ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভয়ংকর মাদক ইয়াবার বিকল্প হিসেবে সারাদেশে ছড়াচ্ছে ব্যথানাশক ট্যাবলেট ট্যাপেন্টাডল

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০২:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪
  • 129
অনলাইন ডেস্ক :  ভয়ংকর মাদক ইয়াবার বিকল্প হিসেবে ছড়িয়ে পড়ছে ব্যথানাশক ট্যাবলেট ট্যাপেন্টাডল। পঞ্চগড়ের বোদার বড়শশী সীমান্ত এখন এই ট্যাবলেট পাচারের নিরাপদ রুট। পুলিশের অভিযান ও মামলা দিয়েও নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে না এই মাদক। গত তিন মাসে বিভিন্ন এলাকায় অভিযানে উদ্ধার করা হয়েছে ৭ হাজার ২০০ ট্যাবলেট। পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার মাড়েয়া বাজার থেকে সম্প্রতি ২ হাজার ৪০০ ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মাড়েয়া বাজারের দুই কিলোমিটার উত্তরের বড়শশী সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে আসে এই ট্যাবলেট। মাদকাসক্তরা ব্যথানাশক এই ট্যাবলেট ইয়াবার বিকল্প হিসেবে ব্যবহার শুরু করায় দেশে উৎপাদন নিষিদ্ধ করা হয়। ভারতে ১৪-১৫ টাকায় বিক্রি হলেও দেশে বিক্রি হয় প্রতিটি ২০০ টাকা।স্থানীয়রা জানায়, এলাকায় দেখা যাচ্ছে, ১৪ থেকে ১৫ বছরের কিশোরেরা এখন মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে। চিকিৎসকেরা জানান, ট্যাপেন্টাডল সেবনে মানুষ বিষন্ন হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে দেখা দেয় আত্মহত্যার প্রবণতা।
এ বিষয়ে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপতালের মেডিসিন ও হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. এস.এম. মাহাবুব উল আলম জানান, ইয়াবা ও হিরোইনের বিকল্প হিসেবে ব্যথানাশক ট্যাপেন্টাডল সেবনকারীরা আমাদের কাছে আসছেন। এর অনেক সাইড ইফেক্ট রয়েছে। লিভার, কিডনির সমস্যা হতে পারে। দীর্ঘদিন সেবনের ফলে বিষন্নতা, আত্মহত্যার প্রবণতা, কাজে অনীহা দেখা দিতে পারে। ভয়ংকর এই মাদক নির্মূলে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে পুলিশ। গত তিন মাসে ট্যাপেন্টাডলসহ ৫৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পঞ্চগড় জেলা পুলিশ সুপার এস এম সিরাজুল হুদা বলেন, ‘সীমান্ত দিয়ে যে কোনোভাবে ট্যাপেন্টাডল আসে। এটি সহজলভ্য এবং দামেও কম। তাই মাদকসেবীরা এটা ইয়াবার বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করছে। আমরা তালিকা ধরে বিশেষ অভিযান চালাচ্ছি।’ দ্রুত এই মাদক নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে পঞ্চগড় হয়ে অন্যান্য জেলায়ও এ ট্যাবলেট ব্যবহারের প্রবণতা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

ভয়ংকর মাদক ইয়াবার বিকল্প হিসেবে সারাদেশে ছড়াচ্ছে ব্যথানাশক ট্যাবলেট ট্যাপেন্টাডল

আপডেট সময় ০২:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪
অনলাইন ডেস্ক :  ভয়ংকর মাদক ইয়াবার বিকল্প হিসেবে ছড়িয়ে পড়ছে ব্যথানাশক ট্যাবলেট ট্যাপেন্টাডল। পঞ্চগড়ের বোদার বড়শশী সীমান্ত এখন এই ট্যাবলেট পাচারের নিরাপদ রুট। পুলিশের অভিযান ও মামলা দিয়েও নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে না এই মাদক। গত তিন মাসে বিভিন্ন এলাকায় অভিযানে উদ্ধার করা হয়েছে ৭ হাজার ২০০ ট্যাবলেট। পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার মাড়েয়া বাজার থেকে সম্প্রতি ২ হাজার ৪০০ ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মাড়েয়া বাজারের দুই কিলোমিটার উত্তরের বড়শশী সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে আসে এই ট্যাবলেট। মাদকাসক্তরা ব্যথানাশক এই ট্যাবলেট ইয়াবার বিকল্প হিসেবে ব্যবহার শুরু করায় দেশে উৎপাদন নিষিদ্ধ করা হয়। ভারতে ১৪-১৫ টাকায় বিক্রি হলেও দেশে বিক্রি হয় প্রতিটি ২০০ টাকা।স্থানীয়রা জানায়, এলাকায় দেখা যাচ্ছে, ১৪ থেকে ১৫ বছরের কিশোরেরা এখন মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে। চিকিৎসকেরা জানান, ট্যাপেন্টাডল সেবনে মানুষ বিষন্ন হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে দেখা দেয় আত্মহত্যার প্রবণতা।
এ বিষয়ে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপতালের মেডিসিন ও হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. এস.এম. মাহাবুব উল আলম জানান, ইয়াবা ও হিরোইনের বিকল্প হিসেবে ব্যথানাশক ট্যাপেন্টাডল সেবনকারীরা আমাদের কাছে আসছেন। এর অনেক সাইড ইফেক্ট রয়েছে। লিভার, কিডনির সমস্যা হতে পারে। দীর্ঘদিন সেবনের ফলে বিষন্নতা, আত্মহত্যার প্রবণতা, কাজে অনীহা দেখা দিতে পারে। ভয়ংকর এই মাদক নির্মূলে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে পুলিশ। গত তিন মাসে ট্যাপেন্টাডলসহ ৫৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পঞ্চগড় জেলা পুলিশ সুপার এস এম সিরাজুল হুদা বলেন, ‘সীমান্ত দিয়ে যে কোনোভাবে ট্যাপেন্টাডল আসে। এটি সহজলভ্য এবং দামেও কম। তাই মাদকসেবীরা এটা ইয়াবার বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করছে। আমরা তালিকা ধরে বিশেষ অভিযান চালাচ্ছি।’ দ্রুত এই মাদক নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে পঞ্চগড় হয়ে অন্যান্য জেলায়ও এ ট্যাবলেট ব্যবহারের প্রবণতা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা।