ঢাকা , রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিএসএমএমইউতে তুলকালাম : বিদায়ী ভিসির ব্যক্তিগত সহকারীসহ কয়েকজনকে মারধর করে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৪:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ মার্চ ২০২৪
  • 58

অনলাইন ডেক্স : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য (ভিসি) শরফুদ্দিন আহমেদের মেয়াদ শেষের মুহূর্তে তার ব্যক্তিগত সহকারীসহ কয়েকজনকে মারধর করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

শরফুদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ তুলে তার কার্যালয়ের সামনে শনিবার বিক্ষোভ করেন আওয়ামী লীগপন্থি স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) শিক্ষকরা। এতে অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়টির কর্মকর্তা-কার্মচারী ও নার্সরাও। 

একপর্যায়ে শরফুদ্দিনের ব্যক্তিগত সহকারী ডা. রাসেল আহমেদকে চড়-থাপ্পড় দিয়ে উপাচার্যে কক্ষ থেকে বের করে দেওয়া হয়। বিএসএমএমইউর সুপার স্পেশালাইজড শাখা থেকেও একজনকে মারধর করে বের করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়।

সহকারীরে মারধরের কথা স্বীকার করে উপাচার্য শরফুদ্দিন আহমেদ বলেন, তারা কয়েকজনকে মারধর করেছে, আমি বিষয়টা শুনেছি। বিষয়টি নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কথা বলব। উপাচার্য শরফুদ্দিনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২৮ মার্চ। এরই মধ্যে গত ১১ মার্চ বিএসএমএমইউর উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক দীন মো. নূরুল হক।

মেয়াদ শেষের আগে উপাচার্য শরফুদ্দিনের বিরুদ্ধে ‘শতাধিক’ শিক্ষক কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে। এসব নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তার বিদায়ের মুহূর্তে বিক্ষোভ করছেন স্বাচিপের বিএসএমএমইউ ইউনিটের নেতারা।

আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা স্বাচিপের বিএসএমএমইউ শাখার সদস্য সচিব অধ্যাপক মো. আরিফুল ইসলাম জোয়ারদার টিটো বলেন, বেশ কিছুদিন আগে ভিসি হিসেবে নতুন ভিসি দীন স্যারের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে থেকে ভিসি আসার কারণে একটি অংশ বিরোধীতা করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু আমরা যারা ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছি, কেন্দ্রীয় ও বিএসএমএমইউয়ের স্বাচিপের নেতৃত্ব দিচ্ছি, এ সব স্বাচিপ কর্মীদের সবার কথা একটাই- নেত্রী যাকে নিয়োগ দিয়েছেন তাকেই আমরা ভিসি হিসেবে মন থেকে মেনে নিয়েছি, স্বাগত জানিয়েছি।

তিনি বলেন, সাধারণত ভিসি নিয়োগ পাওয়ার পর আগের ভিসি শুধুমাত্র দৈনন্দিন রুটিন কাজ করেন, যা ইতোপূর্বেও হয়েছে। কিন্তু বর্তমান উপাচার্য শতাধিক ডাক্তার, কর্মচারী ও প্রায় ৩০ জন প্রশাসনিক কর্মকর্তা নিয়োগের জন্য উঠে পড়ে লেগেছেন। সবাই মনে করছে এই নিয়োগের পেছনে অর্থের লেনদেন আছে।

নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য শরফুদ্দিন আহমেদ বলেন, নিয়োগের বিষয়টি আগেই ফয়সালা হয়েছে, এখন সিন্ডিকেট বসার সিদ্ধান্তটাও আগেই নেওয়া হয়েছে। এখন যারা বিরোধীতা করছে তারা কেউ আমার কাছে আসে নাই।
 

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

আগামী ৯ মে থেকে শুরু হচ্ছে চলতি মৌসুমের হজ ফ্লাইট

বিএসএমএমইউতে তুলকালাম : বিদায়ী ভিসির ব্যক্তিগত সহকারীসহ কয়েকজনকে মারধর করে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে

আপডেট সময় ০৪:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ মার্চ ২০২৪

অনলাইন ডেক্স : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য (ভিসি) শরফুদ্দিন আহমেদের মেয়াদ শেষের মুহূর্তে তার ব্যক্তিগত সহকারীসহ কয়েকজনকে মারধর করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

শরফুদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ তুলে তার কার্যালয়ের সামনে শনিবার বিক্ষোভ করেন আওয়ামী লীগপন্থি স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) শিক্ষকরা। এতে অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়টির কর্মকর্তা-কার্মচারী ও নার্সরাও। 

একপর্যায়ে শরফুদ্দিনের ব্যক্তিগত সহকারী ডা. রাসেল আহমেদকে চড়-থাপ্পড় দিয়ে উপাচার্যে কক্ষ থেকে বের করে দেওয়া হয়। বিএসএমএমইউর সুপার স্পেশালাইজড শাখা থেকেও একজনকে মারধর করে বের করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়।

সহকারীরে মারধরের কথা স্বীকার করে উপাচার্য শরফুদ্দিন আহমেদ বলেন, তারা কয়েকজনকে মারধর করেছে, আমি বিষয়টা শুনেছি। বিষয়টি নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কথা বলব। উপাচার্য শরফুদ্দিনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২৮ মার্চ। এরই মধ্যে গত ১১ মার্চ বিএসএমএমইউর উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক দীন মো. নূরুল হক।

মেয়াদ শেষের আগে উপাচার্য শরফুদ্দিনের বিরুদ্ধে ‘শতাধিক’ শিক্ষক কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে। এসব নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তার বিদায়ের মুহূর্তে বিক্ষোভ করছেন স্বাচিপের বিএসএমএমইউ ইউনিটের নেতারা।

আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা স্বাচিপের বিএসএমএমইউ শাখার সদস্য সচিব অধ্যাপক মো. আরিফুল ইসলাম জোয়ারদার টিটো বলেন, বেশ কিছুদিন আগে ভিসি হিসেবে নতুন ভিসি দীন স্যারের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে থেকে ভিসি আসার কারণে একটি অংশ বিরোধীতা করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু আমরা যারা ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছি, কেন্দ্রীয় ও বিএসএমএমইউয়ের স্বাচিপের নেতৃত্ব দিচ্ছি, এ সব স্বাচিপ কর্মীদের সবার কথা একটাই- নেত্রী যাকে নিয়োগ দিয়েছেন তাকেই আমরা ভিসি হিসেবে মন থেকে মেনে নিয়েছি, স্বাগত জানিয়েছি।

তিনি বলেন, সাধারণত ভিসি নিয়োগ পাওয়ার পর আগের ভিসি শুধুমাত্র দৈনন্দিন রুটিন কাজ করেন, যা ইতোপূর্বেও হয়েছে। কিন্তু বর্তমান উপাচার্য শতাধিক ডাক্তার, কর্মচারী ও প্রায় ৩০ জন প্রশাসনিক কর্মকর্তা নিয়োগের জন্য উঠে পড়ে লেগেছেন। সবাই মনে করছে এই নিয়োগের পেছনে অর্থের লেনদেন আছে।

নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য শরফুদ্দিন আহমেদ বলেন, নিয়োগের বিষয়টি আগেই ফয়সালা হয়েছে, এখন সিন্ডিকেট বসার সিদ্ধান্তটাও আগেই নেওয়া হয়েছে। এখন যারা বিরোধীতা করছে তারা কেউ আমার কাছে আসে নাই।