ঢাকা , রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টঙ্গীতে আসন্ন বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতি পর্যালোচনা সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন : ধর্মমন্ত্রীর কাছে দুই গ্রুপকে মিলেমিশে পালন করার অনুরোধ করছি

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৮:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৪
  • 48

অনলাইন ডেস্ক  : টঙ্গীতে আসন্ন বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতি পর্যালোচনা সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এমপি বলেছেন, বহু চেষ্টা করেছি দুগ্রুপে মিলেমিশে যেন টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। আমি এবার ধর্মমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করবো আপনি নেতৃত্ব নেন দুগ্রুপকে মিলিয়ে দেয়ার। আমরা আলেমওলেমাদের সম্মান শ্রদ্ধা করি আমরা তাদের কাছ থেকে শিখবো। বাংলাদেশের ঐতিহ্য অক্ষুন্ন রাখতে সবাইকে অনুরোধ করবো মিলেমিশে চলতে। কোন ধরনের দুর্ঘটনা যেন না ঘটে সে জন্য ইজতেমার নিরাপত্তায় সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সোমবার সন্ধ্যায় টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা ময়দানের ফলো-আপ সভায় বাটা গেট সড়কে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ আয়োজিত সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। আগামী ২ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩ দিন ব্যাপী শুরু হচ্ছে জোবায়ের গ্রুপের বিশ্ব ইজতেমা। ৪ দিন বিরতি দিয়ে ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩ দিনব্যাপী শুরু হবে সাদ গ্রুপের মাওলানা ওয়াসেকুল ইসলামদের বিশ্ব ইজতেমা। সভায় উপস্থিত সবাই ক্ষোভ ঝাড়েন দুই পর্বে দুই গ্রুপের বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠান নিয়ে। সবাই আশা করেন আগামী বিশ্ব ইজতেমা এক পর্বে অনুষ্ঠানের।

পূর্ব সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত সমূহ বাস্তবায়নের অগ্রগতি ও বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত ফলো-আপের কার্যক্রম পর্যালোচনা করা হয় আজকের এ সভায়। সভায় উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি, ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান, সাবেক ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম, বিভাগীয় কমিশনার সাব্বিরুল ইসলাম, পুলিশ প্রধান আবদুল্লাহ আল মামুন, গাজীপুর জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম ও গাজীপুর মহানগর পুলিশের পুলিশ কমিশনার মাহবুব আলম। জোবায়ের গ্রুপের পক্ষে ছিলেন মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ, সাদ গ্রুপের পক্ষে ছিলেন ডঃ আবদুস সামাদ।

পুলিশ প্রধান আবদুল্লাহ আল মামুন তাঁর বক্তব্যে বলেন, উত্তরার ডিয়াবাড়িতে যেন ইজতেমার কোন আয়োজন না করা হয়। আমাদের না জানিয়ে এমন আয়োজন খুবই দুঃখজনক। ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বলেন, দুগ্রুপ হওয়াতে আমরা বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছি, বিভেদ বন্ধ করতে হবে। অতীতের মতো একত্রিত টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা দেখতে চাই আমরা।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন : দেশে সবার অন্তত ২ কাঠার জমি ও একটি ঘর থাকবে

টঙ্গীতে আসন্ন বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতি পর্যালোচনা সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন : ধর্মমন্ত্রীর কাছে দুই গ্রুপকে মিলেমিশে পালন করার অনুরোধ করছি

আপডেট সময় ০৮:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৪

অনলাইন ডেস্ক  : টঙ্গীতে আসন্ন বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতি পর্যালোচনা সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এমপি বলেছেন, বহু চেষ্টা করেছি দুগ্রুপে মিলেমিশে যেন টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। আমি এবার ধর্মমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করবো আপনি নেতৃত্ব নেন দুগ্রুপকে মিলিয়ে দেয়ার। আমরা আলেমওলেমাদের সম্মান শ্রদ্ধা করি আমরা তাদের কাছ থেকে শিখবো। বাংলাদেশের ঐতিহ্য অক্ষুন্ন রাখতে সবাইকে অনুরোধ করবো মিলেমিশে চলতে। কোন ধরনের দুর্ঘটনা যেন না ঘটে সে জন্য ইজতেমার নিরাপত্তায় সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সোমবার সন্ধ্যায় টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা ময়দানের ফলো-আপ সভায় বাটা গেট সড়কে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ আয়োজিত সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। আগামী ২ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩ দিন ব্যাপী শুরু হচ্ছে জোবায়ের গ্রুপের বিশ্ব ইজতেমা। ৪ দিন বিরতি দিয়ে ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩ দিনব্যাপী শুরু হবে সাদ গ্রুপের মাওলানা ওয়াসেকুল ইসলামদের বিশ্ব ইজতেমা। সভায় উপস্থিত সবাই ক্ষোভ ঝাড়েন দুই পর্বে দুই গ্রুপের বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠান নিয়ে। সবাই আশা করেন আগামী বিশ্ব ইজতেমা এক পর্বে অনুষ্ঠানের।

পূর্ব সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত সমূহ বাস্তবায়নের অগ্রগতি ও বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত ফলো-আপের কার্যক্রম পর্যালোচনা করা হয় আজকের এ সভায়। সভায় উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি, ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান, সাবেক ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম, বিভাগীয় কমিশনার সাব্বিরুল ইসলাম, পুলিশ প্রধান আবদুল্লাহ আল মামুন, গাজীপুর জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম ও গাজীপুর মহানগর পুলিশের পুলিশ কমিশনার মাহবুব আলম। জোবায়ের গ্রুপের পক্ষে ছিলেন মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ, সাদ গ্রুপের পক্ষে ছিলেন ডঃ আবদুস সামাদ।

পুলিশ প্রধান আবদুল্লাহ আল মামুন তাঁর বক্তব্যে বলেন, উত্তরার ডিয়াবাড়িতে যেন ইজতেমার কোন আয়োজন না করা হয়। আমাদের না জানিয়ে এমন আয়োজন খুবই দুঃখজনক। ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বলেন, দুগ্রুপ হওয়াতে আমরা বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছি, বিভেদ বন্ধ করতে হবে। অতীতের মতো একত্রিত টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা দেখতে চাই আমরা।