সিনিয়র রিপোর্টার : আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা উন্নয়নের ধারায় অনেক কিছু করে দিচ্ছি। মানুষ সচেতন না হলে কীভাবে সম্ভব। রক্ষণাবেক্ষণ করা, যত্ন করা তো জনগণের দায়িত্ব। কতো শেখান হবে আর। মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ সকল স্থাপনা ব্যবহারে জনগণকে আরও যত্নবান হতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় থাইল্যান্ড সফর নিয়ে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ড সফরের বিস্তারিত তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঢাকায় সবাইকে থাকতে হবে না। উপশহরে থেকে সকল কাজ করা যাবে এমন পরিকল্পনায় কাজ চলছে। এ সময় তিনি ফিলিস্তিনে অব্যাহত গণহত্যা, মিয়ানমারে চলমান সংঘাত ও রোহিঙ্গা সমস্যা নিরসনে এশিয়া-প্রশান্ত অঞ্চলসহ বিশ্ব সম্প্রদায়কে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী জানান, সফরকালে তিনি গভর্ণমেন্ট হাউসে (থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) থাই প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে দুই নেতার উপস্থিতিতে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে ভিসা অব্যাহতি, জ্বালানি সহযোগিতা, পর্যটন ও শুল্ক সংক্রান্ত বিষয় এবং মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) আলোচনার বিষয়ে পাঁচটি দ্বিপাক্ষিক নথি সই হয়।
পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী দুসিত প্রাসাদের অ্যামফোর্ন সাথার্ন থ্রোন হলে থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন ফ্রা ভাজিরা-ক্লাওচা-উয়ুয়া এবং রাণী সুথিদা বজ্রসুধা-বিমলা-লক্ষণের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এছাড়াও তিনি ব্যাংককের জাতিসংঘ সম্মেলন কেন্দ্রে জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসক্যাপ) ৮০তম অধিবেশনে ভাষণ দেন।
থাইল্যান্ডে ছয় দিনের সরকারি সফর শেষে গত ২৯ এপ্রিল তিনি ব্যাংকক থেকে দেশে ফিরেছেন।