ঢাকা , বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমার জীবনে একটা স্বপ্ন ছিল প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক হওয়ার : প্রধানমন্ত্রী

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৪:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩
  • 34

সিনিয়র রিপোর্টার : ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের ‘বই উৎসব’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘এই ছেলেমেয়েরাই একদিন আমার মতো প্রধানমন্ত্রী হবে, মন্ত্রী হবে বা ভালো শিক্ষক হবে। আমার জীবনে একটা স্বপ্ন ছিল শিক্ষক হওয়ার। তাও আবার প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক। আমি সেটাই হতে চাইছিলাম। এই পেশা আমার খুব পছন্দের ছিল, কিন্তু (তখনকার রাজনৈতিক বাস্তবতায়) তা সম্ভব হয়নি।‘

রবিবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে ‘বই উৎসব’এর উদ্বোধন করা  হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এ সময় প্রথম থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কেন হয়নি? কারণ আমার বাবা তো প্রায়ই এই বাংলাদেশের মানুষের কথা বললেই তখনকার সরকার তাকে গ্রেপ্তার করত, জেলে নিয়ে যেত, বারবার আমাদের পড়াশোনা বাধাগ্রস্ত হতো। তারপরও পড়াশোনা শেষ পর্যন্ত শেষ করতে পারিনি। কারণ যখন আমি মাস্টার্স ডিগ্রিতে ভর্তি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে, তখনই ‘৭৫-এ আমরা বাবা, মা, ভাই সবাইকে মেরে ফেলা হয়।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার ছোট বোন আর আমি ছিলাম বিদেশে। আমার ছোট বোনেরও পরীক্ষা ছিল সামনে। আমরা কিন্তু আর দেশে আসতে পারিনি। কারণ তখন যারা সরকারে ছিল, আমাদের আসতে দেয়নি। প্রায় ছয় বছর আমাদের বাইরেই থাকতে হয়েছিল। বিদেশে রিফিউজি হিসেবে। সেভাবেই ছিলাম। এ জন্য আর আমার মার্স্টার্স ডিগ্রিও সম্পন্ন হয়নি। আমার বোনের ইন্টারমিডিয়েট পড়াটাও শেষ হয়নি, কিন্তু তারপরও আমরা শিক্ষাটাকে গুরুত্ব দিই।’

‘বই উৎসব’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) বিভাগের সচিব সোলেমান খান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলামসহ আরও অনেকে।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

রুহুল কবির রিজভী বলেছেন : ‘ডোনাল্ড লুর সফরে ওবায়দুল কাদের মানসিক অস্থিরতায় ভুগছেন’

আমার জীবনে একটা স্বপ্ন ছিল প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক হওয়ার : প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় ০৪:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩

সিনিয়র রিপোর্টার : ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের ‘বই উৎসব’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘এই ছেলেমেয়েরাই একদিন আমার মতো প্রধানমন্ত্রী হবে, মন্ত্রী হবে বা ভালো শিক্ষক হবে। আমার জীবনে একটা স্বপ্ন ছিল শিক্ষক হওয়ার। তাও আবার প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক। আমি সেটাই হতে চাইছিলাম। এই পেশা আমার খুব পছন্দের ছিল, কিন্তু (তখনকার রাজনৈতিক বাস্তবতায়) তা সম্ভব হয়নি।‘

রবিবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে ‘বই উৎসব’এর উদ্বোধন করা  হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এ সময় প্রথম থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কেন হয়নি? কারণ আমার বাবা তো প্রায়ই এই বাংলাদেশের মানুষের কথা বললেই তখনকার সরকার তাকে গ্রেপ্তার করত, জেলে নিয়ে যেত, বারবার আমাদের পড়াশোনা বাধাগ্রস্ত হতো। তারপরও পড়াশোনা শেষ পর্যন্ত শেষ করতে পারিনি। কারণ যখন আমি মাস্টার্স ডিগ্রিতে ভর্তি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে, তখনই ‘৭৫-এ আমরা বাবা, মা, ভাই সবাইকে মেরে ফেলা হয়।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার ছোট বোন আর আমি ছিলাম বিদেশে। আমার ছোট বোনেরও পরীক্ষা ছিল সামনে। আমরা কিন্তু আর দেশে আসতে পারিনি। কারণ তখন যারা সরকারে ছিল, আমাদের আসতে দেয়নি। প্রায় ছয় বছর আমাদের বাইরেই থাকতে হয়েছিল। বিদেশে রিফিউজি হিসেবে। সেভাবেই ছিলাম। এ জন্য আর আমার মার্স্টার্স ডিগ্রিও সম্পন্ন হয়নি। আমার বোনের ইন্টারমিডিয়েট পড়াটাও শেষ হয়নি, কিন্তু তারপরও আমরা শিক্ষাটাকে গুরুত্ব দিই।’

‘বই উৎসব’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) বিভাগের সচিব সোলেমান খান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলামসহ আরও অনেকে।