অনলাইন ডেস্ক : গতকাল ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ করা হয়। ১৫৬ উপজেলার মধ্যে ২৪ উপজেলায় ভোট হয়েছে ইভিএমে। বাকিগুলোতে ব্যালট বাক্সে ভোটগ্রহণ করা হয়েছে।
দ্বিতীয় ধাপে ৭টি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরা বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়াও ২টি উপজেলায় চেয়ারম্যান, সাধারণ ভাইস চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরা সবাই বিনাভোটে জয়ী হয়েছেন।
ভোট গণনা শেষে রাতে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। এ ব্যাপারে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
সাতক্ষীরা
জেলার তালা, আশাশুনি ও দেবহাটা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে যথাক্রমে ঘোষ সনৎ কুমার, এবিএম মোস্তাকিম ও আল ফেরদাউস আলফা বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২১ মে) রাতে স্ব-স্ব উপজেলা রির্টানিং অফিস থেকে বেসরকারীভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
বেসরকারীভাবে নির্বাচিতদের মধ্যে তালা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ঘোষ সনৎ কুমার কাপ পিরিচ প্রতীক নিয়ে ৪৭ হাজার ৮৪৭ ভোট পেয়েছেন।
আশাশুনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে চিংড়ি মাছ প্রতীক নিয়ে ৩৮ হাজার ১৫ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মোস্তাকিম।
দেবহাটা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে হেলিকপ্টার প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যবসায়ী আল ফেরদাউস আলফা ২৬ হাজার ৩৭৭ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
কুড়িগ্রাম
জেলার তিনটি উপজেলায় বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের তিন নেতা। কুড়িগ্রাম সদরে নির্বাচিত হয়েছেন মঞ্জুরুল ইসলাম রতন প্রাপ্ত ভোট ৫২ হাজার ৪৪, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আমান উদ্দিন আহমেদ পেয়েছেন ২৯ হাজার ৮৩ ভোট।
রাজারহাটে জাহিদ ইকবাল সোহরাওয়ার্দী বাপ্পী। প্রাপ্ত ভোট ৩৭ হাজার ৩৪৩, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আবু নুর মোধ আক্তারুজ্জামান পেয়েছেন ১৮ হাজার ৭৭৩ ভোট।
উলিপুরে সাজাদুর রহমান তালুকদার সাজু। প্রাপ্ত ভোট ৫০ হাজার ৪৬৪, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি গোলাম হোসেন মন্টু পেয়েছেন ১৫ হাজার ৮৪ ভোট।
সংশ্লিষ্ট উপজেলার সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তর ও নিয়ন্ত্রণ কক্ষে প্রেরিত ফলাফল থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
চাঁদপুর
চাঁদপুর সদর, হাজীগঞ্জ ও শাহরাস্তি উপজেলায় পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নির্বাচনে সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে মো. হুমায়ুন কবির, হাজীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীক নিয়ে হেলাল উদ্দিন মিয়াজী ও শাহরাস্তি উপজেলায় ঘোড়া প্রতীক নিয়ে মকবুল হোসেন পাটোয়ারী বেরসকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত তিন উপজেলার ২৮৭টি কেন্দ্রে ইভিএম পদ্ধতিতে টানা ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়। এতে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ২৬ জন প্রার্থী।
এদিন রাতে বেরসকারিভাবে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাখাওয়াত জামিল সৈকত, হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাপস শীল ও শাহরাস্তি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইয়াসির ইকরাম।
বগুড়া
জেলার তিন উপজেলায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আদমদীঘিতে রাজু, দুপচাঁচিয়ায় বিপ্লব ও কাহালুতে সুরুজ।
সংশ্লিষ্ট উপজেলার সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তর ও নিয়ন্ত্রণ কক্ষে প্রেরিত ফলাফল থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
আদমদীঘি উপজেলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম খান রাজু (আনারস) প্রতীকে ৩৯ হাজার ৮৩২ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সাবেক উপজেলা শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক রাশেদুল ইসলাম রাজা মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৩২ হাজার ১২৮ ভোট।
দুপচাঁচিয়ায় উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আহম্মেদুর রহমান বিপ্লব মোটরসাইকেল প্রতীকে ৩৭ হাজার ৫৪৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফজলুল হক প্রামানিক আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ২০ হাজার ৪২৯ ভোট।
কাহালুতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আল হাসিবুল হাসান কবিরাজ সুরুজ আনারস প্রতীকে ৩৮ হাজার ৩৩০ ভোট পেয়ে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৯৪৬ ভোট।
যশোর
জেলার তিন উপজেলায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন শার্শায় সোহরাব হোসেন , ঝিকরগাছায় মো. মনিরুল ইসলাম ও চৌগাছায় মুক্তিযোদ্ধা এস এম হাবিবুর রহমান হাবিব। মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
শার্শায় এবার উপজেলা পরিষদে তিন জনই নতুন মুখ বিজয়ী হয়েছেন। ৩৭ হাজার ৭৩০ ভোট পেয়ে সোহরাব হোসেন (দোয়াত-কলম) শার্শা উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী অহিদুজ্জামান (আনারস) প্রতীকে পেয়েছেন ১২ হাজার ২৯১ ভোট। শার্শায় মোট ভোটকেন্দ্র ছিল ১০২টি। সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নয়ন কুমার রাজ বংশী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ঝিকরগাছায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মনিরুল ইসলাম। ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাংবাদিক সৈয়দ ইমরানুর রশীদ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন জেসমিন সুলতানা। মঙ্গলবার রাতে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নারায়ন চন্দ্র পাল এ তথ্য নিশ্চিত করেন। আনারস প্রতীকে মনিরুল ইসলাম পেয়েছেন ৪০ হাজার ৬শ ৪৩ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সেলিম রেজা ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ১৮ হাজার ৪শ ৪৩ ভোট।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী সাংবাদিক সৈয়দ ইমরানুর রশীদ পেয়েছেন ৪১ হাজার ১শ ৪৯ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তালা প্রতীকের মো. কামরুজ্জামান মিন্টু পেয়েছেন ১৭ হাজার ৯শ ৫৬ ভোট।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী প্রার্থী জেসমিন সুলতানা পেয়েছেন ২৪ হাজার ৪শত ৬৭ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাঁস প্রতীকের আমেনা খাতুন পেয়েছেন ১৬ হাজার ৪শত ৮২ ভোট। ঝিকরগাছা উপজেলায় মোট ভোটার ছিল ২ লক্ষ ৬৩ হাজার ১শত ৬৮ ভোটার। ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন ৬৪ হাজার ৪শত ৯৮ ভোটার যা মোট ভোটারের ২৪ দশমিক ৫১ শতাংশ
চৌগাছা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তৃতীয় বার চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম হাবিবুর রহমান হাবিব। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন নাছিমা খাতুন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হন শামিম রেজা।
ভোটগ্রহণ শেষে সন্ধ্যায় উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা সুষ্মিতা সাহা নির্বাচনের ফল বেসরকারিভাবে ঘোষণা করেন।
এসএস হাবিবুর রহমান এর আগে ৩য় ও ৪র্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জয়ী হন। এবারের নির্বাচনে এসএম হাবিবুর রহমান হাবিব আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৫৬৫ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান উপজেলা ও আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য ড. মোস্তানিছুর রহমান মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ২৮ হাজার ৯৮০ ভোট।
নাছিমা খাতুন হাঁস প্রতীকে ২৬ হাজার ৬০ ভোট পেয়ে প্রথম বার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা ইমামুল হাসান টুটুলের সহধর্মিনী ও সাবেক উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আকলিমা টুটুল লাকি কলস প্রতীকে পেয়েছেন ১৫ হাজার ৩৯০ ভোট।
উপজেলার ৮১ টি কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। এ উপজেলায় ১ পৌরসভা ও ১১ টি ইউনিয়নে মোট ভোটার ১ লাখ ৯৬ হাজার ৪৪২। পুরুষ ভোটার ৯৯ হাজার ২৩৬ এবং নারী ভোটার ৯৭ হাজার ২০৬।
কক্সবাজার
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেও জিততে পারেননি কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জাফর আলম।
দোয়াত কলম মার্কার ফজলুল করিম সাঈদী ৫৬ হাজার ১২২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। সাবেক সংসদ সদস্য ঘোড়া মার্কার প্রার্থী জাফর আলম পেয়েছেন ৫২ হাজার ২৫২ ভোট।
রাঙামাটি
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে রাঙামাটির তিন উপজেলায় বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন কাপ্তাই উপজেলায় মো. নাসির উদ্দিন, রাজস্থলী উপজেলায় উবাচ মারমা ও বিলাইছড়ি উপজেলায় বিরোত্তম তঞ্চঙ্গ্যা।
পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে কাপ্তাই উপজেলায় সুইপ্রু মারমা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিউটি হোসেন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। রাজস্থলী উপজেলায় পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হারাধন কর্মকার ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা মহিলা-লীগের নেত্রী গৌতমী খিয়াং। বিলাইছড়ি উপজেলায় পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে বংকিম তংচঙ্গ্যা ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সুদিপ্তা তংচঙ্গ্যা বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
পিরোজপুর
দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পিরোজপুরে দুটি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নেছারাবাদ উপজেলায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ আব্দুল হক আনারস প্রতীক নিয়ে ৩৮ হাজার ৬শত ১২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোটরসাইকেল প্রতীকের উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুহিদুল ইসলাম পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৫শত ২০ ভোট।
অন্যদিকে কাউখালি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ঘোড়া প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আবু সাঈদ মিঞা ১১ হাজার ২শত ৮৪ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাপ প্রিচ প্রতীকের মনিরুজ্জামান পেয়েছেন ৬ হাজার ১শত ৯৪ ভোট।
সুনামগঞ্জ
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দ্বিতীয় ধাপের সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাচনাবাজার ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল করিম শামীম, ধর্মপাশা উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ মুরাদ।
রেজাউল করিম শামীম মোটরসাইকেল প্রতীকে ২৯ হাজার ১১১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী উপজেলা বিএনপির বহিস্কৃত সভাপতি নুরুল হক আফিন্দী (আনারস প্রতীকে) পেয়েছেন ১৩ হাজার ৬৯৮ ভোট।
ধর্মপাশা উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ মুরাদ। তিনি ঘোড়া প্রতীকে ১৮ হাজার ৮৮৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা সম্পাদিকা নাসরিন সুলতানা দিপা ৭ হাজার ২৪৮ ভোট।
ফরিদপুর
নগরকান্দা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সাবেক সহসম্পাদক কাজী শাহ জামান বাবুল।
আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৩৭ হাজার ২০৯ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান সরদার পেয়েছেন ২৫ হাজার ২৩৭ ভোট।
সালথা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বর্তমান চেয়ারম্যান ওয়াদুদ মাতুব্বর বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৫৪৫ ভোট । নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সালথা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী মো. ওহিদুজ্জামান পেয়েছেন ৫ হাজার ৩৪২ ভোট।
নারায়ণগঞ্জ
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। ঘোড়া প্রতীকে তিনি পেয়েছেন এক লাখ ১৫ হাজার ২৫২ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দোয়াত কলম প্রতীকের প্রার্থী মো. শাহজালাল মিয়া পেয়েছেন ১৩ হাজার ১৩২ ভোট।