অনলাইন ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে আবারও বাংলাদেশ প্রসঙ্গ উঠে এসেছে উল্লেখ করে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, গণতন্ত্র এগিয়ে নেওয়াই প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শীর্ষ অগ্রাধিকারগুলোর মধ্যে একটি। এই বিষয়টি বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে বিভিন্ন আলোচনায়ও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সময় বুধবার (২৭ মার্চ) নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ব্রিফিংয়ে গণতান্ত্রিক শাসন জোরদার ও মানবাধিকার রক্ষায় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সাম্প্রতিক বিবৃতির আলোকে বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র ঠিক কী পদক্ষেপ নিতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের জনগণকে অভিনন্দন জানিয়ে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা জোরদার ও মানবাধিকার রক্ষায় জনগণের পাশে থাকার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
বাংলাদেশে এখন কর্তৃত্ববাদী শাসন চলছে, গণতন্ত্র এবং আইনের শাসনের অভাবে দেশের জনগণ নির্যাতিত হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে বাইডেন প্রশাসন কী ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে মিলার বলেন, বাংলাদেশ ইস্যুতে সুনির্দিষ্ট কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে সে বিষয়ে পর্যালোচনা করে বলার মতো আমার হাতে এখন কিছু নেই। গণতন্ত্রকে এগিয়ে নেওয়াই প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শীর্ষ অগ্রাধিকারগুলোর মধ্যে একটি এবং অবশ্যই পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনও জানিয়েছেন, এটিও তার কাছে শীর্ষ অগ্রাধিকার। আমরা বাংলাদেশ সরকারের সাথে আমাদের বিভিন্ন কথোপকথনে এই বিষয়টি স্পষ্ট করে দিয়েছি। অবশ্যই আপনিও – আপনি এবং আমি (বাংলাদেশের) নির্বাচনের আগে বেশ কয়েকবার এই বিষয়ে কথা বলেছিলাম।
ম্যাথিউ মিলার বলেন, বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে প্রায় সময়ই আমরা এ ইস্যুতে কথা বলেছি। বিষয়টি ছিল অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন আয়োজন নিয়ে। আমরা বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন দেখতে চেয়েছিলাম। বাংলাদেশে অবাধ, পূর্ণাঙ্গ এবং মুক্ত গণতন্ত্র বাস্তবায়নে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।