ঢাকা , শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টুঙ্গিপাড়ায় ৭১৪জন শিশুর কণ্ঠে ধ্বনিত হলো বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৮:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ ২০২৪
  • 51

অনলাইন ডেস্ক :  গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় ৭১৪ জন শিশুর কণ্ঠে ধ্বনিত হলো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ। বৃহস্পতিবার সকালে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলা হেলিপ্যাড চত্বরে শিশুদের সমবেত কণ্ঠে ব্যতিক্রমধর্মী এ ভাষণের আয়োজন করা হয়।

সকাল সাড়ে ৯টায় ৭১৪ জন শিশু শিক্ষার্থীর কণ্ঠে উচ্চারিত হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ১৯ মিনিটের ১১০৮ শব্দের কালজয়ী ঐতিহাসিক ভাষণ। সাদা পাজামা ও পাঞ্জাবির ওপর মুজিব কোট পরিধান করে বঙ্গবন্ধু সাজে সজ্জিত শিশুদের সমবেত কণ্ঠে ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ উচ্চারণে টুঙ্গিপাড়ার হেলিপ্যাড চত্বর যেন ক্ষণিকের জন্য পরিণত হয় ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের রেসকোর্স ময়দানের আদলে। ইতিহাস ফিরে তাকায় সেই মাহেন্দ্রক্ষণে।  

৭ মার্চের এই দিন বঙ্গবন্ধুর উনিশ মিনিটের সেই ভাষণ পুরোটাই মুখস্থ করে এসেছিলেন উপজেলার ১০২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৭১৪ জন শিক্ষার্থী। টুঙ্গিপাড়া খান সাহেব শেখ মোশাররফ হোসেন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ১০ শ্রেণির শিক্ষার্থী শ্রীয়া ঘরামী ভাষণ উপস্থাপনে নেতৃত্ব দেয়। শিক্ষার্থীদের সমবেত ভাষণে মুগ্ধ হন অতিথি, সুধীজন, সরকারি কর্মকর্তা, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

অনুষ্ঠানে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মঈনুল হকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গোপালগঞ্জ-৩ আসনের (টুঙ্গিপাড়া-কোটালীপাড়া) উন্নয়ন প্রতিনিধি মো. শহিদুল্লাহ খন্দকার।

স্বাগত বক্তব্যে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মঈনুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ বাঙালি জাতির প্রেরণার উৎস। স্বাধীনতাকামী বাঙালিদের সংকটময় মুহূর্তে একটি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত করে স্বাধীনতার আহবান জানান বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধুর হৃদয়ে উৎসারিত ১১০৮ শব্দমালার সুনিপুণ বুনন বাঙালি জাতিকে দিয়েছে স্বাধীনতা, মাতৃভূমি ও অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রার বাংলাদেশ। তাই কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, দেশপ্রেম ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত করতে ৭ মার্চের ভাষণ তাদের আত্মস্থ করানো হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গোপালগঞ্জ-৩ আসনের (টুঙ্গিপাড়া-কোটালীপাড়া) উন্নয়ন প্রতিনিধি মো. শহিদুল্লাহ খন্দকার বলেন, ৭১৪ জন শিক্ষার্থী বঙ্গবন্ধুর ১৯ মিনিটের সেই কালজয়ী ভাষণ তারা মুখস্থ বলেছে। এ রকম একটি ৭ মার্চ টুঙ্গিপাড়ার ইতিহাসে বিরল। ইউনেস্কো ইন্টারন্যাশনাল মেমরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্ট্রারে- এ ভাষণকে ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণের মাধ্যমে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আগামীতে তার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

ভাষণ শেষে ১১০৮টি শব্দ সংবলিত প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে ও বেলুন উড়িয়ে ৭ মার্চের ‘শব্দ শোভাযাত্রা’ বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি উপজেলার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জাতির পিতার সমাধিতে গিয়ে শেষ হয়। পরে শিশু শিক্ষার্থীদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

এ সময় টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল বাশার খায়ের, সহ-সভাপতি ইলিয়াস হোসেন, উপজেলা চেয়ারম্যান সোলায়মান বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক বাবুল শেখ, পৌর মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুল, সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী মাসুদুল হক, থানার ওসি খন্দকার আমিনুর রহমান, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ফোরকান বিশ্বাস, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ বিশ্বাসসহ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতা ও বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যানের স্ত্রীর সনদ বাণিজ্য নিয়ে কিছুই জানেন না আলী আকবর!

টুঙ্গিপাড়ায় ৭১৪জন শিশুর কণ্ঠে ধ্বনিত হলো বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ

আপডেট সময় ০৮:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ ২০২৪

অনলাইন ডেস্ক :  গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় ৭১৪ জন শিশুর কণ্ঠে ধ্বনিত হলো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ। বৃহস্পতিবার সকালে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলা হেলিপ্যাড চত্বরে শিশুদের সমবেত কণ্ঠে ব্যতিক্রমধর্মী এ ভাষণের আয়োজন করা হয়।

সকাল সাড়ে ৯টায় ৭১৪ জন শিশু শিক্ষার্থীর কণ্ঠে উচ্চারিত হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ১৯ মিনিটের ১১০৮ শব্দের কালজয়ী ঐতিহাসিক ভাষণ। সাদা পাজামা ও পাঞ্জাবির ওপর মুজিব কোট পরিধান করে বঙ্গবন্ধু সাজে সজ্জিত শিশুদের সমবেত কণ্ঠে ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ উচ্চারণে টুঙ্গিপাড়ার হেলিপ্যাড চত্বর যেন ক্ষণিকের জন্য পরিণত হয় ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের রেসকোর্স ময়দানের আদলে। ইতিহাস ফিরে তাকায় সেই মাহেন্দ্রক্ষণে।  

৭ মার্চের এই দিন বঙ্গবন্ধুর উনিশ মিনিটের সেই ভাষণ পুরোটাই মুখস্থ করে এসেছিলেন উপজেলার ১০২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৭১৪ জন শিক্ষার্থী। টুঙ্গিপাড়া খান সাহেব শেখ মোশাররফ হোসেন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ১০ শ্রেণির শিক্ষার্থী শ্রীয়া ঘরামী ভাষণ উপস্থাপনে নেতৃত্ব দেয়। শিক্ষার্থীদের সমবেত ভাষণে মুগ্ধ হন অতিথি, সুধীজন, সরকারি কর্মকর্তা, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

অনুষ্ঠানে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মঈনুল হকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গোপালগঞ্জ-৩ আসনের (টুঙ্গিপাড়া-কোটালীপাড়া) উন্নয়ন প্রতিনিধি মো. শহিদুল্লাহ খন্দকার।

স্বাগত বক্তব্যে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মঈনুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ বাঙালি জাতির প্রেরণার উৎস। স্বাধীনতাকামী বাঙালিদের সংকটময় মুহূর্তে একটি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত করে স্বাধীনতার আহবান জানান বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধুর হৃদয়ে উৎসারিত ১১০৮ শব্দমালার সুনিপুণ বুনন বাঙালি জাতিকে দিয়েছে স্বাধীনতা, মাতৃভূমি ও অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রার বাংলাদেশ। তাই কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, দেশপ্রেম ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত করতে ৭ মার্চের ভাষণ তাদের আত্মস্থ করানো হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গোপালগঞ্জ-৩ আসনের (টুঙ্গিপাড়া-কোটালীপাড়া) উন্নয়ন প্রতিনিধি মো. শহিদুল্লাহ খন্দকার বলেন, ৭১৪ জন শিক্ষার্থী বঙ্গবন্ধুর ১৯ মিনিটের সেই কালজয়ী ভাষণ তারা মুখস্থ বলেছে। এ রকম একটি ৭ মার্চ টুঙ্গিপাড়ার ইতিহাসে বিরল। ইউনেস্কো ইন্টারন্যাশনাল মেমরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্ট্রারে- এ ভাষণকে ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণের মাধ্যমে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আগামীতে তার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

ভাষণ শেষে ১১০৮টি শব্দ সংবলিত প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে ও বেলুন উড়িয়ে ৭ মার্চের ‘শব্দ শোভাযাত্রা’ বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি উপজেলার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জাতির পিতার সমাধিতে গিয়ে শেষ হয়। পরে শিশু শিক্ষার্থীদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

এ সময় টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল বাশার খায়ের, সহ-সভাপতি ইলিয়াস হোসেন, উপজেলা চেয়ারম্যান সোলায়মান বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক বাবুল শেখ, পৌর মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুল, সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী মাসুদুল হক, থানার ওসি খন্দকার আমিনুর রহমান, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ফোরকান বিশ্বাস, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ বিশ্বাসসহ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতা ও বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।