অনলাইন ডেক্স : চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকায় এসেছেন ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগুয়েল ওয়াংচুক। সোমবার (২৫ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে বিশেষ ফ্লাইটে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন তিনি। বিমানবন্দরে ভুটানের রাজাকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেয়া হয়। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে রাষ্ট্রীয় অতিথি হিসেবে স্বাগত জানান।
মহান মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে প্রথম স্বীকৃতি দিয়েছিল বন্ধুরাষ্ট্র ভুটান। সময়ে-অসময়ে বন্ধুত্বের হাত বাড়ানো দেশটির সর্বোচ্চ নেতৃত্ব আবারও এলেন বাংলাদেশে। প্রায় এক যুগ পর স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের আনুষ্ঠানিকতায় যোগ দিতে বাংলাদেশ সফরে এসেছেন ভুটানের রাজা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন প্রতিবেশী দেশটির রাজা। এ সময় দ্বিপক্ষীয় নানা বিষয়ে আলোচনা হবে। যার মধ্যে গুরুত্ব পাবে স্বাস্থ্যখাত, আইসিটি ও পর্যটনখাত, কুড়িগ্রামে বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি, ট্রানজিট চুক্তি এবং বিদ্যুৎ খাতে ভারতকে সঙ্গে নিয়ে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিনিময়ে ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতার প্রস্তাব।
এছাড়া ভুটানের সঙ্গে নতুন করে তিনটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে। সেগুলো হলো- ভুটানের থিম্পুতে একটি বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট প্রতিষ্ঠা, কুড়িগ্রামে ভুটানের জন্য বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা এবং ভোক্তা সুরক্ষায় প্রযুক্তিগত সহযোগিতা। এ ছাড়া সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা বিষয়ে বিদ্যমান চুক্তি নবায়ন হবে।
ভুটানের রাজার সফরে দেশটিকে বাংলাদেশ সরকার কিছু উপহার দেবে। এর মধ্যে আগামী বছর থেকে ভুটানের শিক্ষার্থীদের জন্য বাংলাদেশের সরকারি মেডিকেল কলেজগুলো এমবিবিএস কোর্সে বরাদ্দকৃত বার্ষিক আসন সংখ্যা ২২ থেকে ৩০-এ উন্নীতকরণ করা হবে।
এছাড়া প্রতি বছর ভুটানের ফরেন সার্ভিস অফিসারদের জন্য বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রশিক্ষণের জন্য দুটি আসন বরাদ্দ করা হবে। এর বাইরে বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমি ভুটানে একটি কূটনৈতিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় কারিগরি সহযোগিতা দেবে। পাশাপাশি বাংলাদেশ এগ্রিকালচার রিসার্চ কাউন্সিলে ভুটানের কৃষিবিষয়ক কর্মকর্তাদের বিভিন্ন মেয়াদে তিন বছরব্যাপী প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।