ঢাকা , মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৬ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রাণিসম্পদের বিতর্কিত আজিজ বিভাগীয় মামলার দায় মুক্তির পথে

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৭:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ মে ২০২৪
  • 100

অনলাইন ডেস্ক : অবশেষে আগামী ১২ই মে রবিবার দুপুরে বিভাগীয় মামলার দ্বায় থেকে মুক্তি পাচ্ছেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের নানান অপকর্মের নাটের গুরু ডাঃ আজিজুল ইসলাম। এখন দরকার শুধুমাত্র সময়ের। নানান অপকর্মের হোতা ডাঃ আজিজুল ইসলাম মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বিভাগীয় মামলা থেকে এ মুক্তি পেতে যাচ্ছে। এমন গুঞ্জন টক অফ দ্যা ডিএলএস। বার বার অপকর্ম করেও বিভাগীয় মামলা থেকে পার পাওয়ার বিষয়টা অনেকেই মেনে নিতে পারছেন না ।
সূত্র জানায় আগামীকাল ১২ই মে রবিবার দুপুর দুইটাই মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন তার বিভাগীয় মামলায় লোক দেখান ব্যক্তিগত শুনানি গ্রহণ করবেন বলে জানা যায়। গত ৫ মে মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শেখ কামরুল হাসান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ডাক্তার আজিজুল ইসলামকে মন্ত্রণালয়ের সচিবের কক্ষে শুনানির জন্য তলব করার বিষয়টি জানানো হয়েছে।
অপর একটি সূত্র জানায় বিভাগীয় মামলার দ্বায় থেকে ডা. আজিজুল ইসলামকে মুক্তি দিতে শুনানীর প্রশ্ন এবং উত্তরও থাকবে পূর্ব নির্ধারিত। শুধুমাত্র ডাক্তার আজিজুল ইসলামকে বিভাগীয় মামলা থেকে দায়ী মুক্তি বিষয়টা অভ্যন্তরীনভাবে চূড়ান্ত হওয়ার পর অনেকটা আনুষ্ঠানিকতা দেখানোর জন্য সচিবের এই শুনানিতে তাকে ডাকা হয়েছে বলে জানাযায়।
প্রণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা এ বিষয় নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। একইসাথে প্রণিসম্পদের কয়েকজন কর্মকর্তা মন্ত্রী আব্দুর রহমান ও সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন এর সাথেও এই বিতর্কিত কর্মকর্তা আজিজের কর্মফল অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের বিষয়ে কথা বলে অনুরোধ জানিয়েছেন।
সূত্র জানায় ডাক্তার আজিজুল ইসলাম সাবেক এক প্রভাবশালী মন্ত্রীর নিকট আত্মীয় এবং সরকারের একজন তদবিরবাজ উপসচিবকে সাথে নিয়ে জোর তদবির শুরু করেছে। প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর সাথে দেখা করেছেন তার এই বিষয়ে মুক্তি পাবার জন্য। তবে দফায় দফায় তার দুর্নীতি অনিয়ম এবং স্বেচ্ছাচারিতা স্পষ্ট হওয়া সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষ যদি তাকে সঠিক শাস্তির আওতায় না আনেন তাহলে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের শৃঙ্খলা লঙ্কিত হবে বলে একাধিক কর্মকর্তা জানান।
অন্যদিকে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক এমদাদুল হক এর দায়ের করা মামলায় পুলিশ পক্ষপাতিত্বমুলক ভাবে ডাক্তার আজিজুল ইসলামকে অব্যাহতি দিতে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। এ ঘটনায় প্রতিবাদে পুনতদন্ত দাবি করে মামলার বাদি পক্ষ গত ৩০ এপ্রিল আদালতে না রাজি দাখিল করেন। আদালত মামলাটি পুনরায় তদন্তের জন্য ডিবিকে নির্দেশ দেয়।
চতুর দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা আজিজুল ইসলাম নামসর্বস্ব একটি সুবিধাবাদী সংগঠন করে নিজেই স্বপ্রনদিত ভাবে সংগঠনের মহাসচিব বলে যান। আর যেটির নাম পরিচয় ব্যবহার করে তার নানান তদবির, চান্দাবাজি, ধান্দাবাজি করে আসছেন। এই সকল ব্যাপারে তদন্ত-পূর্বক আজিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি বলে দাবি করেন ডিএলএস সংশ্লিষ্ঠরা।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

প্রাণিসম্পদের বিতর্কিত আজিজ বিভাগীয় মামলার দায় মুক্তির পথে

আপডেট সময় ০৭:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ মে ২০২৪

অনলাইন ডেস্ক : অবশেষে আগামী ১২ই মে রবিবার দুপুরে বিভাগীয় মামলার দ্বায় থেকে মুক্তি পাচ্ছেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের নানান অপকর্মের নাটের গুরু ডাঃ আজিজুল ইসলাম। এখন দরকার শুধুমাত্র সময়ের। নানান অপকর্মের হোতা ডাঃ আজিজুল ইসলাম মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বিভাগীয় মামলা থেকে এ মুক্তি পেতে যাচ্ছে। এমন গুঞ্জন টক অফ দ্যা ডিএলএস। বার বার অপকর্ম করেও বিভাগীয় মামলা থেকে পার পাওয়ার বিষয়টা অনেকেই মেনে নিতে পারছেন না ।
সূত্র জানায় আগামীকাল ১২ই মে রবিবার দুপুর দুইটাই মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন তার বিভাগীয় মামলায় লোক দেখান ব্যক্তিগত শুনানি গ্রহণ করবেন বলে জানা যায়। গত ৫ মে মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শেখ কামরুল হাসান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ডাক্তার আজিজুল ইসলামকে মন্ত্রণালয়ের সচিবের কক্ষে শুনানির জন্য তলব করার বিষয়টি জানানো হয়েছে।
অপর একটি সূত্র জানায় বিভাগীয় মামলার দ্বায় থেকে ডা. আজিজুল ইসলামকে মুক্তি দিতে শুনানীর প্রশ্ন এবং উত্তরও থাকবে পূর্ব নির্ধারিত। শুধুমাত্র ডাক্তার আজিজুল ইসলামকে বিভাগীয় মামলা থেকে দায়ী মুক্তি বিষয়টা অভ্যন্তরীনভাবে চূড়ান্ত হওয়ার পর অনেকটা আনুষ্ঠানিকতা দেখানোর জন্য সচিবের এই শুনানিতে তাকে ডাকা হয়েছে বলে জানাযায়।
প্রণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা এ বিষয় নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। একইসাথে প্রণিসম্পদের কয়েকজন কর্মকর্তা মন্ত্রী আব্দুর রহমান ও সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন এর সাথেও এই বিতর্কিত কর্মকর্তা আজিজের কর্মফল অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের বিষয়ে কথা বলে অনুরোধ জানিয়েছেন।
সূত্র জানায় ডাক্তার আজিজুল ইসলাম সাবেক এক প্রভাবশালী মন্ত্রীর নিকট আত্মীয় এবং সরকারের একজন তদবিরবাজ উপসচিবকে সাথে নিয়ে জোর তদবির শুরু করেছে। প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর সাথে দেখা করেছেন তার এই বিষয়ে মুক্তি পাবার জন্য। তবে দফায় দফায় তার দুর্নীতি অনিয়ম এবং স্বেচ্ছাচারিতা স্পষ্ট হওয়া সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষ যদি তাকে সঠিক শাস্তির আওতায় না আনেন তাহলে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের শৃঙ্খলা লঙ্কিত হবে বলে একাধিক কর্মকর্তা জানান।
অন্যদিকে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক এমদাদুল হক এর দায়ের করা মামলায় পুলিশ পক্ষপাতিত্বমুলক ভাবে ডাক্তার আজিজুল ইসলামকে অব্যাহতি দিতে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। এ ঘটনায় প্রতিবাদে পুনতদন্ত দাবি করে মামলার বাদি পক্ষ গত ৩০ এপ্রিল আদালতে না রাজি দাখিল করেন। আদালত মামলাটি পুনরায় তদন্তের জন্য ডিবিকে নির্দেশ দেয়।
চতুর দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা আজিজুল ইসলাম নামসর্বস্ব একটি সুবিধাবাদী সংগঠন করে নিজেই স্বপ্রনদিত ভাবে সংগঠনের মহাসচিব বলে যান। আর যেটির নাম পরিচয় ব্যবহার করে তার নানান তদবির, চান্দাবাজি, ধান্দাবাজি করে আসছেন। এই সকল ব্যাপারে তদন্ত-পূর্বক আজিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি বলে দাবি করেন ডিএলএস সংশ্লিষ্ঠরা।