ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আজ থেকেই উঠে যাচ্ছে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ  : নবম শ্রেণিতে বিশাল পরিবর্তন 

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৪:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জানুয়ারী ২০২৪
  • 97

অনলাইন ডেস্ক : আজ পয়লা জানুয়ারি শুরু হচ্ছে নতুন শিক্ষাবর্ষ। নতুন এই শিক্ষাবর্ষে দেশের মাধ্যমিক শিক্ষায় বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে। নবম শ্রেণি থেকে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ উঠে যাচ্ছে।  এদিকে বছরের প্রথম দিনে সারা দেশের বিদ্যালয়গুলোতে বিনা মূল্যে নতুন বই বিতরণ শুরু হলেও অষ্টম ও নবম শ্রেণির প্রায় আড়াই কোটি বই ছাপানো শেষ হয়নি। ফলে শিক্ষাবর্ষের প্রথম দিনে সব শিক্ষার্থী সব বই হাতে পাবে না।
গত বছরের শুরুতে প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম শুরু হয়। এ বছর (২০২৪) আরও চারটি শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হচ্ছে। শ্রেণিগুলো হলো দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণি। আগামী বছর চতুর্থ, পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালুর মধ্য দিয়ে মাধ্যমিক পর্যন্ত সব শ্রেণিতেই তা চালু হবে। এরপর ২০২৬ সালে একাদশ ও ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণিতে চালু হবে নতুন শিক্ষাক্রম।
তবে সবচেয়ে বড় পরিবর্তনটি হচ্ছে আজ থেকে, মাধ্যমিকে বিভাগ বিভাজন উঠিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে। নতুন নিয়মে দশম শ্রেণি পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীকে ১০টি অভিন্ন বিষয় পড়তে হবে। এত দিন অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সবাইকে অভিন্ন বিষয় পড়ে নবম শ্রেণিতে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা নামে আলাদা বিভাগ অর্থাৎ বাধ্যতামূলক কয়েকটি বিষয়ের পাশাপাশি বিভাগভিত্তিক বিশেষায়িত কয়েকটি বিষয় পড়তে হতো।
এনসিটিবির সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান বলেন, এত দিন মাধ্যমিক স্তরে যত শিক্ষার্থী পড়ত, তাদের মধ্যে ১৯ শতাংশ বিজ্ঞানে পড়ত। বাকিরা মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষায় পড়ত। আবার যারা মাধ্যমিকে বিজ্ঞান পড়ত, উচ্চমাধ্যমিকে গিয়ে তাদের প্রায় অর্ধেক বিজ্ঞান বিভাগ ছেড়ে মানবিক বা ব্যবসায় শিক্ষায় চলে যেত। এখন শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানমনস্কতা বাড়বে।
নতুন নিয়মে উচ্চমাধ্যমিকে গিয়ে বিভাগ বিভাজন হবে। কারও কারও অভিমত, নতুন পদ্ধতিতে অভিন্ন বিষয় হওয়ায় নবম-দশম শ্রেণিতে বিজ্ঞানের অংশ কমে যাচ্ছে। ফলে উচ্চমাধ্যমিকে গিয়ে বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা হোঁচট খেতে পারে। তাঁদের অভিমত, মাধ্যমিকেও দু-একটি ঐচ্ছিক বিষয় রাখা যেত।
তবে এই অভিমতের সঙ্গে একমত নন জাতীয় শিক্ষাক্রম উন্নয়ন ও পরিমার্জন কোর কমিটির সদস্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) অধ্যাপক এম তারিক আহসান। তিনি মনে করেন, নতুন নিয়মে গভীরতা বাড়বে। সব শিক্ষার্থীর সব বিষয়ে একটি ভিত্তি তৈরি হবে। ‘ভালো শিক্ষার্থীরা’ কেবল বিজ্ঞান পড়বে, সেই ধারণাও ভাঙবে। মাধ্যমিকেও দু-একটি ঐচ্ছিক বিষয় রাখলে শিক্ষার্থীদের ওপর উল্টো চাপ বাড়বে।
১৯৫৯ সাল থেকে নবম শ্রেণিতে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ চালু হয়েছিল বলে জানান এম তারিক আহসান। উল্লেখ্য, সর্বশেষ ২০১২ সালে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষাক্রম পরিমার্জন হয়েছিল।
ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

রুহুল কবির রিজভী বলেছেন : ‘ডোনাল্ড লুর সফরে ওবায়দুল কাদের মানসিক অস্থিরতায় ভুগছেন’

আজ থেকেই উঠে যাচ্ছে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ  : নবম শ্রেণিতে বিশাল পরিবর্তন 

আপডেট সময় ০৪:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জানুয়ারী ২০২৪

অনলাইন ডেস্ক : আজ পয়লা জানুয়ারি শুরু হচ্ছে নতুন শিক্ষাবর্ষ। নতুন এই শিক্ষাবর্ষে দেশের মাধ্যমিক শিক্ষায় বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে। নবম শ্রেণি থেকে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ উঠে যাচ্ছে।  এদিকে বছরের প্রথম দিনে সারা দেশের বিদ্যালয়গুলোতে বিনা মূল্যে নতুন বই বিতরণ শুরু হলেও অষ্টম ও নবম শ্রেণির প্রায় আড়াই কোটি বই ছাপানো শেষ হয়নি। ফলে শিক্ষাবর্ষের প্রথম দিনে সব শিক্ষার্থী সব বই হাতে পাবে না।
গত বছরের শুরুতে প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম শুরু হয়। এ বছর (২০২৪) আরও চারটি শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হচ্ছে। শ্রেণিগুলো হলো দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণি। আগামী বছর চতুর্থ, পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালুর মধ্য দিয়ে মাধ্যমিক পর্যন্ত সব শ্রেণিতেই তা চালু হবে। এরপর ২০২৬ সালে একাদশ ও ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণিতে চালু হবে নতুন শিক্ষাক্রম।
তবে সবচেয়ে বড় পরিবর্তনটি হচ্ছে আজ থেকে, মাধ্যমিকে বিভাগ বিভাজন উঠিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে। নতুন নিয়মে দশম শ্রেণি পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীকে ১০টি অভিন্ন বিষয় পড়তে হবে। এত দিন অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সবাইকে অভিন্ন বিষয় পড়ে নবম শ্রেণিতে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা নামে আলাদা বিভাগ অর্থাৎ বাধ্যতামূলক কয়েকটি বিষয়ের পাশাপাশি বিভাগভিত্তিক বিশেষায়িত কয়েকটি বিষয় পড়তে হতো।
এনসিটিবির সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান বলেন, এত দিন মাধ্যমিক স্তরে যত শিক্ষার্থী পড়ত, তাদের মধ্যে ১৯ শতাংশ বিজ্ঞানে পড়ত। বাকিরা মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষায় পড়ত। আবার যারা মাধ্যমিকে বিজ্ঞান পড়ত, উচ্চমাধ্যমিকে গিয়ে তাদের প্রায় অর্ধেক বিজ্ঞান বিভাগ ছেড়ে মানবিক বা ব্যবসায় শিক্ষায় চলে যেত। এখন শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানমনস্কতা বাড়বে।
নতুন নিয়মে উচ্চমাধ্যমিকে গিয়ে বিভাগ বিভাজন হবে। কারও কারও অভিমত, নতুন পদ্ধতিতে অভিন্ন বিষয় হওয়ায় নবম-দশম শ্রেণিতে বিজ্ঞানের অংশ কমে যাচ্ছে। ফলে উচ্চমাধ্যমিকে গিয়ে বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা হোঁচট খেতে পারে। তাঁদের অভিমত, মাধ্যমিকেও দু-একটি ঐচ্ছিক বিষয় রাখা যেত।
তবে এই অভিমতের সঙ্গে একমত নন জাতীয় শিক্ষাক্রম উন্নয়ন ও পরিমার্জন কোর কমিটির সদস্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) অধ্যাপক এম তারিক আহসান। তিনি মনে করেন, নতুন নিয়মে গভীরতা বাড়বে। সব শিক্ষার্থীর সব বিষয়ে একটি ভিত্তি তৈরি হবে। ‘ভালো শিক্ষার্থীরা’ কেবল বিজ্ঞান পড়বে, সেই ধারণাও ভাঙবে। মাধ্যমিকেও দু-একটি ঐচ্ছিক বিষয় রাখলে শিক্ষার্থীদের ওপর উল্টো চাপ বাড়বে।
১৯৫৯ সাল থেকে নবম শ্রেণিতে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ চালু হয়েছিল বলে জানান এম তারিক আহসান। উল্লেখ্য, সর্বশেষ ২০১২ সালে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষাক্রম পরিমার্জন হয়েছিল।