলতে পারি না, তাহলে কোথায় যাব আমরা?

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ২০০১ সালের পহেলা অক্টোবরের নির্বাচনের দিন থেকে আওয়ামী লীগের ওপর যে অত্যাচার, যে নির্যাতন করছে, সে কথা মানুষ বলবে কী করে। জিয়াউর রহমানের দিন থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত নির্যাতনের শিকার, তার আগে আইয়ুব খানের আমল থেকে নির্যাতন। এমনকি লিয়াকত আলীর সময়ও কেউ রেহাই পায়নি। আওয়ামী লীগের জন্মের পর থেকেই বারবার নির্যাতন। আজকে দেশে মানুষ যদি কিছু পেয়ে থাকে তাহলে আওয়ামী লীগের হাত থেকেই পেয়েছে। স্বাধীনতা পেয়েছে, গণতন্ত্র পেয়েছে,গণতান্ত্রিক অধিকার পেয়েছে, আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ।