ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অপকর্মের সব রেকর্ড আছে, বেশি কথা বললে ফাঁস করে দেব : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০২:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ মার্চ ২০২৪
  • 112

সিনিয়র রিপোর্টার : বিএনপি নেতাদের হুঁশিয়ারি জানিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির দু-একজন নেতাকে ঘন ঘন প্রেস কনফারেন্স করতে দেখা যাচ্ছে। বিএনপির অনেক নেতার ‘অপকর্মের রেকর্ড’ সরকারের কাছে আছে। নির্বাচনের আগে এসব নেতা সরকারের সঙ্গে লাইন দিয়েছেন। কিন্তু হিসাবে মিলেনি বলে তারা এখন গণমাধ্যমে নানা কথা বলছেন। বেশি কথা বললে সেগুলো  ফাঁস করে দেওয়া হবে।

শুক্রবার (২২ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে মূলত বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে। যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধাচরণ করেছে, তারাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। আজকে দেশ যখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে, সমগ্র পৃথিবী যখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করছে, তখনই বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সেই রাজনৈতিক অপশক্তি আবারও দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতিকে ভেস্তে দেওয়ার চেষ্টা করছে। দেশকে পেছনে নিয়ে যাওয়ার জন্য ষড়যন্ত্র করছে। এজন্য তারা (বিএনপি) ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’ বলে স্লোগান দেয়। অর্থাৎ, তারা (বিএনপি) বাংলাদেশকে পেছনে নিয়ে যেতে চাচ্ছে।’

ড. ইউনূসের প্রতি ইঙ্গিত করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি দেশের গণতন্ত্রকে বারবার ধ্বংস করতে চেয়েছে। গত নির্বাচনের আগেও তারা দেশের গণতন্ত্রকে বারবার ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে নির্বাচনকে প্রতিহত করার ডাক দিয়েছে। কিন্তু তারা নির্বাচন প্রতিহত করতে পারেনি। সেই রাজনৈতিক অপশক্তির (বিএনপি) সঙ্গে কিছু ব্যক্তিবিশেষও যুক্ত হয়েছেন- যিনি (ড. ইউনূস) দেশের মানুষের দুঃখ-দুর্দশা নিয়ে চিন্তিত নয়, যিনি (ড. ইউনূস) দেশকে পৃথিবীর সামনে একটি দরিদ্র দেশ এবং পিছিয়ে পড়া দেশ হিসেবে উপস্থাপন করে পুরষ্কার গ্রহণ করেন।’

বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘দেশে যখন বন্যা হয় তখন ড. ইউনূসকে দেখা যায় না। দেশে যখন মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করা হয়, তখন তার কোনো বক্তব্য শোনা যায় না। দেশে যখন কোনো দুর্যোগ হয়, তখন তিনি বিদেশে ব্যস্ত থাকেন পুরস্কার নেওয়ার জন্য। পৃথিবীতে যত ধরনের পুরষ্কার আছে সব জায়গায় তার লবিস্টরা যোগাযোগ করে পুরষ্কার নিয়ে আসে। যাকে দেশের কোনো কাজে পাওয়া যায় না, তাকে যে এরকম পুরষ্কার দিয়ে বেড়ায় এটি অত্যন্ত হাস্যকর।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি এবং জামায়াত নির্বাচনকে ভণ্ডুল করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু তাদের সেই অপচেষ্টা ভেস্তে গেছে। দেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠ এবং আন্তর্জাতিক মানের উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সে কারণে পৃথিবীর ৮০টি রাষ্ট্রপ্রধান শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও শেখ হাসিনাকে চিঠি লিখে অভিনন্দন জানিয়েছে। পৃথিবীর ৩২টি আন্তর্জাতিক সংস্থা শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে।’

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

অপকর্মের সব রেকর্ড আছে, বেশি কথা বললে ফাঁস করে দেব : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেট সময় ০২:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ মার্চ ২০২৪

সিনিয়র রিপোর্টার : বিএনপি নেতাদের হুঁশিয়ারি জানিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির দু-একজন নেতাকে ঘন ঘন প্রেস কনফারেন্স করতে দেখা যাচ্ছে। বিএনপির অনেক নেতার ‘অপকর্মের রেকর্ড’ সরকারের কাছে আছে। নির্বাচনের আগে এসব নেতা সরকারের সঙ্গে লাইন দিয়েছেন। কিন্তু হিসাবে মিলেনি বলে তারা এখন গণমাধ্যমে নানা কথা বলছেন। বেশি কথা বললে সেগুলো  ফাঁস করে দেওয়া হবে।

শুক্রবার (২২ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে মূলত বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে। যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধাচরণ করেছে, তারাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। আজকে দেশ যখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে, সমগ্র পৃথিবী যখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করছে, তখনই বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সেই রাজনৈতিক অপশক্তি আবারও দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতিকে ভেস্তে দেওয়ার চেষ্টা করছে। দেশকে পেছনে নিয়ে যাওয়ার জন্য ষড়যন্ত্র করছে। এজন্য তারা (বিএনপি) ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’ বলে স্লোগান দেয়। অর্থাৎ, তারা (বিএনপি) বাংলাদেশকে পেছনে নিয়ে যেতে চাচ্ছে।’

ড. ইউনূসের প্রতি ইঙ্গিত করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি দেশের গণতন্ত্রকে বারবার ধ্বংস করতে চেয়েছে। গত নির্বাচনের আগেও তারা দেশের গণতন্ত্রকে বারবার ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে নির্বাচনকে প্রতিহত করার ডাক দিয়েছে। কিন্তু তারা নির্বাচন প্রতিহত করতে পারেনি। সেই রাজনৈতিক অপশক্তির (বিএনপি) সঙ্গে কিছু ব্যক্তিবিশেষও যুক্ত হয়েছেন- যিনি (ড. ইউনূস) দেশের মানুষের দুঃখ-দুর্দশা নিয়ে চিন্তিত নয়, যিনি (ড. ইউনূস) দেশকে পৃথিবীর সামনে একটি দরিদ্র দেশ এবং পিছিয়ে পড়া দেশ হিসেবে উপস্থাপন করে পুরষ্কার গ্রহণ করেন।’

বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘দেশে যখন বন্যা হয় তখন ড. ইউনূসকে দেখা যায় না। দেশে যখন মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করা হয়, তখন তার কোনো বক্তব্য শোনা যায় না। দেশে যখন কোনো দুর্যোগ হয়, তখন তিনি বিদেশে ব্যস্ত থাকেন পুরস্কার নেওয়ার জন্য। পৃথিবীতে যত ধরনের পুরষ্কার আছে সব জায়গায় তার লবিস্টরা যোগাযোগ করে পুরষ্কার নিয়ে আসে। যাকে দেশের কোনো কাজে পাওয়া যায় না, তাকে যে এরকম পুরষ্কার দিয়ে বেড়ায় এটি অত্যন্ত হাস্যকর।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি এবং জামায়াত নির্বাচনকে ভণ্ডুল করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু তাদের সেই অপচেষ্টা ভেস্তে গেছে। দেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠ এবং আন্তর্জাতিক মানের উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সে কারণে পৃথিবীর ৮০টি রাষ্ট্রপ্রধান শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও শেখ হাসিনাকে চিঠি লিখে অভিনন্দন জানিয়েছে। পৃথিবীর ৩২টি আন্তর্জাতিক সংস্থা শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে।’