ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাবেক সেনাপ্রধান আজিজের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে মুখ খুললেন স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৫:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪
  • 133

অনলাইন ডেস্ক : সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে জানেন না বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জমান খান কামাল। আর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন, যে ভিসানীতি ঘোষণা করা হয়েছিল তার অধীনে জেনারেল আজিজের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়নি। দেয়া হয়েছে অন্য আইনে। মঙ্গলবার (২১ মে) সাংবাদিকদের সঙ্গে পৃথক আলোচনায় এসব  কথা বলেন তারা। পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, জেনারেল আজিজ আহমেদের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি পাবলিক করার আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের মিশনকে জানানো হয়েছিল। সাবেক সেনাপ্রধানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিষয়য়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এখনও এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জানি না, শুধু শুনেছি। তবে মার্কিন সরকার এর আগেও বিভিন্ন দেশে, বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ব্যক্তির ওপর এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানার পরেই মন্তব্য করা যাবে।
 
এদিকে দুর্নীতির অভিযোগে বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। সোমবার (২০ মে) মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। আজিজ আহমেদ অবসরে যাওয়ার প্রায় ৩ বছর পর এ নিষেধাজ্ঞা এলো। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তার (আজিজ আহমেদ) কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহের অবমূল্যায়ন এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান ও প্রক্রিয়ার ওপর জনগণের আস্থা কমেছে। এছাড়া আজিজ আহমেদ তার ভাইকে বাংলাদেশে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য জবাবদিহিতা এড়াতে সহযোগিতা করেন।
 
‘এ সময় তিনি নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপের মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন বলেও জানায় মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর। এছাড়া অন্যায্যভাবে সামরিক খাতে কাজ পাওয়া নিশ্চিত করতে তিনি তার ভাইয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছেন। তিনি নিজের স্বার্থের জন্য সরকারি নিয়োগের বিনিময়ে ঘুষ নিয়েছেন।’
 
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারের ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও আইনের শাসন শক্তিশালী করতে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীকার পুনরায় নিশ্চিত করা হলো। সরকারি সেবা আরও স্বচ্ছ ও নাগরিকদের সেবা লাভের সুযোগ তৈরি, ব্যবসা ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং মুদ্রা পাচার ও অন্যান্য অর্থনৈতিক অপরাধের অনুসন্ধান ও বিচার নিশ্চিতে সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশে দুর্নীতিবিরোধী প্রচেষ্টায় সহায়তা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
 
সাবেক জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদকে ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট, ফরেন অপারেশন অ্যান্ড রিলেটেড প্রোগ্রামস অ্যাপ্রোপ্রিয়েশনস অ্যাক্টের ৭০৩১ (সি) ধারার আওতায় অন্তর্ভুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে পররাষ্ট্র দফতর। এই পদক্ষেপের ফলে আজিজ আহমেদ এবং তার পরিবারের সদস্যরা সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য অযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবেন বলেও জানায় মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর।
 
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ২৫ জুন বাংলাদেশে চিফ অফ আর্মি স্টাফ নিযুক্ত হন আজিজ আহমেদ। তিন বছর দায়িত্ব পালনের পর ২০২১ সালের ২৪ জুন অবসরে যান তিনি। এর আগে তিনি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের মহাপরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক সেনাপ্রধান আজিজের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে মুখ খুললেন স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেট সময় ০৫:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪

অনলাইন ডেস্ক : সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে জানেন না বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জমান খান কামাল। আর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন, যে ভিসানীতি ঘোষণা করা হয়েছিল তার অধীনে জেনারেল আজিজের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়নি। দেয়া হয়েছে অন্য আইনে। মঙ্গলবার (২১ মে) সাংবাদিকদের সঙ্গে পৃথক আলোচনায় এসব  কথা বলেন তারা। পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, জেনারেল আজিজ আহমেদের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি পাবলিক করার আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের মিশনকে জানানো হয়েছিল। সাবেক সেনাপ্রধানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিষয়য়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এখনও এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জানি না, শুধু শুনেছি। তবে মার্কিন সরকার এর আগেও বিভিন্ন দেশে, বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ব্যক্তির ওপর এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানার পরেই মন্তব্য করা যাবে।
 
এদিকে দুর্নীতির অভিযোগে বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। সোমবার (২০ মে) মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। আজিজ আহমেদ অবসরে যাওয়ার প্রায় ৩ বছর পর এ নিষেধাজ্ঞা এলো। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তার (আজিজ আহমেদ) কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহের অবমূল্যায়ন এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান ও প্রক্রিয়ার ওপর জনগণের আস্থা কমেছে। এছাড়া আজিজ আহমেদ তার ভাইকে বাংলাদেশে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য জবাবদিহিতা এড়াতে সহযোগিতা করেন।
 
‘এ সময় তিনি নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপের মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন বলেও জানায় মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর। এছাড়া অন্যায্যভাবে সামরিক খাতে কাজ পাওয়া নিশ্চিত করতে তিনি তার ভাইয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছেন। তিনি নিজের স্বার্থের জন্য সরকারি নিয়োগের বিনিময়ে ঘুষ নিয়েছেন।’
 
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারের ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও আইনের শাসন শক্তিশালী করতে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীকার পুনরায় নিশ্চিত করা হলো। সরকারি সেবা আরও স্বচ্ছ ও নাগরিকদের সেবা লাভের সুযোগ তৈরি, ব্যবসা ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং মুদ্রা পাচার ও অন্যান্য অর্থনৈতিক অপরাধের অনুসন্ধান ও বিচার নিশ্চিতে সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশে দুর্নীতিবিরোধী প্রচেষ্টায় সহায়তা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
 
সাবেক জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদকে ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট, ফরেন অপারেশন অ্যান্ড রিলেটেড প্রোগ্রামস অ্যাপ্রোপ্রিয়েশনস অ্যাক্টের ৭০৩১ (সি) ধারার আওতায় অন্তর্ভুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে পররাষ্ট্র দফতর। এই পদক্ষেপের ফলে আজিজ আহমেদ এবং তার পরিবারের সদস্যরা সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য অযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবেন বলেও জানায় মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর।
 
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ২৫ জুন বাংলাদেশে চিফ অফ আর্মি স্টাফ নিযুক্ত হন আজিজ আহমেদ। তিন বছর দায়িত্ব পালনের পর ২০২১ সালের ২৪ জুন অবসরে যান তিনি। এর আগে তিনি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের মহাপরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন।