ঢাকা , শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বঙ্গবাজার পাইকারি বিপণি বিতানসহ ৪ প্রকল্প উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৪:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ মে ২০২৪
  • 73

সিনিয়র রিপোর্টার : আজ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন ১০ তলা বিশিষ্ট রাজধানীর বঙ্গবাজারে ‘বঙ্গবাজার নগর পাইকারি বিপণী বিতান’, পোস্তগোলা ব্রিজ থেকে রায়েরবাজার স্লুইসগেট গেট পর্যন্ত আট সারির ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক মণি সরণি (ইনার সার্কুলার রিং রোড)’, ধানমন্ডি লেকে ‘নজরুল সরোবর’ এবং শাহবাগে ‘হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী শিশু উদ্যান আধুনিকীকরণ’ উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ভস্মীভূত বঙ্গবাজার নগর পাইকারি বিপনী বিতানের স্থানে ১০তলা বিশিষ্ট আধুনিক বঙ্গবাজার নগর পাইকারি বিপনী বিতান নির্মাণ কাজের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবে পরিণত হচ্ছে।

শনিবার (২৫ মে) সকালে আগুনে পুড়ে যাওয়া বঙ্গবাজার মার্কেট সংলগ্ন আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তিনি। এ সময় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব মুহম্মদ ইব্রাহিম প্রমুখ।

প্রসঙ্গত-২০২৩ সালের ৪ এপ্রিল ঈদের মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে ভয়াবহ আগুনে পুড়ে যায় বঙ্গবাজার। পরদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবাজারে বহুতল ভবন করার বিষয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেছিলেন, ‘বঙ্গবাজার মার্কেটে ১৯৯৫ সালে একবার আগুন লাগে।এরপর আবার ২০১৮ সালে আগুন লাগে। তারপর আমরা এখানে সুপরিকল্পিত মার্কেট করার প্রকল্প গ্রহণ করি। তখন বেশ কিছু লোক বাধা দেয়। শুধু বাধা নয়, একটা রিটও করে। পরে হাইকোর্ট এটাকে স্থগিত করে দেয়।’

১০তলা বিশিষ্ট বঙ্গবাজার নগর পাইকারি বিপনীবিতানে পাঁচটি সাধারণ সিঁড়ি ও ছয়টি অগ্নি প্রস্থান সিঁড়িসহ পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। বিপনী বিতানের প্রতিটি ব্লকের জন্য আলাদা বাহির ও প্রবেশদ্বার থাকবে। ভবনে বৈদ্যুতিক যান্ত্রিক কক্ষ এবং প্রতিটি ব্লকের প্রতি তলায় চারটি করে শৌচাগার থাকবে। ভবনের বেসমেন্টে ১৬৯টি গাড়ি ও ১০৯টি মোটরসাইকেল পার্কিংয়ের সুবিধা থাকবে। এছাড়াও  অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ২ হাজার ৯৬১ জনের সবাইকে বঙ্গবাজার নগর পাইকারি বিপনী বিতানে পুনর্বাসন করা হবে। আগে পুড়ে যাওয়া মার্কেটের ব্যবসায়ীরা ১৭ থেকে ২২ বর্গফুট আয়তনের দোকানে ব্যবসা পরিচালনা করতেন। এখন নতুন বিপনী বিতানে প্রতিটি দোকানের আয়তন হবে ৮০ থেকে ১২০ বর্গফুট।

পোস্তগোলা ব্রিজ থেকে রায়ের বাজার স্ল্যুইসগেট পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের আট লেনের বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ শেখ ফজলুল হক মনি সরণি। ৯৭৪ কোটি ৫৮ লাখ টাকা ব্যয়ের এই প্রকল্পের আওতায় ১০ কিলোমিটার নর্দমা (ড্রেন), ১০ কিলোমিটার পথচারী হাঁটার পথ(ফুটপাত), ৩টি উড়াল সেতু (ওভারব্রিজ), ৩টি পথচারী পারাপার সেতু (ওভারব্রিজ), দুই কিলোমিটার সংরক্ষণকারী দেয়াল(রিটেইনিং ওয়াল), তিনটি মসজিদ, ছয়টি যানবাহন বিরতির স্থান স্থান (বাস-বে) ও ছয়টি যাত্রীছাউনি নির্মাণ করা হবে। এতে ঢাকা শহরের ভেতরে বাস, ট্রাক ও পণ্যবাহী যানবাহনের চাপ কমার পাশাপাশি বহুলাংশে যানজট নিরসন হবে।

নিজস্ব তহবিল থেকে প্রায় ৫১ কোটি টাকা ব্যয়ে ধানমন্ডি হ্রদে নজরুল সরোবর নির্মাণ করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি। শনিবার এই কাজেরও উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম স্মরণে ‘নজরুল সরোবর’ নামের উন্মুক্ত বিনোদন মঞ্চে একটি ঘাটলা, উন্মুক্ত মিলনায়তন, পথচারীদের হাঁটার পথ, গণপরিসর, রেস্তোরাঁ, বসার স্থান (বেঞ্চ), দৃষ্টিনন্দন বাতি, পর্যাপ্ত সবুজায়ন ও শব্দযন্ত্র (সাউন্ড সিস্টেম) স্থাপনের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও নজরুল ইসলামের স্মৃতিময় মুহূর্ত ও সাহিত্যকর্ম সংবলিত ফলক স্থাপন করা হবে। 

শাহবাগে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী শিশু উদ্যানের আধুনিকীকরণ কাজেরও উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (শাহবাগে জিয়া শিশু পার্কের নতুন নাম হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী শিশু উদ্যান করা হয়েছে)। প্রায় ৬০৪ কোটি টাকা ব্যয়ে এই শিশু উদ্যানের আধুনিকায়নের কাজ করা হবে। ১৯৭৯ সালে স্থাপিত এই পার্কে আগে ১১টি রাইড ছিল। আধুনিকায়নের মাধ্যমে সেখানে মেগা ডিস্ক’ও, সুপার এয়ার রেস, ফ্লাইং ক্যারোস্যাল, গ্যালিয়ন, ১২ডি থিয়েটার, মাইন কোস্টার, ক্লাইম্বিং কার, সুপার হ্যাপি সুইং, ওয়াটার ম্যানিয়াসহ অত্যাধুনিক নতুন ১৫ ধরনের রাইড বসানো হবে। 

এছাড়াও আগত দর্শনার্থীদের জন্য শৌচাগার, চত্বর, রেস্তোরাঁ, বিশ্রামস্থল, প্রশস্ত হাঁটার পথ, বসার আসন ইত্যাদি প্রয়োজনীয় সুবিধাদি সংযোজন করা হয়েছে। ডিএসসিসি’র মতে, ২০২৬ সালের ডিসেম্বরে মার্কেটের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হবে।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন এলজিআরডি ও সমবায় মন্ত্রী মো: তাজুল ইসলাম, ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা-৮ আসনের এমপি আ ফ ম বাহাঊদ্দিন নাছিম এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইব্রাহিম।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

বঙ্গবাজার পাইকারি বিপণি বিতানসহ ৪ প্রকল্প উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় ০৪:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ মে ২০২৪

সিনিয়র রিপোর্টার : আজ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন ১০ তলা বিশিষ্ট রাজধানীর বঙ্গবাজারে ‘বঙ্গবাজার নগর পাইকারি বিপণী বিতান’, পোস্তগোলা ব্রিজ থেকে রায়েরবাজার স্লুইসগেট গেট পর্যন্ত আট সারির ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক মণি সরণি (ইনার সার্কুলার রিং রোড)’, ধানমন্ডি লেকে ‘নজরুল সরোবর’ এবং শাহবাগে ‘হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী শিশু উদ্যান আধুনিকীকরণ’ উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ভস্মীভূত বঙ্গবাজার নগর পাইকারি বিপনী বিতানের স্থানে ১০তলা বিশিষ্ট আধুনিক বঙ্গবাজার নগর পাইকারি বিপনী বিতান নির্মাণ কাজের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবে পরিণত হচ্ছে।

শনিবার (২৫ মে) সকালে আগুনে পুড়ে যাওয়া বঙ্গবাজার মার্কেট সংলগ্ন আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তিনি। এ সময় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব মুহম্মদ ইব্রাহিম প্রমুখ।

প্রসঙ্গত-২০২৩ সালের ৪ এপ্রিল ঈদের মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে ভয়াবহ আগুনে পুড়ে যায় বঙ্গবাজার। পরদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবাজারে বহুতল ভবন করার বিষয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেছিলেন, ‘বঙ্গবাজার মার্কেটে ১৯৯৫ সালে একবার আগুন লাগে।এরপর আবার ২০১৮ সালে আগুন লাগে। তারপর আমরা এখানে সুপরিকল্পিত মার্কেট করার প্রকল্প গ্রহণ করি। তখন বেশ কিছু লোক বাধা দেয়। শুধু বাধা নয়, একটা রিটও করে। পরে হাইকোর্ট এটাকে স্থগিত করে দেয়।’

১০তলা বিশিষ্ট বঙ্গবাজার নগর পাইকারি বিপনীবিতানে পাঁচটি সাধারণ সিঁড়ি ও ছয়টি অগ্নি প্রস্থান সিঁড়িসহ পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। বিপনী বিতানের প্রতিটি ব্লকের জন্য আলাদা বাহির ও প্রবেশদ্বার থাকবে। ভবনে বৈদ্যুতিক যান্ত্রিক কক্ষ এবং প্রতিটি ব্লকের প্রতি তলায় চারটি করে শৌচাগার থাকবে। ভবনের বেসমেন্টে ১৬৯টি গাড়ি ও ১০৯টি মোটরসাইকেল পার্কিংয়ের সুবিধা থাকবে। এছাড়াও  অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ২ হাজার ৯৬১ জনের সবাইকে বঙ্গবাজার নগর পাইকারি বিপনী বিতানে পুনর্বাসন করা হবে। আগে পুড়ে যাওয়া মার্কেটের ব্যবসায়ীরা ১৭ থেকে ২২ বর্গফুট আয়তনের দোকানে ব্যবসা পরিচালনা করতেন। এখন নতুন বিপনী বিতানে প্রতিটি দোকানের আয়তন হবে ৮০ থেকে ১২০ বর্গফুট।

পোস্তগোলা ব্রিজ থেকে রায়ের বাজার স্ল্যুইসগেট পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের আট লেনের বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ শেখ ফজলুল হক মনি সরণি। ৯৭৪ কোটি ৫৮ লাখ টাকা ব্যয়ের এই প্রকল্পের আওতায় ১০ কিলোমিটার নর্দমা (ড্রেন), ১০ কিলোমিটার পথচারী হাঁটার পথ(ফুটপাত), ৩টি উড়াল সেতু (ওভারব্রিজ), ৩টি পথচারী পারাপার সেতু (ওভারব্রিজ), দুই কিলোমিটার সংরক্ষণকারী দেয়াল(রিটেইনিং ওয়াল), তিনটি মসজিদ, ছয়টি যানবাহন বিরতির স্থান স্থান (বাস-বে) ও ছয়টি যাত্রীছাউনি নির্মাণ করা হবে। এতে ঢাকা শহরের ভেতরে বাস, ট্রাক ও পণ্যবাহী যানবাহনের চাপ কমার পাশাপাশি বহুলাংশে যানজট নিরসন হবে।

নিজস্ব তহবিল থেকে প্রায় ৫১ কোটি টাকা ব্যয়ে ধানমন্ডি হ্রদে নজরুল সরোবর নির্মাণ করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি। শনিবার এই কাজেরও উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম স্মরণে ‘নজরুল সরোবর’ নামের উন্মুক্ত বিনোদন মঞ্চে একটি ঘাটলা, উন্মুক্ত মিলনায়তন, পথচারীদের হাঁটার পথ, গণপরিসর, রেস্তোরাঁ, বসার স্থান (বেঞ্চ), দৃষ্টিনন্দন বাতি, পর্যাপ্ত সবুজায়ন ও শব্দযন্ত্র (সাউন্ড সিস্টেম) স্থাপনের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও নজরুল ইসলামের স্মৃতিময় মুহূর্ত ও সাহিত্যকর্ম সংবলিত ফলক স্থাপন করা হবে। 

শাহবাগে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী শিশু উদ্যানের আধুনিকীকরণ কাজেরও উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (শাহবাগে জিয়া শিশু পার্কের নতুন নাম হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী শিশু উদ্যান করা হয়েছে)। প্রায় ৬০৪ কোটি টাকা ব্যয়ে এই শিশু উদ্যানের আধুনিকায়নের কাজ করা হবে। ১৯৭৯ সালে স্থাপিত এই পার্কে আগে ১১টি রাইড ছিল। আধুনিকায়নের মাধ্যমে সেখানে মেগা ডিস্ক’ও, সুপার এয়ার রেস, ফ্লাইং ক্যারোস্যাল, গ্যালিয়ন, ১২ডি থিয়েটার, মাইন কোস্টার, ক্লাইম্বিং কার, সুপার হ্যাপি সুইং, ওয়াটার ম্যানিয়াসহ অত্যাধুনিক নতুন ১৫ ধরনের রাইড বসানো হবে। 

এছাড়াও আগত দর্শনার্থীদের জন্য শৌচাগার, চত্বর, রেস্তোরাঁ, বিশ্রামস্থল, প্রশস্ত হাঁটার পথ, বসার আসন ইত্যাদি প্রয়োজনীয় সুবিধাদি সংযোজন করা হয়েছে। ডিএসসিসি’র মতে, ২০২৬ সালের ডিসেম্বরে মার্কেটের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হবে।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন এলজিআরডি ও সমবায় মন্ত্রী মো: তাজুল ইসলাম, ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা-৮ আসনের এমপি আ ফ ম বাহাঊদ্দিন নাছিম এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইব্রাহিম।