ঢাকা , সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চিকুন গুনিয়ার টিকার অনুমোদন : বাংলাদেশে চিকুন গুনিয়া প্রথম শনাক্ত হয় ২০০৮ সালে

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৯:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ নভেম্বর ২০২৩
  • 62
অনলাইন ডেস্ক :   মশাবাহিত রোগ চিকুনগুনিয়ার প্রথম টিকার অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার দেশটির নিয়ন্ত্রক সংস্থা খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) ইক্সচিক নামের এই টিকাটির অনুমোদন দিয়েছে। এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে এএফপি।
ডেঙ্গুর মতো চিকুনগুনিয়াও একটি ভাইরাসজনিত রোগ। এটি মূলত টোগা ভাইরাস গোত্রের সদস্য।  এই রোগের একমাত্র বাহক এডিস মশা। মশাবাহীত হওয়ায় এই ভাইরাসটিকে আরবোভাইরাসও বলা হয়। ডেঙ্গুর মতো প্রাণঘাতী অবশ্য নয় চিকুনগুনিয়া।ডেঙ্গুতে মৃত্যুহার প্রতি ১০০ জনে ৫ জন। চিকুনগুনিয়ায় প্রতি এক হাজারে ১ জন মারা যান।
প্রাণঘাতী না হলেও এই রোগটি ব্যাপক শারীরিক যন্ত্রণা দিতে সক্ষম। চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত রোগীরা রোগ সেরে যাওয়ার পরও কয়েক মাস পর্যন্ত অস্থিসন্ধি বা গিঁটে তীব্র ব্যথা হয়। এছাড়াও দীর্ঘমেয়াদে শারীরিক দুর্বলতা, অবসাদ, বমিভাব ও অন্যান্য শারীরিক সমস্যার জন্য দায়ী চিকুনগুনিয়া।
আফ্রিকার দেশগুলোতে এই রোগের প্রাদুর্ভাব সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। ‘চিকুনগুনিয়া’ নামটিও এসেছে আফ্রিাকাভুক্ত দেশ তানজানিয়ার মাকুন্দি জনগোষ্ঠীর ভাষা থেকে। সম্প্রতি অবশ্য ভারত, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার পাশাপাশি ইউরোপ ও আমেরিকাতেও রোগটির উপস্থিতি বাড়ছে।
বাংলাদেশে চিকুনগুনিয়া প্রথম শনাক্ত হয় ২০০৮ সালে, রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে। ২০১১ সালে ঢাকার দোহার উপজেলাতেও এই রোগ শনাক্ত হয়েছে। 
ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য মাউশি’র ৯ নির্দেশনা

চিকুন গুনিয়ার টিকার অনুমোদন : বাংলাদেশে চিকুন গুনিয়া প্রথম শনাক্ত হয় ২০০৮ সালে

আপডেট সময় ০৯:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ নভেম্বর ২০২৩
অনলাইন ডেস্ক :   মশাবাহিত রোগ চিকুনগুনিয়ার প্রথম টিকার অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার দেশটির নিয়ন্ত্রক সংস্থা খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) ইক্সচিক নামের এই টিকাটির অনুমোদন দিয়েছে। এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে এএফপি।
ডেঙ্গুর মতো চিকুনগুনিয়াও একটি ভাইরাসজনিত রোগ। এটি মূলত টোগা ভাইরাস গোত্রের সদস্য।  এই রোগের একমাত্র বাহক এডিস মশা। মশাবাহীত হওয়ায় এই ভাইরাসটিকে আরবোভাইরাসও বলা হয়। ডেঙ্গুর মতো প্রাণঘাতী অবশ্য নয় চিকুনগুনিয়া।ডেঙ্গুতে মৃত্যুহার প্রতি ১০০ জনে ৫ জন। চিকুনগুনিয়ায় প্রতি এক হাজারে ১ জন মারা যান।
প্রাণঘাতী না হলেও এই রোগটি ব্যাপক শারীরিক যন্ত্রণা দিতে সক্ষম। চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত রোগীরা রোগ সেরে যাওয়ার পরও কয়েক মাস পর্যন্ত অস্থিসন্ধি বা গিঁটে তীব্র ব্যথা হয়। এছাড়াও দীর্ঘমেয়াদে শারীরিক দুর্বলতা, অবসাদ, বমিভাব ও অন্যান্য শারীরিক সমস্যার জন্য দায়ী চিকুনগুনিয়া।
আফ্রিকার দেশগুলোতে এই রোগের প্রাদুর্ভাব সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। ‘চিকুনগুনিয়া’ নামটিও এসেছে আফ্রিাকাভুক্ত দেশ তানজানিয়ার মাকুন্দি জনগোষ্ঠীর ভাষা থেকে। সম্প্রতি অবশ্য ভারত, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার পাশাপাশি ইউরোপ ও আমেরিকাতেও রোগটির উপস্থিতি বাড়ছে।
বাংলাদেশে চিকুনগুনিয়া প্রথম শনাক্ত হয় ২০০৮ সালে, রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে। ২০১১ সালে ঢাকার দোহার উপজেলাতেও এই রোগ শনাক্ত হয়েছে।