ঢাকা , শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শতভাগ অগ্নি নিরাপদ নিশ্চিত না হলে ভবন ব্যবহার করা যাবে না : রাজউক 

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৯:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ মে ২০২৪
  • 83
অনলাইন ডেস্ক : রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের জোন-৩/১ এর আওতাধীন শ্যামলী এলাকায় বহুতল ভবনের অগ্নি নিরাপত্তা ও দুর্ঘটনা হ্রাসে নগর উন্নয়ন কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২টি বহুতল ভবনের আন্তঃসংস্থা প্রতিনিধিদের সমন্বয় যৌথভাবে পরিদর্শন কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের প্রতিনিধিরা সমন্বয় যৌথভাবে পরিদর্শন কার্যক্রম অংশগ্রহণ করে। প্রতিনিধিরা রাজউকের অনুমোদিত নকশা অনুযায়ী ভবন নির্মাণ এবং অগ্নিঝুঁকি মোকাবিলায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের গাইডলাইন অনুসরণ করার ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করে। ভবনে নিয়মিত ফায়ার ড্রিল ও বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির নিয়মিত পরীক্ষা করার ব্যাপারে আলোচনা হয় এবং অগ্নিনিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে একটি চেকলিস্ট অনুরসরণ করার ব্যাপারে পরামর্শ প্রদান করে।  
রাজউকের উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ বিভাগের সদস্য মেজর ইঞ্জিনিয়ার সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (অব.) বলেন, রাজউকের অনুমোদিত নকশা মানা, অগ্নি নিরাপত্তা শতভাগ নিশ্চিতকরণসহ রাজউকের ভবন নির্মাণ বিধিমালা অনুযায়ী সঠিক কি না তা যাচাই বাছাই করা হয়েছে। যে কোনো ত্রুটি বিচ্চুতির পাশাপাশি আইন মেনে নির্মাণের পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে। যারা বহুতল ভবন নির্মাণে শতভাগ অগ্নি নিরাপদ নিশ্চিত করবে না তারা ভবন ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোনো অনুমতি দেওয়া হবে না। ভবিষ্যতেও এধরনের যৌথ পরিদর্শন কার্যক্রম চলমান থাকবে। 
রাজউক জোন-৩ এর পরিচালক তাজিনা সারোয়ার জানান, ভবনে রাজউক হতে অনুমোদিত নকশা মেনে নির্মাণ করা হয়েছে এবং এখানে স্ট্রাকচারাল ও স্থাপত্য নকশা সংক্রান্ত কোনো ব্যত্যয় হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হয়েছে। এ ছাড়াও অগ্নি দুর্ঘটনা রোধে ভবনের অভ্যন্তরে ইন্টেরিয়র ডিজাইন ও ফলস সিলিং নির্মাণে দাহ্য পদার্থের তৈরি উপকরণ কমিয়ে আনার ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়।  ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর নাসরিন সুলতানা বলেন, নির্মাণাধীন ভবনগুলোতে যথাযথ অগ্নি নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণে এবং অগ্নি দুর্ঘটনা রোধে আধুনিক ফায়ার এক্সটিংগুইশার, ফায়ার এলার্ম, স্প্রিংকলার, ফায়ার হাইড্রান্ট ব্যবহারের জন্য পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে । একই সঙ্গে ভবনে জরুরি অবস্থার সময় প্রয়োজনীয় নির্দেশনা ও জরুরি যোগাযোগ নম্বর সংবলিত নির্দেশিকা সকলের সহজে দৃষ্টিগোচর হয় এমন স্থানে স্থাপনের পরামর্শ দেওয়া হয়। 
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মাকসুদ হাসান ঢাকা শহরকে একটি আধুনিক, বাসযোগ্য ও নিরাপদ শহর হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সকল ভবন মালিক ও ডেভেলপাররাকে ভবন নির্মাণ বিধিমালা ও রাজউকের নিয়ম মেনে ভবন নির্মাণের জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিজি (ডেভেলপমেন্ট) মিজানুর রহমান বলেন, অগ্নি দুর্ঘটনা হ্রাসের লক্ষ্যে ভবন নির্মাণের এই ধরণের সচেতনতামূলক কার্যক্রম অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।  সকলে নিয়ম মেনে ভবন নির্মাণ করলে ঢাকা একটি আধুনিক নগরে গড়ে উঠবে।  আন্তঃসংস্থা পরিদর্শনে রাজউকের পক্ষ থেকে সদস্য (উন্নয়ন) মেজর ইঞ্জি। সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (অব.), পরিচালক (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ-১) প্রধান প্রকৌশলী উজ্জ্বল মল্লিক, পরিচালক মোহাম্মদ সামছুল হক, পরিচালক (জোন-৩) তাজিনা সারোয়ার, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. নাজমুস সাকিব জামালী, অথরাইজড অফিসার-৩/১ শেখ মাহাব্বীর রনি, উপ-স্থপতি সৈয়দ মো. ইকবাল হোসেনসহ ডিএমপির পুলিশ কর্মকর্তা মো. আব্দুল মুকিত এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের শেখ শাহাজুর রহমান ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন, ডিপিডিসি ও ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স আন্তঃসংস্থাসমূহের সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

শতভাগ অগ্নি নিরাপদ নিশ্চিত না হলে ভবন ব্যবহার করা যাবে না : রাজউক 

আপডেট সময় ০৯:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ মে ২০২৪
অনলাইন ডেস্ক : রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের জোন-৩/১ এর আওতাধীন শ্যামলী এলাকায় বহুতল ভবনের অগ্নি নিরাপত্তা ও দুর্ঘটনা হ্রাসে নগর উন্নয়ন কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২টি বহুতল ভবনের আন্তঃসংস্থা প্রতিনিধিদের সমন্বয় যৌথভাবে পরিদর্শন কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের প্রতিনিধিরা সমন্বয় যৌথভাবে পরিদর্শন কার্যক্রম অংশগ্রহণ করে। প্রতিনিধিরা রাজউকের অনুমোদিত নকশা অনুযায়ী ভবন নির্মাণ এবং অগ্নিঝুঁকি মোকাবিলায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের গাইডলাইন অনুসরণ করার ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করে। ভবনে নিয়মিত ফায়ার ড্রিল ও বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির নিয়মিত পরীক্ষা করার ব্যাপারে আলোচনা হয় এবং অগ্নিনিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে একটি চেকলিস্ট অনুরসরণ করার ব্যাপারে পরামর্শ প্রদান করে।  
রাজউকের উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ বিভাগের সদস্য মেজর ইঞ্জিনিয়ার সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (অব.) বলেন, রাজউকের অনুমোদিত নকশা মানা, অগ্নি নিরাপত্তা শতভাগ নিশ্চিতকরণসহ রাজউকের ভবন নির্মাণ বিধিমালা অনুযায়ী সঠিক কি না তা যাচাই বাছাই করা হয়েছে। যে কোনো ত্রুটি বিচ্চুতির পাশাপাশি আইন মেনে নির্মাণের পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে। যারা বহুতল ভবন নির্মাণে শতভাগ অগ্নি নিরাপদ নিশ্চিত করবে না তারা ভবন ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোনো অনুমতি দেওয়া হবে না। ভবিষ্যতেও এধরনের যৌথ পরিদর্শন কার্যক্রম চলমান থাকবে। 
রাজউক জোন-৩ এর পরিচালক তাজিনা সারোয়ার জানান, ভবনে রাজউক হতে অনুমোদিত নকশা মেনে নির্মাণ করা হয়েছে এবং এখানে স্ট্রাকচারাল ও স্থাপত্য নকশা সংক্রান্ত কোনো ব্যত্যয় হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হয়েছে। এ ছাড়াও অগ্নি দুর্ঘটনা রোধে ভবনের অভ্যন্তরে ইন্টেরিয়র ডিজাইন ও ফলস সিলিং নির্মাণে দাহ্য পদার্থের তৈরি উপকরণ কমিয়ে আনার ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়।  ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর নাসরিন সুলতানা বলেন, নির্মাণাধীন ভবনগুলোতে যথাযথ অগ্নি নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণে এবং অগ্নি দুর্ঘটনা রোধে আধুনিক ফায়ার এক্সটিংগুইশার, ফায়ার এলার্ম, স্প্রিংকলার, ফায়ার হাইড্রান্ট ব্যবহারের জন্য পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে । একই সঙ্গে ভবনে জরুরি অবস্থার সময় প্রয়োজনীয় নির্দেশনা ও জরুরি যোগাযোগ নম্বর সংবলিত নির্দেশিকা সকলের সহজে দৃষ্টিগোচর হয় এমন স্থানে স্থাপনের পরামর্শ দেওয়া হয়। 
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মাকসুদ হাসান ঢাকা শহরকে একটি আধুনিক, বাসযোগ্য ও নিরাপদ শহর হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সকল ভবন মালিক ও ডেভেলপাররাকে ভবন নির্মাণ বিধিমালা ও রাজউকের নিয়ম মেনে ভবন নির্মাণের জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিজি (ডেভেলপমেন্ট) মিজানুর রহমান বলেন, অগ্নি দুর্ঘটনা হ্রাসের লক্ষ্যে ভবন নির্মাণের এই ধরণের সচেতনতামূলক কার্যক্রম অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।  সকলে নিয়ম মেনে ভবন নির্মাণ করলে ঢাকা একটি আধুনিক নগরে গড়ে উঠবে।  আন্তঃসংস্থা পরিদর্শনে রাজউকের পক্ষ থেকে সদস্য (উন্নয়ন) মেজর ইঞ্জি। সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (অব.), পরিচালক (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ-১) প্রধান প্রকৌশলী উজ্জ্বল মল্লিক, পরিচালক মোহাম্মদ সামছুল হক, পরিচালক (জোন-৩) তাজিনা সারোয়ার, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. নাজমুস সাকিব জামালী, অথরাইজড অফিসার-৩/১ শেখ মাহাব্বীর রনি, উপ-স্থপতি সৈয়দ মো. ইকবাল হোসেনসহ ডিএমপির পুলিশ কর্মকর্তা মো. আব্দুল মুকিত এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের শেখ শাহাজুর রহমান ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন, ডিপিডিসি ও ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স আন্তঃসংস্থাসমূহের সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।