ঢাকা , সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এমপি আনার হত্যা : খুনের সরঞ্জাম কিনে দিয়ে কলকাতা ছাড়েন মূল পরিকল্পনাকারী

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৭:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ মে ২০২৪
  • 136
অনলাইন ডেস্ক : ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে হত্যার মূল্য পরিকল্পনাকারী আখতারুজ্জামান শাহীন আনারকে হত্যায় কলকাতায় যাবতীয় কার্যক্রম আগে থেকেই সম্পন্ন করে রাখেন। আগে থেকেই তিনি সরঞ্জাম কিনে দেন। এরপর সেগুলো তিনি তার বেয়াই শিমুল ভূঁইয়াকে বুঝিয়ে দেন। শিমুল তার ভাড়াটে খুনি দিয়ে ‘কিলিং মিশন’ সম্পন্ন করেন। এরপর ‘কাট-আউট’ পদ্ধতি ব্যবহার করে লাশের টুকরো গায়েব করা হয়। আজীমকে হত্যার পর লাশের টুকরো দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার একটি খালে ফেলা হয়েছে। তদন্তসংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা এমন তথ্য জানিয়েছেন
এমপি আনোয়ারুল আজীমকে হত্যায় শাহীনের সঙ্গে আরও কোনো রাঘববোয়াল আছে কিনা তারও খোঁজ করছে তদন্তকারী দল। এ বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত শাহীনের বাইরে প্রভাবশালী অন্য কারও সংশ্লিষ্টতা আমরা পাইনি। এদিকে এমপি আজীম হত্যায় জড়িত অভিযোগে গ্রেপ্তার তিনজনকে আট দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। গতকাল ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দিলরুবা আফরোজ তিথি এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তারা হলেন– শিমুল ভূঁইয়া ওরফে সৈয়দ আমানুল্লাহ আমান, ফয়সাল আলী ওরফে সাজি ও সেলিস্তি রহমান। এর আগে বাংলাদেশে আসা ভারতীয় গোয়েন্দাদের একটি প্রতিনিধি দল তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে।
হত্যার সঙ্গে জড়িত সাতজনের মধ্যে চারজনকে এখনও গ্রেপ্তার করা যায়নি। তারা হলেন– মূল পরিকল্পনাকারী আখতারুজ্জামান শাহীন, ভাড়াটে খুনি সিয়াম, ফয়সাল ও মোস্তাফিজ। শাহীন এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন বলে জানা যায়। ভোলার বাসিন্দা সিয়াম গত ১৭ মে ভারত থেকে নেপালে গেছেন। আর ফয়সাল-মোস্তাফিজের ব্যাপারে কিছু জানা যাচ্ছে না। তারা দু’জই খুলনার বাসিন্দা এবং শাহীনের পরিচিত। হত্যাকাণ্ডের জন্য তাদের নতুন পাসপোর্ট করে কলকাতায় নেওয়া হয়। মিশন শেষে তারা দেশে ফেরেন। 
  
কলকাতার নিউ টাউনে যে ফ্ল্যাটে এমপি আজীমকে হত্যা করা হয়, সেখানকার দুটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পাওয়া গেছে। একটি ফুটেজে ১৩ মে দুপুরে এমপি আজীমকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফ্ল্যাটে ঢুকতে দেখা যায়। এ সময় তার পরনে ছিল কালো প্যান্ট ও সাদা শার্ট। হাতে ছিল কাগজপত্রসহ ফাইল। একই সময় অন্য দু’জন ফ্ল্যাটে ঢোকেন। তদন্তসংশ্লিষ্টরা বলছেন, তাদের একজন হলেন শিমুল ভূঁইয়া ও অন্যজন ভাড়াটে কিলার ফয়সাল।
অন্য একটি ফুটেজে ওইদিন বিকেল ৫টা ৫ মিনিটে দু’জনকে ফ্ল্যাট থেকে বের হতে দেখা যায়। তাদের একজনের হাতে ছিল একটি সবুজ রঙের বড় ট্রলিব্যাগ। আরেকজনের হাতে কয়েকটি পলিথিন ব্যাগ। তারা লিফটে নামেন। গোয়েন্দারা বলছেন, ওই ব্যাগে ছিল এমপির লাশের অংশ। ব্যাগ নিয়ে নামেন শিমুল ও আরেক ভাড়াটে কিলার জিহাদ।
এদিকে এমপি আজীম হত্যায় জড়িত থাকার বিষয়ে বাংলাদেশি যুবক জিহাদকে গ্রেপ্তার করেছে কলকাতা পুলিশ। শুক্রবার সকালে তাকে বারাসাত আদালতে তুলে সিআইডি ১৪ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে। আদালত ১২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর কিছুক্ষণ পর জিহাদকে নিয়ে অভিযানে বের হয় সিআইডি।
ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

এমপি আনার হত্যা : খুনের সরঞ্জাম কিনে দিয়ে কলকাতা ছাড়েন মূল পরিকল্পনাকারী

আপডেট সময় ০৭:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ মে ২০২৪
অনলাইন ডেস্ক : ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে হত্যার মূল্য পরিকল্পনাকারী আখতারুজ্জামান শাহীন আনারকে হত্যায় কলকাতায় যাবতীয় কার্যক্রম আগে থেকেই সম্পন্ন করে রাখেন। আগে থেকেই তিনি সরঞ্জাম কিনে দেন। এরপর সেগুলো তিনি তার বেয়াই শিমুল ভূঁইয়াকে বুঝিয়ে দেন। শিমুল তার ভাড়াটে খুনি দিয়ে ‘কিলিং মিশন’ সম্পন্ন করেন। এরপর ‘কাট-আউট’ পদ্ধতি ব্যবহার করে লাশের টুকরো গায়েব করা হয়। আজীমকে হত্যার পর লাশের টুকরো দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার একটি খালে ফেলা হয়েছে। তদন্তসংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা এমন তথ্য জানিয়েছেন
এমপি আনোয়ারুল আজীমকে হত্যায় শাহীনের সঙ্গে আরও কোনো রাঘববোয়াল আছে কিনা তারও খোঁজ করছে তদন্তকারী দল। এ বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত শাহীনের বাইরে প্রভাবশালী অন্য কারও সংশ্লিষ্টতা আমরা পাইনি। এদিকে এমপি আজীম হত্যায় জড়িত অভিযোগে গ্রেপ্তার তিনজনকে আট দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। গতকাল ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দিলরুবা আফরোজ তিথি এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তারা হলেন– শিমুল ভূঁইয়া ওরফে সৈয়দ আমানুল্লাহ আমান, ফয়সাল আলী ওরফে সাজি ও সেলিস্তি রহমান। এর আগে বাংলাদেশে আসা ভারতীয় গোয়েন্দাদের একটি প্রতিনিধি দল তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে।
হত্যার সঙ্গে জড়িত সাতজনের মধ্যে চারজনকে এখনও গ্রেপ্তার করা যায়নি। তারা হলেন– মূল পরিকল্পনাকারী আখতারুজ্জামান শাহীন, ভাড়াটে খুনি সিয়াম, ফয়সাল ও মোস্তাফিজ। শাহীন এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন বলে জানা যায়। ভোলার বাসিন্দা সিয়াম গত ১৭ মে ভারত থেকে নেপালে গেছেন। আর ফয়সাল-মোস্তাফিজের ব্যাপারে কিছু জানা যাচ্ছে না। তারা দু’জই খুলনার বাসিন্দা এবং শাহীনের পরিচিত। হত্যাকাণ্ডের জন্য তাদের নতুন পাসপোর্ট করে কলকাতায় নেওয়া হয়। মিশন শেষে তারা দেশে ফেরেন। 
  
কলকাতার নিউ টাউনে যে ফ্ল্যাটে এমপি আজীমকে হত্যা করা হয়, সেখানকার দুটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পাওয়া গেছে। একটি ফুটেজে ১৩ মে দুপুরে এমপি আজীমকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফ্ল্যাটে ঢুকতে দেখা যায়। এ সময় তার পরনে ছিল কালো প্যান্ট ও সাদা শার্ট। হাতে ছিল কাগজপত্রসহ ফাইল। একই সময় অন্য দু’জন ফ্ল্যাটে ঢোকেন। তদন্তসংশ্লিষ্টরা বলছেন, তাদের একজন হলেন শিমুল ভূঁইয়া ও অন্যজন ভাড়াটে কিলার ফয়সাল।
অন্য একটি ফুটেজে ওইদিন বিকেল ৫টা ৫ মিনিটে দু’জনকে ফ্ল্যাট থেকে বের হতে দেখা যায়। তাদের একজনের হাতে ছিল একটি সবুজ রঙের বড় ট্রলিব্যাগ। আরেকজনের হাতে কয়েকটি পলিথিন ব্যাগ। তারা লিফটে নামেন। গোয়েন্দারা বলছেন, ওই ব্যাগে ছিল এমপির লাশের অংশ। ব্যাগ নিয়ে নামেন শিমুল ও আরেক ভাড়াটে কিলার জিহাদ।
এদিকে এমপি আজীম হত্যায় জড়িত থাকার বিষয়ে বাংলাদেশি যুবক জিহাদকে গ্রেপ্তার করেছে কলকাতা পুলিশ। শুক্রবার সকালে তাকে বারাসাত আদালতে তুলে সিআইডি ১৪ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে। আদালত ১২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর কিছুক্ষণ পর জিহাদকে নিয়ে অভিযানে বের হয় সিআইডি।