অনলাইন ডেস্ক : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশ যুদ্ধ নয়, শান্তির পক্ষে এবং আমরা চাই, ইরান-ইসরাইল উত্তেজনা নিরসনে যেসব রাষ্ট্রের ভূমিকা রাখার কথা, তারা কার্যকর ভূমিকা নিক এবং গাজায় ইসরাইলি হত্যাযজ্ঞ বন্ধ হোক। সন্ধ্যায় রাজধানীতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সাংবাদিকরা সম্প্রতি সিরিয়ার দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে হামলার বদলা হিসেবে শনিবার রাতে তেল আবিব, পশ্চিম জেরুজালেমসহ ইসরাইল জুড়ে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি এ কথা বলেন। একইসঙ্গে মন্ত্রী ড. হাছান বলেন, ইসরাইল সিরিয়ায় ইরানি দূতাবাসে হামলা করায় ইরান এ আক্রমণের সুযোগ পেয়েছে, অন্যথায় এটি হতো না, ইরান ‘রিটালিয়েট’ করেছে-ইরানের বক্তব্য তাই।
তিনি বলেন, আমরা আশা করব, যেসব রাষ্ট্রের ভূমিকা রাখার কথা, তারা ইরান-ইসরাইল উত্তেজনা নিরসনে এবং গাজায় যে নির্বিচারে মানুষ হত্যা হচ্ছে, অবিলম্বে সেই হত্যাযজ্ঞ বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেবে। আমরা কখনোই যুদ্ধ-বিগ্রহের পক্ষে নই, আমরা শান্তির পক্ষে।
এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তদের আরেক প্রশ্নে অপহৃত বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ উদ্ধার বিষয়ে তিনি বলেন, সরকার ও সংশ্লিষ্টদের সর্বাত্মক তৎপরতায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে জিম্মি নাবিক ও জাহাজ নিরাপদে উদ্ধার হয়েছে। জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের দিকে ১০০ নটিক্যাল মাইল এগিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর সহযাত্রী হয়েছে। সবার পাশাপাশি কেএসআরঅএম গ্রুপকেও ধন্যবাদ দেই, তারাও অত্যন্ত সক্রিয় ছিল।
এ সময় দক্ষিণ সীমান্তে মিয়ানমারের আরও ৯ বিজিপি সদস্যের দেশে প্রবেশ নিয়ে মন্ত্রী বলেন পূর্বের ১৮০ জনসহ সবাইকে ফেরত পাঠানো নিয়ে কাজ চলছে, মায়ানমার নৌপথের কথা বলেছে। রোববার বিকালে রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত করেন পাঁচদিনের বাংলাদেশ সফরে আসা এন্টিগা ও বারবুডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ই. পি. শেত গ্রিন (E. P. Chet Greene)।
বৈঠক বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কোন্নয়ন ও বহুপাক্ষিক সহযোগিতার নানা দিক নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তাদের পর্যটন খাত অত্যন্ত উন্নত। আমাদের পর্যটন বিভাগের সঙ্গে ‘টেকনিক্যাল কো-অপারেশনে’র মাধ্যমে এ খাতে প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সহযোগিতার সম্ভাবনার কথা হয়েছে।