ঢাকা , বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বান্দরবানের তিন উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৫:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪
  • 12

সিনিয়র রিপোর্টার : বান্দরবানের তিন উপজেলার নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। উপজেলাগুলো হলো- রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়ি।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা জানান ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন চার নির্বাচন কমিশন, জননিরাপত্তা বিভাগ, জনপ্রশাসন, পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাবসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তারা।

যৌথ অভিযান থাকার কথা জানিয়ে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেন, বর্তমানে বান্দরবানের থানচি, রোমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দায়িত্ব পালন করছে। এজন্য এ তিন উপজেলার নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তীতে সুবিধাজনক সময়ে এ নির্বাচন করা হবে। অপারেশন চলমান থাকায় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সুপারিশের ভিত্তিতে এ তিনটি উপজেলার নির্বাচন পরবর্তীতে করবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি।

এদিকে চার ধাপে ভোট হওয়ায় এবার উপজেলা নির্বাচনে অন্য স্থানীয় সরকার নির্বাচনের চেয়ে বেশি সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত করা হবে। আগামী ৮ মে রোয়াংছড়ি ও থানচিতে ভোট হওয়ার কথা রয়েছে। রুমার ভোট হওয়ার কথা রয়েছে ২১ মে। এবার প্রথম ধাপে ১৫০ ও দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলার ভোট হওয়ার কথা রয়েছে। তৃতীয় ধাপে ১১২টির ভোট ২৯ মে এবং চতুর্থ ধাপের ভোট হবে ৫ জুন।

এদিন সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বৈঠকে বসে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

প্রসঙ্গত- গত ২ এপ্রিল রুমা উপজেলার সোনালী ব্যাংকে ডাকাতি করে অর্থ লুট করে একদল সশস্ত্র লোক। পুলিশের ১০টি এবং আনসার সদস্যের চারটি অস্ত্র ও লুট করে নিয়ে যায় তারা। অপহরণ করা হয় ব্যাংকটির ব্যবস্থাপক নেজাম উদ্দিনকে। দুদিন পর রুমার একটা পাহাড়ি এলাকা থেকে ছাড়া পান তিনি। রুমার ঘটনার একদিন পর ৩ এপ্রিল থানচি উপজেলার সোনালী ও কৃষি ব্যাংকেও দিন-দুপুরে অর্থ লুটের ঘটনা ঘটে। দুটি ঘটনায় পাহাড়ে সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফ জড়িত বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এরপর থেকে লুট হওয়া অস্ত্র-অর্থ উদ্ধার, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে রুমা ও থানচিতে অভিযান চালাচ্ছে যৌথ বাহিনী। অভিযানে অংশ নিয়েছে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‌্যাব ও পুলিশ সদস্যের যৌথ বাহিনী। যৌথ বাহিনীর এ অভিযান সমন্বয় করছে সেনাবাহিনী। যৌথ বাহিনীর এই অভিযানে বিভিন্ন এলাকা থেকে এখন পর্যন্ত ২১ নারীসহ ৭১ জনকে গ্রেফতারের খবর জানিয়েছে পুলিশ।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

বৃহস্পতিবার  ৪৬তম বিসিএস প্রিলির ফল প্রকাশ হতে পারে

বান্দরবানের তিন উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত

আপডেট সময় ০৫:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

সিনিয়র রিপোর্টার : বান্দরবানের তিন উপজেলার নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। উপজেলাগুলো হলো- রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়ি।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা জানান ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন চার নির্বাচন কমিশন, জননিরাপত্তা বিভাগ, জনপ্রশাসন, পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাবসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তারা।

যৌথ অভিযান থাকার কথা জানিয়ে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেন, বর্তমানে বান্দরবানের থানচি, রোমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দায়িত্ব পালন করছে। এজন্য এ তিন উপজেলার নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তীতে সুবিধাজনক সময়ে এ নির্বাচন করা হবে। অপারেশন চলমান থাকায় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সুপারিশের ভিত্তিতে এ তিনটি উপজেলার নির্বাচন পরবর্তীতে করবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি।

এদিকে চার ধাপে ভোট হওয়ায় এবার উপজেলা নির্বাচনে অন্য স্থানীয় সরকার নির্বাচনের চেয়ে বেশি সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত করা হবে। আগামী ৮ মে রোয়াংছড়ি ও থানচিতে ভোট হওয়ার কথা রয়েছে। রুমার ভোট হওয়ার কথা রয়েছে ২১ মে। এবার প্রথম ধাপে ১৫০ ও দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলার ভোট হওয়ার কথা রয়েছে। তৃতীয় ধাপে ১১২টির ভোট ২৯ মে এবং চতুর্থ ধাপের ভোট হবে ৫ জুন।

এদিন সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বৈঠকে বসে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

প্রসঙ্গত- গত ২ এপ্রিল রুমা উপজেলার সোনালী ব্যাংকে ডাকাতি করে অর্থ লুট করে একদল সশস্ত্র লোক। পুলিশের ১০টি এবং আনসার সদস্যের চারটি অস্ত্র ও লুট করে নিয়ে যায় তারা। অপহরণ করা হয় ব্যাংকটির ব্যবস্থাপক নেজাম উদ্দিনকে। দুদিন পর রুমার একটা পাহাড়ি এলাকা থেকে ছাড়া পান তিনি। রুমার ঘটনার একদিন পর ৩ এপ্রিল থানচি উপজেলার সোনালী ও কৃষি ব্যাংকেও দিন-দুপুরে অর্থ লুটের ঘটনা ঘটে। দুটি ঘটনায় পাহাড়ে সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফ জড়িত বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এরপর থেকে লুট হওয়া অস্ত্র-অর্থ উদ্ধার, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে রুমা ও থানচিতে অভিযান চালাচ্ছে যৌথ বাহিনী। অভিযানে অংশ নিয়েছে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‌্যাব ও পুলিশ সদস্যের যৌথ বাহিনী। যৌথ বাহিনীর এ অভিযান সমন্বয় করছে সেনাবাহিনী। যৌথ বাহিনীর এই অভিযানে বিভিন্ন এলাকা থেকে এখন পর্যন্ত ২১ নারীসহ ৭১ জনকে গ্রেফতারের খবর জানিয়েছে পুলিশ।