ঢাকা , সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ষষ্ঠ উপজেলা  নির্বাচন : প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান হলেন যারা

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৬:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪
  • 18

অনলাইন ডেস্ক : গতকাল ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের  প্রথম ধাপে ১৩৯টি উপজেলায়  ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। বুধবার (৮ মে) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ করা হয়। ভোট গণনা শেষে রাতে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। এ ব্যাপারে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

ফরিদপুর

ফরিদপুরের তিনটি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফরিদপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সামচুল আলম চৌধুরী আনারস প্রতীকে ৩১ হাজার ৯৩১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মনিরুল হাসান (টেলিফোন) পেয়েছেন ৩০ হাজার ৯ ভোট।

চরভদ্রাসনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আলী মোল্লা আনারস প্রতীকে  ১৬ হাজার ১৬  ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সৈয়দ নিজামউদ্দিন  (টেলিফোন) পেয়েছেন ১০ হাজার ৪৫৪ ভোট।

মধুখালীতে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক মোহাম্মদ মুরাদুজ্জামান দোয়াত কলম প্রতীকে ২৯ হাজার ৪৭৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আহসানুজ্জামান আজাউল ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ১৮ হাজার ৪৮৫ ভোট।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তারেক আহম্মেদ বলেন, জেলার তিনটি উপজেলায় অবাধ সুষ্ঠ এবং নিরপেক্ষ পরিবেশের মধ্য দিয়ে একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রের ফলাফল কেন্দ্রীয়ভাবে মিলিয়ে ঘোষণা করা হয়।

যশোর

যশোরে দুইটি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কেশবপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ঘোড়া প্রতীকের মফিজুর রহমান ১৮ হাজার ৪৬৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শালিক প্রতীকের নাসিমা আকতার সাদেক পেয়েছেন ১৪ হাজার ১৬ ভোট। এ নির্বাচনে তিনটি পদে ১৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে তালা প্রতীকের আব্দুল্লাহ আল মামুন ৩২ হাজার ৪৩৪ ভোট পেয়ে ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফুটবল প্রতীকের রাবেয়া ইকবাল ৩৭ হাজার ৩০৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। 

কেশবপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটানিং কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই কেশবপুরে শান্তিপূর্ণভাবে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখানে মোট ভোটার সংখ্যা দুই লাখ ২০ হাজার ৯৫৪ জন। মোট ৯৫টি কেন্দ্রের ৬৭০টি কক্ষে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ইভিএমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

মণিরামপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন লাভলু আনারস মার্কায় ৫৯ হাজার ২৭৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক ফারুক হোসেন পেয়েছেন ৫২ হাজার ৭১৮ ভোট। এই উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে সন্দীপ ঘোষ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে পুনরায় কাজী জলি আক্তার বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে রোমা আক্তার ও সরাইল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মো. শের আলম জয়লাভ করেছেন। বুধবার (৮ মে) রাত ১০টার দিকে ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

বিজয়ী রোমা আক্তার নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও শের আলম সরাইল উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। নাসিরনগরে এই প্রথমবারের মতো কোনো নারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হলেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বেসরকারিভাবে নির্বাচিত রোমা আক্তার পেয়েছেন ৩৪ হাজার ১ ভোট।  নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক বিএনপি নেতা ওমরাও খান পেয়েছেন ১৮ হাজার ৩৮০ ভোট। অন্যদিকে সরাইলে ৩৯ হাজার ৩০৬ ভোট পেয়ে শের আলম বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সদ্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর পেয়েছেন ২৮ হাজার ৮৩৪ ভোট।

সরাইল উপজেলায় পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন হানিফ আহমেদ সবুজ। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে গিয়ে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন তিনি। আর উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছা. রোকেয়া বেগম মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন।

নাসিরনগরে পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন আবু আহম্মদ কামরুল এবং রিটা আক্তার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

কুড়িগ্রাম

কুড়িগ্রামের ৩টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বেসরকারি ফলাফল পাওয়া গেছে।

কুড়িগ্রাম জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আলমগীর কবির জানান, প্রথম ধাপে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনে চিলমারীতে মো. রুকুনুজ্জামান শাহিন (জাপা)  আনারস প্রতীক নিয়ে ২৮ হাজার ১৯৪ ভোট পেয়ে দ্বিতীয়বার বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।

রৌমারী উপজেলায় মো. শহিদুল ইসলাম শালু (আওয়ামী লীগ) কাপ পিরিচ প্রতীক নিয়ে ২৪ হাজার ৫০৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।

চর রাজিবপুর উপজেলায় মো: শফিউল আলম (আওয়ামী লীগ)  আনারস প্রতীকে ১৭ হাজার ৭৪৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।

ফেনী 

ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বেসরকারি ফলাফলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুন মজুমদার জয়ী হয়েছেন। বুধবার রাত ৮টার দিকে ভোট গণনা শেষে বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাউল করিম।

মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৫ হাজার ৫৭১ জন। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২৭ হাজার ৬৩৫ ভোট পেয়ে কাপ-পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী হারুন মজুমদার বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী মোহাম্মদ জাফর উল্ল্যাহ ভূঁঞা পেয়েছেন ৭৭৫ ভোট।

চাঁদপুর

চাঁদপুরে দুটি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে মতলব দক্ষিণ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান হিসেবে বিজয়ী হয়েছেন অধ্যাপক সিরাজুল মোস্তফা তালুকদার ও মতলব উত্তর উপজেলায় বিজয়ী হয়েছেন মোহাম্মদ মানিক দর্জি।

বুধবার রাতে বেসরকারীভাবে মতলব দক্ষিণ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাতিমা সুলতানা এবং উত্তর উপজেলা পরিষদের ফলাফল ঘোষণা করেন একি মিত্র চাকমা।

মতলব দক্ষিণ উপজেলায় তিনজন প্রার্থী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তাদের মধ্যে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা দোয়াত-কলম প্রতীকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন সিরাজুল মোস্তফা তালুকদার। তিনি ভোট পেয়েছেন ১৬ হাজার ৯১০টি। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী খাদেরগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আনারস প্রতীকের সৈয়দ মনজুর হোসেন পেয়েছেন ১৬ হাজার ১১৬ ভোট। আরেক প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএইচএম কবির আহমেদ ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ১৩ হাজার ৩৬১ ভোট।

মতলব উত্তর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ঘোড়া প্রতিকের প্রার্থী মোহাম্মদ মানিক দর্জি ৩৩ হাজার ৭৩৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জহিরবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আনারস প্রতিকের মুক্তার গাজী পেয়েছেন ১৭ হাজার ৭৩৯ ভোট। অপর প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস কাপ-পিরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ১৫ হাজার ৩৮ ভোট। 

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী হওয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লাভলী চৌধুরী। এখানে মোট ভোটার ২ লাখ ৭৭ হাজার ৮২৫। এর মধ্যে গড় ভোট পড়েছে ২৩.৭৯ শতাংশ। প্রথম ধাপে চাঁদপুরের মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ১৫৭টি কেন্দ্রে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে রিয়াজুল হাসান রিয়াজ টিউবওয়েল প্রতীকের প্রার্থী ৪৭ হাজার ৫৮৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান তালা প্রতীকে প্রার্থী ১৮ হাজার ২৬৭ ভোট পেয়েছেন।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন দু’জন। এদের মধ্যে নাজমা আক্তার আসমা (আখি) ২৩ হাজার ২৪৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শাহিনুর আক্তার (শীলা মনি) হাঁস প্রতীকে পেয়েছেন ২৩ হাজার ২২ ভোট। অপরদিকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন দেওয়ান শওকত আলী বাদল। এখানে মোট ভোটার ১ লাখ ৯৭ হাজার ২৬ জন। এরমধ্যে গড় ভোট পড়েছে ২৩. ৪১ শতাংশ।

নারায়ণগঞ্জ 

নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সবকটি কেন্দ্রের বেসরকারি ফলাফল পাওয়া গেছে। এতে চেয়ারম্যান পদে জেলা জাতীয় পার্টির (জাপা) সহ-সভাপতি মাকসুদ হোসেন আনারস প্রতীকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

বুধবার রাতে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা কাজী মো. ইস্তাফিজুল হক আকন্দ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, মাকসুদ হোসেন আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ২৯ হাজার ৮৭৪ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ও মহানগর বিএনপির বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি আতাউর রহমান মুকুল চিংড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ১৫ হাজার ৬৫৩। অপর প্রার্থী বন্দর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ রশিদ দোয়াত-কলম প্রতীকে পেয়েছেন ১২ হাজার ৬০৮ ভোট।

মেহেরপুর

মেহেরপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৪০ হাজার ৯২৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আনারুল ইসলাম। নির্বাচনী প্রতিক ছিল মোটরসাইকেল। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম শাহীন কাপ পিরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ১০ হাজার ৫০৭ ভোট।

মুজিবনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীকে ১৭ হাজার ৬৩ ভোট পেয়ে আমাম হোসেন মিলু বেসরকারিভাবে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রফিকুল ইসলাম তোতা কাপ পিরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ১৫ হাজার ১০০ ভোট। 

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ ওয়ালীউল্লাহ ভোট গণনা শেষে রাতে দুই উপজেলার ফলাফল ঘোষণা করেন।

শরীয়তপুর

শরীয়তপুরের নড়িয়া ও ভেদরগঞ্জ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। নড়িয়া উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন একেএম ইসমাইল হক। মোটরসাইকেল প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৩০ হাজার ২২৮ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী মামুন শিকদার ভিপি মোস্তফা পেয়েছেন ২০ হাজার ৫২৭ ভোট। টানা তৃতীয়বারের মতো উপজেলা চেয়ারম্যান হলেন একেএম ইসমাইল হক

ভেদরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ইঞ্জিনিয়ার ওয়াছেল কবির গুলফাম বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৬০ হাজার ৩১২ ভোট । নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী হুমায়ুন কবির মোল্লা পেয়েছেন ৪২ হাজার ৫২৫ ভোট।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান বলেন, শরীয়তপুরের নড়িয়া ও ভেদরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ সুষ্ঠ ও সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বান্দরবান 

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে বান্দরবান সদর ও  আলীকদম উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সদর উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে আব্দুল কুদ্দুস বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৯ হাজার ১৪৪ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী একেএম জাহাঙ্গীর আনারস প্রতীক পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৬৬ ভোট পেয়েছেন।

আলীকদম উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে জামাল উদ্দীন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। দোয়াত কলম প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৯ হাজার ৭০০ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. আবুল কালাম আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৭ হাজার ৫১৬ ভোট।

বান্দরবান সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো শহিদুল ইসলাম জানান, প্রশাসনের সার্বিক প্রচেষ্টায় শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীরা নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলায় এটা সম্ভব হয়েছে। নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন বিজয়ী প্রার্থীরা। 

পিরোজপুর

পিরোজপুরের তিনটি উপজেলায় শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার (৮ মে) ইভিএমে পিরোজপুর সদর, ইন্দুরকানী ও নাজিরপুরে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

রা‌তে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন অফিসার মো. মিজানুর রহমান বেসরকা‌রিভা‌বে নির্বাচনে বিজয়ী‌দের নাম ঘোষণা ক‌রেন। 

পিরোজপুর সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে এসএম বায়জিদ হোসেন, ইন্দুরকানীতে জিয়াউল আহসান গাজী ও  নাজিরপুর উপজেলায় এস এম নূরে আলম সিদ্দিকী শাহীন বিজয়ী হয়েছেন। 

সদর উপজেলায় এসএম বায়জিদ হোসেন দোয়াত কলম প্রতীকে ৩৪ হাজার ৭৩৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. শফিউল হক মিঠু আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ৬০৭ ভোট। 

ইন্দুরকানী উপজেলায় জিয়াউল আহসান গাজী আনারস প্রতীকে ১১ হাজার ২০৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফাইজুল কবির দোয়াত কলম প্রতীকে পেয়েছেন ৭ হাজার ৭৪৩ ভোট। 

নাজিরপুর উপজেলায় এস এম নূরে আলম সিদ্দিকী শাহীন দোয়াত কলম প্রতীকে ১৯ হাজার ২৭২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোহাম্মদ আলী সিকদার ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ১৮ হাজার ২৯৩ ভোট।

কুষ্টিয়া

কুষ্টিয়া সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়েছেন কুষ্টিয়া সদর আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফের চাচাতো ভাই আতাউর রহমান আতা। তিনি আনারস প্রতীক নিয়ে ৬৭ হাজার ৪৮১ ভোট পেয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে আবু আহাদ আল মামুন ৩ হাজার ৫৬৪ ভোট পেয়েছেন। 

বুধবার রাতে সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার মো. সহিদুল রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন খোকসা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আল মাসুম মোর্শেদ শান্ত। তিনি ঘোড়া প্রতীক নিয়ে ২৫ হাজার ১০১ ভোট পেয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী খোকসা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান বাবুল আখতার মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে ১৯ হাজার ৫৩৯ ভোট পেয়েছেন। 

খোকসা উপজেলা নির্বাচন অফিসার আলমগীর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

পঞ্চগড়

পঞ্চগড় জেলার সদর উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এএস মো শাহনেওয়াজ প্রধান শুভ ঘোড়া প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৩১ হাজার ৯৯৮টি ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আমিরুল ইসলাম। তিনি মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ১৫ হাজার ৩৮৭টি। 

তেঁতুলিয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন ব্যবসায়ী নিজাম উদ্দিন খাঁন। তিনি পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৮৪০টি ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মুক্তারুল হক মুকু ঘোড়া প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১১ হাজার ৮৬৫টি ভোট।

আটোয়ারী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক আনিসুর রহমান। তিনি ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ৩১ হাজার ৭৫৭ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম মোটরসাইকেল প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ২৫ হাজার ৮৮৭টি। 

জেলার তিন উপজেলায় মোট ভোটার ৪ লাখ ৪২ হাজার ৮৭৬ জন। পুরুষ ভোটার ২ লাখ ২২ হাজার ৮৬৯ জন ও নারী ভোটার ২ লাখ ২০ হাজার ৩ জন। তিন উপজেলায় ভোট কেন্দ্র ১৫৬টি ও বুথ ১ হাজার ২১৬টি। তিন উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট ৩৩ জন প্রার্থী ভোট লড়াই করেছেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এনামুল হক জানান, অবাধ, সুষ্ঠ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সিরাজগঞ্জ

সিরাজগঞ্জের তিনটি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন আনারস প্রতীকে ৪৭ হাজার ৮০৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রাশেদ ইউসুফ জুয়েল দোয়াত কলম প্রতীকে পেয়েছেন ৪৩ হাজার ৯৮৪ ভোট। 

কাজিপুরের বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খলিল সিরাজী আনারস প্রতীকে ৪৫ হাজার ২৩৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আশরাফুল আলম ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ২৫ হাজার ৬০৪ ভোট।

বেলকুচিতে ইঞ্জিনিয়ার আমিনুল ইসলাম দোয়াত কলম প্রতীকে ৫৪ হাজার ৮৪২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বদিউজ্জামান ফকির মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৩৫৭ ভোট। 

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটানিং অফিসার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বলেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সুষ্ঠ ও সুন্দরভাবে সিরাজগঞ্জের সকল উপজেলা পরিষদ সম্পন্ন হয়েছে। 

সুনামগঞ্জ

সুনামগঞ্জের দিরাই ও শাল্লা উপজেলায় অবনীমোহন দাস ও প্রদীপ রায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

সুনামগঞ্জের দিরাই ও শাল্লা উপজেলায় ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন-২০২৪ এর আওতায় ১ম ধাপের ভোটগ্রহণ অবাধ নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে। বৈরী আবহাওয়া ও ফসল কাটা মৌসুমের শেষ সময়ে ভাটি অঞ্চলে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি শতকরা ৫০ ভাগ ছিল।

বেসরকারী ফলাফলে জানা গেছে শাল্লা উপজেলায় জেলা আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট অবনীমোহন দাস ও দিরাই উপজেলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন।

দিনাজপুর

দিনাজপুরে তিনটি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

জেলার হাকিমপুর উপজেলায় উপজেলা চেয়ারম্যান পদে মো. কামাল হোসেন রাজ মোটরসাইকেল প্রতীকে ২২ হাজার ২৫১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হারুন উর রশীদ হারুন টেলিফোন প্রতীকে পেয়েছেন ১৯ হাজার ৩৭৮ ভোট।

ঘোড়াঘাট উপজেলায় কাজি শুভ রহমান চৌধুরী আনারস প্রতীকে ২৮ হাজার ৬৩৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সারোয়ার হোসেন মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৮ হাজার ৩৮৪ ভোট।

বিরামপুর উপজেলায় মো. পারভেজ কবির ঘোড়া প্রতীকে ৪২ হাজার ৯৬৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মতিউর রহমান আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৩২ হাজার ৮০৭ভোট।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম বলেন, প্রথম ধাপে বিরামপুর, ঘোড়াঘাট ও হাকিমপুর উপজেলার নির্বাচন সুষ্ঠভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কুড়িগ্রাম

কুড়িগ্রামে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রৌমারীর মো. শহিদুল ইসলাম শালু কাপ পিরিচ, চিলমারীর রুকনুজ্জামান শাহিন আনারস ও রাজিবপুরের মো শফিউল আলম আনারস প্রতীকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। 

শহিদুল ইসলাম শালু রৌমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি। তিনি ২৪ হাজার ৫০৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. মজিবুর রহমান বঙ্গবাসী টেলিফোন প্রতীকে পেয়েছেন ২৪ হাজার ২৫৩ ভোট পেয়েছেন। রৌমারী উপজেলায় মোট ৬১টি ভোট কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৬৮ হাজার।

চিলমারীতে রুকনুজ্জামান শাহিন আনারস প্রতীকে ২৮ হাজার ১৯৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি চিলমারী উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রেজাউল করিম লিচু কাপ পিরিচ প্রতীকে ১১ হাজার ৫৮৪ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন। রেজাউল করিম লিচু চিলমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এই উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৯ হাজার ৪৪৪ জন। 

রাজিবপুরে মো. শফিউল আলম আনারস প্রতীকে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ভোট পেয়েছেন ১৭ হাজার ৭৪৬টি। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আরিফুর রনি তালুকদার রানা ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ১৭ হাজার ৩৮৬ ভোট। নির্বাচিত শফিউল আলম কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। 

কুড়িগ্রাম জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলমগীর কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নাটোর

নাটোর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান কাপ পিরিচ প্রতীকে ৩৪ হাজার ৭৯৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম দোয়াত কলম প্রতীক নিয়ে ৩১ হাজার ৮৫৩ ভোট পেয়েছেন। শরিফুল ইসলাম রমজান সদর উপজেলায় টানা তৃতীয়বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন।

নলডাঙ্গা উপজেলায় আওয়ামী লীগ নেতা রবিউল জোড়া ফুল প্রতীক নিয়ে ১১ হাজার ২৪০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান পেয়েছেন ১০ হাজার ৭১৭ ভোট।

এদিকে সিংড়া উপজেলায় আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন দেলোয়ার হোসেন পাশা।

পাবনা

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে পাবনার তিনটি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সুজানগর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ওহাব মোটরসাইকেল প্রতীকে ৬২ হাজার ৭৫২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিনুজ্জামান শাহীন  (আনারস) পেয়েছেন ৫৮ হাজার ৪৪১ ভোট।

সাঁথিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা খোকন (কাপ-পিরিচ) ৩৮ হাজার ৫২৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আশরাফুজ্জামান টুটুল (আনারস) পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৭১২ ভোট। আর বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজলা আ’লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ দেলোয়ার পেয়েছেন ১৪ হাজার ১৭৪  ভোট।

বেড়ায় বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও আমিনপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হক বাবু (হেলিকপ্টার) ২৯ হাজার ৬৮৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র আব্দুল বাতেন (ঘোড়া) পেয়েছেন ২৩ হাজার ৭৬৬ ভোট। এই উপজেলার আরেক নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আফজার হোসেন পেয়েছেন ১৯ হাজার ৬২২ ভোট।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, পাবনার তিনটি উপজেলা কোন প্রকার সহিংসতা ছাড়াই অবাধ নিরপেক্ষভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।

ময়মনসিংহ

ময়মনসিংহের তিনটি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনের বেসরকারি ফলাফলে ফুলপুর ও ধোবাউড়ায় আওয়ামী লীগ এবং হালুয়াঘাটে বিএনপি নেতা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

ফুলপুর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান আনারস প্রতীকে ৪৯ হাজার ৩৯১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আতাউল করিম রাসেল ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ৩৬ হাজার ২১৬ ভোট।

হালুয়াঘাট উপজেলায় উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য মো. আব্দুল হামিদ আনারস প্রতীকে ৩৪ হাজার ১৮৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি মো. নাজিম উদ্দিন (দোয়াত-কলম) পেয়েছেন ২৮ হাজার ৭৭ ভোট।

ধোবাউড়া উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ডেভিড রানা চিসিম আনারস প্রতীকে ২৮ হাজার ৬৩৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান আকন্দ সাগর ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ২১ হাজার ৩৪৮ ভোট।

রিটার্নিং ও জেলা নির্বাচন অফিসার মো. সফিকুল ইসলাম জানান, কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই সুষ্ঠভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করা হয়েছে।

সিলেট 

সিলেটের চারটি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সিলেট সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে কাপ পিরিচ প্রতীকে ২৩ হাজার ২৬৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী একই দলের নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শামসুল ইসলাম টুনু আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১৩ হাজার ৮৬৩ ভোট।

ভোট গণনা শেষে বুধবার (৮ মে) রাতে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান বিজয়ী প্রার্থীদের তথ্য নিশ্চিত করেন।

দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে টেলিফোন প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদরুল ইসলাম। তিনি টেলিফোন প্রতীকে ২১ হাজার ৭৬৮ ভোট পেয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ১৩ হাজার ৯৮৮ ভোট।

গোলাপগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য মঞ্জুর কাদির শাফি চৌধুরী এলিম। তিনি দোয়াত কলম প্রতীকে ৩৭ হাজার ৭৮৯ ভোট পেয়ে পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী যুবলীগের সভাপতি আবু সুফিয়ান উজ্জ্বল আনারস প্রতীকে ২৯ হাজার ১৭ ভোট ও জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য শাহিদুর রাহমান জাবেদ ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ১৫ হাজার ৪১৩ ভোট পেয়েছেন।

বিশ্বনাথ উপজেলায় নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মোহাম্মদ সুহেল আহমদ চৌধুরী। কাপ পিরিচ প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ১৩ হাজার ৩২২। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকের প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন আহমদ পেয়েছেন ১২ হাজার ৯৬৮ ভোট।

চুয়াডাঙ্গা

চুয়াডাঙ্গার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দামুড়হুদায় আলী মুনছুর ও জীবননগরে মো. হাফিজুর রহমান হাফিজ চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। 

বুধবার (৮ মে) রাত পৌনে ১২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা নির্বাচন অফিসার মোতাওয়াক্কিল রহমান বেসরকারি ফলাফল সংবাদকর্মীদের কাছে হস্তান্তর করেন।

চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজগার টগরের আপন ভাই ও দর্শনা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বর্তমান চেয়ারম্যান আলী মুনছুর আনারস প্রতীক নিয়ে ৪৯ হাজার ৯৫২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী এস এ এম জাকারিয়া আলম ১৩ হাজার ৫৩০ ভোট পেয়েছেন। ঘোড়া প্রতীক নিয়ে অ্যাডভোকেট আবু তালেব পেয়েছেন ২ হাজার ৫৯০ ভোট।

জীবননগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বর্তমান চেয়ারম্যান মো. হাফিজুর রহমান হাফিজ ৯ হাজার ৪৩৬ ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি কাপ পিরিচ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৫৩ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এস কে লিটন আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৩ হাজার ৬১৭ ভোট।

দামুড়হুদা উপজেলায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন তানিয়া খাতুন। তিনি ফুটবল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৪৮৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাহিদা খাতুন ২৯ হাজার ৪৭ ভোট পেয়েছেন। জীবননগর উপজেলায় বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েশা সুলতানা লাকীকে হারিয়ে বিজয়ী হয়েছেন রেনুকা আক্তার রিতা। তিনি হাস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৬ হাজার ১০৮ ভোট। আর কলস প্রতীক নিয়ে আয়েশা সুলতানা লাকী পেয়েছেন ১৮ হাজার ৫৬৬ ভোট।

এদিকে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় দামুড়হুদায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে শফিউল কবীর ইউসুফ ও জীবননগরে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আব্দুস সালাম ঈসা নির্বাচিত হয়েছেন।

রাজবাড়ী

প্রথম ধাপে রাজবাড়ীর পাংশা ও কালুখালী উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৮ মে) ভোটগ্রহণ শেষে রাত সাড়ে ১০টায় বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার।

পাংশা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৫৪ হাজার ৫৭৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোটরসাইকেল প্রতীকের খন্দকার সাইফুল ইসলাম বুড়ো। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকের ফরিদ হাসান ওদুদ ৩৫ হাজার ৯৪২ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন।

কালুখালী উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আলিউজ্জামান চৌধুরী টিটু আনারস প্রতীকে ৩৮ হাজার ৫৭৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। অপর তিন প্রার্থীর মধ্যে এনায়েত হোসেন মোটরসাইকেল প্রতীকে ২ হাজার ৯০০ ভোট, এ বি এম রোকনুজ্জামান কাপ পিরিচ প্রতীকে ৩৪১ ভোট ও মাসুদুর রহমান দোয়াত-কলম প্রতীকে ২৩৭ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন।

জেলা নির্বাচন অফিসার ও ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার অলিউল ইসলাম বলেন, প্রথম ধাপে পাংশা ও কালুখালী উপজেলা পরিষদের নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। কোনো প্রার্থীর আজকের নির্বাচন নিয়ে অভিযোগ ছিল না।

বরিশাল

বরিশাল সদর ও বাকেরগঞ্জ উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার গণনা শেষে রাত ১২টার দিকে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা বরিশাল জেলার জ্যেষ্ঠ নির্বাচন অফিসার ওহিদুজ্জামান মুন্সী।

বরিশাল সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন কাপ পিরিচ প্রতীকের আব্দুল মালেক। তিনি পেয়েছেন ১৯ হাজার ৮০৭ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোটরসাইকেল প্রতীকের এসএম জাকির হোসেন পেয়েছেন ১৭ হাজার ৪১৪ ভোট। অপর প্রার্থীদের মধ্যে আনারস প্রতীকের মাহমুদুল হক খান মামুন পেয়েছেন ১৪ হাজার ১৪১ ভোট, ঘোড়া প্রতীকের মাহবুবুর রহমান পেয়েছেন ১১ হাজার ২৭০ ভোট এবং দোয়াত-কলম প্রতীকে মনিরুল ইসলাম পেয়েছেন ৭ হাজার ৮৬৮ ভোট।

সদরে ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন তালা প্রতীক নিয়ে জসিম উদ্দিন। তিনি পেয়েছেন ২৯ হাজার ৯৩৭ ভোট। নিকটতম প্রতীদ্বন্দ্বী বই প্রতীকে মাহিদুর রহমান মাহাদ পেয়েছেন ২৪ হাজার ৩৭৩ ভোট। টিউবওয়েল প্রতীকে হাদিস মীর ৮ হাজার ৯১৮ ও উড়োজাহাজ প্রতীকে মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ ৫ হাজার ৪৭৮ ভোট পেয়েছেন।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন কলস প্রতীকের অ্যাডভোকেট হালিমা বেগম। তিনি পেয়েছেন ৪১ হাজার ৫৩৫ ভোট। নিকটতম প্রতীদ্বন্দ্বী হাস প্রতীকে নেহার বেগম পেয়েছেন ১৬ হাজার ২৮৮ ও ফুটবল প্রতীকে মারিয়া আক্তার ১০ হাজার ৩২২ ভোট।

বাকেরগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন কাপ পিরিচ প্রতীকের রাজিব আহম্মদ তালুকদার। তিনি পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৫৪৯ ভোট। নিকটতম প্রতীদ্বন্দ্বী বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৩৫ হাজার ১৪৫ ভোট। এছাড়া দোয়াত-কলম প্রতীকে ফিরোজ আলম খান পেয়েছেন ১ হাজার ৫১ ভোট ও মোটরসাইকেল প্রতীকে শাহবাজ মিঞা পেয়েছেন ২৮৩ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন আবদুস সালাম মল্লিক ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে জাহানারা মাহাবুব।

বাগেরহাট

বাগেরহাটে দুইটি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রামপাল উপজেলা চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মোয়াজ্জেম হোসেন আনারস প্রতীকে ২৪ হাজার ১৯৪ ভোট পেয়ে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন। 

নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রামপাল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শেখ জামিল হাসান জামু পেয়েছেন ২৩ হাজার ৯৪৭ ভোট। এ উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল হক লিপন তালা প্রতীকে পেয়েছেন ১৯ হাজার ৩২৫ ভোট পেয়ে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন। উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হোসনেয়ারা মিলি কলস প্রতীকে ২৫ হাজার ৪১২ ভোট পেয়ে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন।

বাগেরহাট সদর উপজেলায় ৩ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় নির্বাচিত হয়েছেন। বিজয়ীরা হলেন, চেয়ারম্যান পদে বাগেরহাট সদর উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সভাপতি সরদার নাসির উদ্দিন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক ও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান খান রেজাউল ইসলাম এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বাগেরহাট পৌর আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক ও বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রিজিয়া পারভীন।

কচুয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে রাড়িপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান বাবু দোয়াত-কলম প্রতীকে ২৬ হাজার ৩৯১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাগেরহাট জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মীর জায়েসী আশরাফি জেমস মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ১৯ হাজার ৪৬৭ ভোট। এ উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে কচুয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শেখ সুমন টিয়া পাখি প্রতীকে ৩৭ হাজার ৫৪১ ভোট ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে হনুফা খাতুন ২৪ হাজার ৯২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।

রংপুর

রংপুরের পীরগাছায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ মিলন চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৪২ হাজার ৭৬৮ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মনোয়ারুল ইসলাম দোয়াত-কলম প্রতীকে পেয়েছেন ৪০ হাজার ৯৪৮ ভোট।

কাউনিয়া উপজেলায় পুনরায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের আনোয়ারুল ইসলাম মায়া। তিনি মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৬০ হাজার ৭১৪ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী একই দলের আব্দুর রাজ্জাক আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৪৭ হাজার ৮৬৩ ভোট।

বুধবার (৮ মে) রাতে রংপুরের দুই উপজেলার ভোট গণনা শেষে বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন রংপুরের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুলাহ আল মোতাহসিম।

সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরার শ্যামনগর ও কালিগঞ্জ উপজেলায় প্রথম ধাপের নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কালিগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শেখ মেহেদী হাসান সুমন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৬২ হাজার ৩৪৪ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাঈদ মেহেদী ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ৩১ হাজার ৯৪৫ ভোট।

এদিকে শ্যামনগর উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক সাইদ উজ জামান সাইদ আনারস প্রতীকে ৫১ হাজার ৩৫১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী গোলাম মোস্তফা ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ৩২ হাজার ৩৭৪ ভোট।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম বলেন, সাতক্ষীরার শ্যামনগর ও কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ সুষ্ঠ ও সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এছাড়া ভোটার উপস্থিতি ছিল সন্তোষজনক।

মুন্সীগঞ্জ

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুনসুর আহমেদ খান জিন্নাহ। কাপ পিরিচ প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ৪৪ হাজার ৫৩৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আমিরুল ইসলাম পেয়েছেন আনারস প্রতীক নিয়ে‌ ২৩ হাজার ৫৬৯ ভোট।  

অপর প্রার্থী আশরাফুল ইসলাম আকাশ দোয়াত-কলম প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৪১৯ ভোট, আবুল বাশার ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ৫ ভোট। 

মুন্সীগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বশির আহমেদ স্বাক্ষরিত বার্তা প্রেরণ শিট থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

এছাড়া এই উপজেলায় পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মিনা আক্তার ফুটবল প্রতীক নিয়ে জয়লাভ করেছে।

জয়পুরহাট 

জয়পুরহাটের কালাই, ক্ষেতলাল ও আক্কেলপুর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে কালাই উপজেলায় মোটরসাইকেল প্রতীকে ৪২ হাজার ৪৫৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিনফুজুর রহমান। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকের জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক তৌফিকুল ইসলাম তালুকদার বেলাল পেয়েছেন ৩০ হাজার ৯৪৩ ভোট। আরেক প্রার্থী সাবিনা ইয়াসমীন ঘোড়া প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১০ হাজার ২৯৯ ভোট।

বুধবার (৮ মে) রাতে রিটার্নিং ও জেলা নির্বাচন অফিসার ফজলুল করিম বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন।

ক্ষেতলাল উপজেলায় দোয়াত-কলম প্রতীকে ৩০ হাজার ৪০০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন ক্ষেতলাল পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি দুলাল মিয়া সরদার। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকের তাইফুল ইসলাম তালুকদার পেয়েছেন ২২ হাজার ৯০০ ভোট। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। বর্তমান চেয়ারম্যান মোস্তাকিম মন্ডল মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৪ হাজার ৯২৮ ভোট। তিনি ক্ষেতলাল উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। আরেক প্রার্থী নাজ্জাসী ইসলাম ঘোড়া প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১১৫ ভোট।

আক্কেলপুর উপজেলায় মোটরসাইকেল প্রতীকে ১৯ হাজার ৫৩৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোকছেদ আলী মন্ডল। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকের নুরুন্নবী আরিফ পেয়েছেন ৩ হাজার ১৮৮ ভোট। আরেক প্রার্থী নাজমা আখতার লাখি ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ৬৯২ ভোট।

এদিকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে কালাই উপজেলায় উড়োজাহাজ প্রতীকে গোলাম মোস্তাফা ৩৪ হাজার ৩৯৩ ভোট, ক্ষেতলাল উপজেলায় টিউবওয়েল প্রতীকে মতলুব হোসেন ২৪ হাজার ৬১৭ ভোট ও আক্কেলপুর উপজেলায় টিউবওয়েল প্রতীকে টুটুল হোসেন ৯ হাজার ৫৯৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। আর মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে কালাই উপজেলায় হাঁস প্রতীকে মেরিনা খাতুন ৪৩ হাজার ৪১ ভোট, ক্ষেতলাল উপজেলায় সেলাই মেশিন প্রতীকে নুরুন্নাহার গুন্নাহ ৩৭ হাজার ৩৭০ ভোট ও আক্কেলপুর উপজেলায় প্রজাপতি প্রতীকে আছিয়া খানম সম্পা ১১ হাজার ২৫০ ভোট বিজয়ী হয়েছেন।

কিশোরগঞ্জ

কিশোরগঞ্জে প্রথম ধাপে তিন উপজেলার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৮ মে) রাতে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোরশেদ আলম বেসরকারিভাবে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন।

সদর উপজেলায় মো. আওলাদ হোসেন মোটরসাইকেল প্রতীকে ৪৪ হাজার ৯৪২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মামুন আল মাসুদ খান কাপপিরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ৪২ হাজার ১৫৪ ভোট।

এ উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে রিফাত উদ্দিন আহম্মেদ বচন উড়োজাহাজ প্রতীকে ২৫ হাজার ৫৭২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোখলেছুর রহমান মিতুল চশমা প্রতীকে পেয়েছেন ২১ হাজার ১৯৯ ভোট। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছা. মাছুমা আক্তার। তিনি হাঁস প্রতীকে পেয়েছেন ৫৪ হাজার ৫৫ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তাছলিমা সুইটি ফুটবল প্রতীকে পেয়েছেন ৩২ হাজার ৫৭৪ ভোট।

পাকুন্দিয়া উপজেলায় এমদাদুল হক জুটন আনারস প্রতীকে ২৮ হাজার ৭৩৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রফিকুল ইসলাম রেনু মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ২৭ হাজার ৭৯১ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফজলুল হক বাচ্চু তালা চাবি প্রতীকে ২৬ হাজার ৩৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আতাউর রহমান উড়োজাহাজ প্রতীকে পেয়েছেন ২৩ হাজার ১৮৭ ভোট।

এ উপজেলায় টানা তৃতীয়বারের মতো মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন শামসুন্নাহার আপেল। তিনি কলস প্রতীকে পেয়েছেন ৪৮ হাজার ৯৬২ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ললিতা আক্তার ফুটবল প্রতীকে পেয়েছেন ১৭ হাজার ১৮৩ ভোট।

হোসেনপুর উপজেলায় মোহাম্মদ সোহেল আনারস প্রতীকে ২৩ হাজার ৯৬৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এমএ হালিম হেলিকপ্টার প্রতীকে ১৭ হাজার ১৭৪ ভোট পেয়েছেন। এ উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে মো. আল আমিন টিউবওয়েল প্রতীকে ৩৭ হাজার ৫৪১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শফি উদ্দিন সরকার বাচ্চু চশমা প্রতীকে পেয়েছেন ২০ হাজার ৯১২ ভোট। এছাড়া মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন ছাবিয়া পারভীন জেনি। তিনি কলস প্রতীকে পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৫২৫ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সেলিনা আক্তার হাঁস প্রতীকে পেয়েছেন ১৩ হাজার ৯৪০ ভোট।

নেত্রকোণা

নেত্রকোণায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে কলমাকান্দায় আব্দুল কুদ্দুস বাবুল ও দুর্গাপুরে নাজমুল হাসান নীরা (সাদ্দাম আকঞ্জি) বিজয়ী হয়েছেন। বুধবার (৮ মে) রাতে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফরহাদ হাসান আজাদ বেসরকারিভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করেন।

কলমাকান্দা উপজেলায় আওয়ামী লীগের সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক ও বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আব্দুল কুদ্দুস বাবুল দোয়াত-কলম প্রতীকে ৩২ হাজার ৩৫৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। আব্দুল কুদ্দুস বাবুল এর আগে উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের দুইবার চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মুহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান চয়ন ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ২৯ হাজার ৩৭৭ ভোট। 

দুর্গাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে জয় লাভ করেছেন যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান নীরা (সাদ্দাম আকঞ্জি)। তিনি মোটরসাইকেল প্রতীকে ৩১ হাজার ১৫৫ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সাজ্জাদুর রহমান কই মাছ প্রতীকে পেয়েছেন ২২ হাজার ১৪২ ভোট।

কুমিল্লা

কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তাজুল ইসলাম তাজ, লাকসাম উপজেলায় বর্তমান চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইউনুস ভূইয়া এবং মনোহরগঞ্জে আব্দুল মান্নান বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন।

বুধবার (৮ মে) রাতে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কুমিল্লার সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মুনির হোসাইন খান।

লাকসাম উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইউনুস ভূইয়া আনারস প্রতীকে ৮৩ হাজার ৭৭ ভোট পেয়ে পুনরায় জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা জাসদের সভাপতি বিকাশ চন্দ্র সাহা দোয়াত-কলম প্রতীকে পেয়েছেন ৬ হাজার ২৩০ ভোট।

মনোহরগঞ্জ উপজেলায় জয়ী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল মান্নান। তিনি ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ৭৭ হাজার ১১ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১১ হাজার ৬১৭ ভোট।

মেঘনা উপজেলায় সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম তাজ আনারস প্রতীকে ১৮ হাজার ৭০০ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা রমিজ উদ্দিন ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ১৫ হাজার ২১০ ভোট।

রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মুনির হোসাইন খান বলেন, কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই কুমিল্লার তিনটি উপজেলায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে।

রাজশাহী

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে রাজশাহীর গোদাগাড়ী ও তানোর উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গোদাগাড়ী উপজেলায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন বেলাল উদ্দীন সোহেল ও তানোর উপজেলায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন লুৎফর হায়দার রশীদ। বুধবার (৮ মে) ভোটগ্রহণ শেষে রাজশাহী জেলার অতিরিক্ত নির্বাচন কর্মকর্তা আজাদুল হেলাল ফলাফল নিশ্চিত করেন।

গোদাগাড়ী উপজেলায় বেলাল উদ্দীন সোহেল দোয়াত-কলম প্রতীকে ৬৭ হাজার ৮৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাহাঙ্গীর আলম কাপ-পিরিচ প্রতীকে ২৪ হাজার ৩২৮ ভোট পেয়েছেন। 

তানোর উপজেলায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন লুৎফর হায়দার রশীদ। তিনি কাপ-পিরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ৪৬ হাজার ৩৯৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুল্লাহ আল-মামুন মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ২০ হাজার ৯৭ ভোট।

নীলফামারী

নীলফামারীর ডোমার ও ডিমলা উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ডোমার উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে সরকার ফারহানা আকতার সুমি টেলিফোন প্রতীকে ৩১ হাজার ৪২১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তোফায়েল আহমেদ আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ২৩ হাজার ১৩৪ ভোট। ফলাফলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ডোমার উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নুর-ই আলম।

ডোমার উপজেলার ৭৫টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তোফায়েল আহমদ আনারস, ডোমার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মনোয়ার হোসেন হেলিকপ্টার, সাধারণ সম্পাদক মনজুরুল হক চৌধুরী কাপ-পিরিচ, কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেত্রী সরকার ফারহানা আখতার সুমি টেলিফোন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আব্দুল মালেক সরকার ঘোড়া, রাকিব আহসান প্রধান কৈ মাছ, মদন মোহন সিংহ পিন্টু মোটরসাইকেল এবং এহছানুল হক দোয়াত-কলম প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

এদিকে ডিমলা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আনোয়ারুল হক সরকার ঘোড়া প্রতীকে ২৭ হাজার ২৯০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফেরদৌস পারভেজ আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ২৬ হাজার ৯১ ভোট। ফলাফলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা শুভ কুমার সরকার।

ডিমলা উপজেলায় ৯৩টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। আব্দুর রহমান মোটরসাইকেল, আনোয়ারুল হক সরকার মিন্টু ঘোড়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা তবিবুল ইসলাম কাপ-পিরিচ, ফেরদৌস পারভেজ আনারস প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

মানিকগঞ্জ

মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলায় মোটরসাইকেল প্রতীকে ৩১ হাজার ৮৪৮ ভোট পেয়ে টানা দুইবারসহ তৃতীয়বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক দেওয়ান সাইদুর রহমান। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দোয়াত-কলম প্রতীকের প্রার্থী মো. সাদ্দাম হোসেন পেয়েছেন ২০ হাজার ১৬৪ ভোট।

সিংগাইর উপজেলায় প্রথমবারের মতো চেয়ারম্যান পদে ৪৭ হাজার ৯৮৮ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কাপ-পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী সায়েদুল ইসলাম। প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকের প্রার্থী আবদুল মাজেদ খান পেয়েছেন ৩৮ হাজার ২১৪ ভোট।

বুধবার (৮ মে) রাতে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ আমিনুর রহমান দুই উপজেলার এই তথ্য জানান।

সিংগাইর উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রথমবার তালা প্রতীকের প্রার্থী ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রমিজ উদ্দিন ৪৫ হাজার ৭৫৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী মাইক প্রতীকের প্রার্থী আবদুস সালাম পেয়েছেন ৩০ হাজার ৬২৯ ভোট।

সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে জেলা মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারা খাতুন হাঁস প্রতীকে ৬৯ হাজার ৬৮১ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত কলসি প্রতীকের প্রার্থী আফরোজা খান লিপি পেয়েছেন ২২ হাজার ৮২৮ ভোট।

হরিরামপুর উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৯ হাজার ১০৪ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন বই প্রতীকের প্রার্থী ও উপজেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক মো. বিল্লাল হোসেন। প্রতিদ্বন্দ্বী চশমা প্রতীকের প্রার্থী মো. মোশাররফ হোসেন পেয়েছেন ১৫ হাজার ১৬৫ ভোট।

সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীমা আক্তার চায়না ফুটবল প্রতীকে ২৯ হাজার ৩৩২ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী হাঁস প্রতীকের প্রার্থী জোসনা বেগম পেয়েছেন ২০ হাজার ৫০১ ভোট।

লক্ষ্মীপুর

লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে শরাফ উদ্দিন আজাদ সোহেল ও কমলনগরে মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। বুধবার (৮ মে) রাত ১২টার দিকে রামগতি উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহবুব রোমান চৌধুরী ও কমলনগর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জায়েদুল ইসলাম চৌধুরী স্ব স্ব কার্যালয় থেকে বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন। 

রামগতিতে শরাফ উদ্দিন আজাদ সোহেল কাপ-পিরিচ প্রতীকে ২৯ হাজার ৬৯৩ ভোট পেয়ে টানা দ্বিতীয়বার চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল ওয়াহেদ দোয়াত-কলম প্রতীকে ১৮ হাজার ৯০৩ ভোট ও রোকেয়া আজাদ আনারস প্রতীকে ২৩ হাজার ৭৪৫ ভোট পেয়েছেন। ওয়াহেদ ও রোকেয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন। এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। 

কমলনগর উপজেলায় খালেদ সাইফুল্লাহ মোটরসাইকেল প্রতীকে ১৮ হাজার ২৩০ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি উপজেলার চরকাদিরা ইউনিয়ন পরিষদের টানা দুইবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বাবুল মিয়া কাপ-পিরিচ প্রতীকে ১৬ হাজার ৮৭১ ভোট এবং বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মেজবাহ উদ্দিন বাপ্পী দোয়াত-কলম প্রতীকে ১৬ হাজার ৫২৯ ভোট পেয়েছেন। 

গাইবান্ধা

গাইবান্ধার দুই উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মোটরসাইকেল প্রতীকের আবু সাঈদ। তিনি ৩০ হাজার ৪৯৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। নিকটমতম প্রতিদ্বন্দ্বী জিএম সেলিম পারভেজ ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ১৩ হাজার ৭৬ ভোট।

সাঘাটায় চেয়ারম্যান পদের তিন প্রার্থীর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেওয়ায় ওই উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অ্যাডভোকেট এস এম সামশীল আরেফিন টিটু নির্বাচিত হয়েছেন।

জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল মুত্তালিব বিজয়ীদের নাম নিশ্চিত করে বলেন, দিনব্যাপী অবাধ ও সুষ্ঠু পরিবেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরে রাত ১১টার দিকে ফুলছড়ি উপজেলা কৃষি অফিসের হল রুমে ও সাঘাটা উপজেলা পরিষদ হলরুমে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ

চাঁপাইনবাবগঞ্জের তিনটি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গোমস্তাপুর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে আশরাফ হোসেন (আলিম) আনারস প্রতীকে ৪০ হাজার ৬২০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ নেতা হুমায়ন রেজা ঘোড়া প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪০ হাজার ৬১ ভোট।

নাচোল উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ঘোড়া প্রতীকে ৩৩ হাজার ৯৯২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ নেতা আবু রেজা মোস্তফা কামাল আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১০ হাজার ৮৭০ ভোট।

ভোলাহাট উপজেলায় সদ্য বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা আনোয়ারুল ইসলাম চিংড়ি মাছ প্রতীকে ১৩ হাজার ৮৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল খালেক কাপ-পিরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ১০ হাজার ৭৬৬ ভোট।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে।

ঝিনাইদহ 

ঝিনাইদহ সদর উপজেলা ও কালীগঞ্জ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন মো. মিজানুর রহমান (মাসুম) । তিনি আনারস প্রতীকে ৫০ হাজার ৭৪৬ ভোট পেয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী দোয়াত-কলম প্রতীকের জে.এম রশিদুল আলম পেয়েছেন ৪৩ হাজার ১৭০ ভোট।

অন্যদিকে কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে শিবলী নোমানী বিজয়ী হয়েছেন। তিনি আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৪২ হাজার ৬৭৫ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মোটরসাইকেল প্রতীকের মতিয়ার রহমান মতি পেয়েছেন ৫ হাজার ৫৭২ ভোট। 

বুধবার (৮ মে) রাতে ঝিনাইদহ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমান বেসরকারিভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করেন।

খাগড়াছড়ি

পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি, রামগড় এবং মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাচনের বেসরকারি ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। জেলার লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার স্থগিত হওয়া দুই কেন্দ্র ব্যাতিত ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। খাগড়াছড়ির জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা কামরুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

বেসরকারি ফলাফলে রামগড়ে বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক বিশ্ব প্রদীপ কুমার কার্বারী আনারস প্রতীকে ১৩ হাজার ৮৪৩ ভোট পেয়ে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের দোয়াত কলম প্রতীকে পেয়েছেন ৮হাজার ৪৪৭ ভোট।

মানিকছড়িতে বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জয়নাল আবেদীন আনারস প্রতীকে ২২ হাজার ৪৬২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম দোয়াত কলম প্রতীকে পেয়েছেন ৬ হাজার ৩৬১ ভোট।

মাটিরাঙ্গা উপজেলায় মো. আবুল কাশেম ভূইয়া কৈ মাছ প্রতীকে ১৯ হাজার ২০৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১০ হাজার ৮২১ ভোট। 

রাঙামাটি

রাঙামাটির চার উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার রাঙামাটি সদর, বরকল, জুরাছড়ি ও কাউখালী উপজেলায় এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। 

রাঙামাটি সদর উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে পাহাড়ের আঞ্চলিক দল পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) সমর্থিত প্রার্থী অন্ন সাধন চাকমা দোয়াত কলম প্রতীকে ১৪ হাজার ৮৮৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী অ্যাডভোকেট বিপ্লব চাকমা উট মার্কায় পেয়েছেন ১০ হাজার ২৯ ভোট।

কাউখালী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থী রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শামসুদ্দোহা চৌধুরী আনারস প্রতীকে ২৩ হাজার ৬৯৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মংসুইউ চৌধুরী ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ১১ হাজার ৫৭৭ ভোট।

বরকল উপজেলা পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) সমর্থিত প্রার্থী বিধান চাকমা দোয়াত কলম প্রতীকে ১১ হাজার ৩২৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী বরকল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সন্তোষ কুমার চাকমা আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৬ হাজার ৬৭৭ ভোট। 

গোপালগঞ্জ

প্রথম ধাপে বুধবার গোপালগঞ্জ জেলার ৫টি উপজেলার মধ্যে ৩টি  উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শান্তিপূর্ণভাবে ওই তিন উপজেলায় ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়। ভোট গননা শেষে রাতে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। 

নির্বাচিতরা হলেন- কোটালীপাড়া উপজেলায় বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাস (দোয়াত-কলম) ৪০ হাজার ২৭১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় মো. বাবুল শেখ ( দোয়াত-কলম) ৪০ হাজার ৭৯২ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী গাজী মাসুদুল হক মাসুদ পেয়েছেন  ১৯ হাজার ৯৫১ ভোট। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায়  স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা  মো. কামরুজ্জামান ভূঁইয়া লুটুল (টেলিফোন) ৩১ হাজার ৩৫৪ ভোট পেয়ে বেসরকারী ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।  

রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফয়জুল মোল্লা এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, কোটালীপাড়া উপজেলায় বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাস, টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় মো. বাবুল শেখ ও গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।  

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

আগামী ২৫ মে সকাল ১১টায় বঙ্গবাজার বিপনী বিতান নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ষষ্ঠ উপজেলা  নির্বাচন : প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান হলেন যারা

আপডেট সময় ০৬:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪

অনলাইন ডেস্ক : গতকাল ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের  প্রথম ধাপে ১৩৯টি উপজেলায়  ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। বুধবার (৮ মে) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ করা হয়। ভোট গণনা শেষে রাতে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। এ ব্যাপারে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

ফরিদপুর

ফরিদপুরের তিনটি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফরিদপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সামচুল আলম চৌধুরী আনারস প্রতীকে ৩১ হাজার ৯৩১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মনিরুল হাসান (টেলিফোন) পেয়েছেন ৩০ হাজার ৯ ভোট।

চরভদ্রাসনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আলী মোল্লা আনারস প্রতীকে  ১৬ হাজার ১৬  ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সৈয়দ নিজামউদ্দিন  (টেলিফোন) পেয়েছেন ১০ হাজার ৪৫৪ ভোট।

মধুখালীতে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক মোহাম্মদ মুরাদুজ্জামান দোয়াত কলম প্রতীকে ২৯ হাজার ৪৭৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আহসানুজ্জামান আজাউল ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ১৮ হাজার ৪৮৫ ভোট।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তারেক আহম্মেদ বলেন, জেলার তিনটি উপজেলায় অবাধ সুষ্ঠ এবং নিরপেক্ষ পরিবেশের মধ্য দিয়ে একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রের ফলাফল কেন্দ্রীয়ভাবে মিলিয়ে ঘোষণা করা হয়।

যশোর

যশোরে দুইটি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কেশবপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ঘোড়া প্রতীকের মফিজুর রহমান ১৮ হাজার ৪৬৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শালিক প্রতীকের নাসিমা আকতার সাদেক পেয়েছেন ১৪ হাজার ১৬ ভোট। এ নির্বাচনে তিনটি পদে ১৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে তালা প্রতীকের আব্দুল্লাহ আল মামুন ৩২ হাজার ৪৩৪ ভোট পেয়ে ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফুটবল প্রতীকের রাবেয়া ইকবাল ৩৭ হাজার ৩০৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। 

কেশবপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটানিং কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই কেশবপুরে শান্তিপূর্ণভাবে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখানে মোট ভোটার সংখ্যা দুই লাখ ২০ হাজার ৯৫৪ জন। মোট ৯৫টি কেন্দ্রের ৬৭০টি কক্ষে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ইভিএমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

মণিরামপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন লাভলু আনারস মার্কায় ৫৯ হাজার ২৭৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক ফারুক হোসেন পেয়েছেন ৫২ হাজার ৭১৮ ভোট। এই উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে সন্দীপ ঘোষ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে পুনরায় কাজী জলি আক্তার বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে রোমা আক্তার ও সরাইল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মো. শের আলম জয়লাভ করেছেন। বুধবার (৮ মে) রাত ১০টার দিকে ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

বিজয়ী রোমা আক্তার নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও শের আলম সরাইল উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। নাসিরনগরে এই প্রথমবারের মতো কোনো নারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হলেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বেসরকারিভাবে নির্বাচিত রোমা আক্তার পেয়েছেন ৩৪ হাজার ১ ভোট।  নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক বিএনপি নেতা ওমরাও খান পেয়েছেন ১৮ হাজার ৩৮০ ভোট। অন্যদিকে সরাইলে ৩৯ হাজার ৩০৬ ভোট পেয়ে শের আলম বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সদ্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর পেয়েছেন ২৮ হাজার ৮৩৪ ভোট।

সরাইল উপজেলায় পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন হানিফ আহমেদ সবুজ। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে গিয়ে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন তিনি। আর উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছা. রোকেয়া বেগম মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন।

নাসিরনগরে পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন আবু আহম্মদ কামরুল এবং রিটা আক্তার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

কুড়িগ্রাম

কুড়িগ্রামের ৩টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বেসরকারি ফলাফল পাওয়া গেছে।

কুড়িগ্রাম জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আলমগীর কবির জানান, প্রথম ধাপে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনে চিলমারীতে মো. রুকুনুজ্জামান শাহিন (জাপা)  আনারস প্রতীক নিয়ে ২৮ হাজার ১৯৪ ভোট পেয়ে দ্বিতীয়বার বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।

রৌমারী উপজেলায় মো. শহিদুল ইসলাম শালু (আওয়ামী লীগ) কাপ পিরিচ প্রতীক নিয়ে ২৪ হাজার ৫০৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।

চর রাজিবপুর উপজেলায় মো: শফিউল আলম (আওয়ামী লীগ)  আনারস প্রতীকে ১৭ হাজার ৭৪৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।

ফেনী 

ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বেসরকারি ফলাফলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুন মজুমদার জয়ী হয়েছেন। বুধবার রাত ৮টার দিকে ভোট গণনা শেষে বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাউল করিম।

মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৫ হাজার ৫৭১ জন। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২৭ হাজার ৬৩৫ ভোট পেয়ে কাপ-পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী হারুন মজুমদার বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী মোহাম্মদ জাফর উল্ল্যাহ ভূঁঞা পেয়েছেন ৭৭৫ ভোট।

চাঁদপুর

চাঁদপুরে দুটি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে মতলব দক্ষিণ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান হিসেবে বিজয়ী হয়েছেন অধ্যাপক সিরাজুল মোস্তফা তালুকদার ও মতলব উত্তর উপজেলায় বিজয়ী হয়েছেন মোহাম্মদ মানিক দর্জি।

বুধবার রাতে বেসরকারীভাবে মতলব দক্ষিণ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাতিমা সুলতানা এবং উত্তর উপজেলা পরিষদের ফলাফল ঘোষণা করেন একি মিত্র চাকমা।

মতলব দক্ষিণ উপজেলায় তিনজন প্রার্থী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তাদের মধ্যে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা দোয়াত-কলম প্রতীকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন সিরাজুল মোস্তফা তালুকদার। তিনি ভোট পেয়েছেন ১৬ হাজার ৯১০টি। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী খাদেরগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আনারস প্রতীকের সৈয়দ মনজুর হোসেন পেয়েছেন ১৬ হাজার ১১৬ ভোট। আরেক প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএইচএম কবির আহমেদ ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ১৩ হাজার ৩৬১ ভোট।

মতলব উত্তর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ঘোড়া প্রতিকের প্রার্থী মোহাম্মদ মানিক দর্জি ৩৩ হাজার ৭৩৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জহিরবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আনারস প্রতিকের মুক্তার গাজী পেয়েছেন ১৭ হাজার ৭৩৯ ভোট। অপর প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস কাপ-পিরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ১৫ হাজার ৩৮ ভোট। 

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী হওয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লাভলী চৌধুরী। এখানে মোট ভোটার ২ লাখ ৭৭ হাজার ৮২৫। এর মধ্যে গড় ভোট পড়েছে ২৩.৭৯ শতাংশ। প্রথম ধাপে চাঁদপুরের মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ১৫৭টি কেন্দ্রে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে রিয়াজুল হাসান রিয়াজ টিউবওয়েল প্রতীকের প্রার্থী ৪৭ হাজার ৫৮৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান তালা প্রতীকে প্রার্থী ১৮ হাজার ২৬৭ ভোট পেয়েছেন।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন দু’জন। এদের মধ্যে নাজমা আক্তার আসমা (আখি) ২৩ হাজার ২৪৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শাহিনুর আক্তার (শীলা মনি) হাঁস প্রতীকে পেয়েছেন ২৩ হাজার ২২ ভোট। অপরদিকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন দেওয়ান শওকত আলী বাদল। এখানে মোট ভোটার ১ লাখ ৯৭ হাজার ২৬ জন। এরমধ্যে গড় ভোট পড়েছে ২৩. ৪১ শতাংশ।

নারায়ণগঞ্জ 

নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সবকটি কেন্দ্রের বেসরকারি ফলাফল পাওয়া গেছে। এতে চেয়ারম্যান পদে জেলা জাতীয় পার্টির (জাপা) সহ-সভাপতি মাকসুদ হোসেন আনারস প্রতীকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

বুধবার রাতে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা কাজী মো. ইস্তাফিজুল হক আকন্দ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, মাকসুদ হোসেন আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ২৯ হাজার ৮৭৪ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ও মহানগর বিএনপির বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি আতাউর রহমান মুকুল চিংড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ১৫ হাজার ৬৫৩। অপর প্রার্থী বন্দর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ রশিদ দোয়াত-কলম প্রতীকে পেয়েছেন ১২ হাজার ৬০৮ ভোট।

মেহেরপুর

মেহেরপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৪০ হাজার ৯২৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আনারুল ইসলাম। নির্বাচনী প্রতিক ছিল মোটরসাইকেল। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম শাহীন কাপ পিরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ১০ হাজার ৫০৭ ভোট।

মুজিবনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীকে ১৭ হাজার ৬৩ ভোট পেয়ে আমাম হোসেন মিলু বেসরকারিভাবে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রফিকুল ইসলাম তোতা কাপ পিরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ১৫ হাজার ১০০ ভোট। 

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ ওয়ালীউল্লাহ ভোট গণনা শেষে রাতে দুই উপজেলার ফলাফল ঘোষণা করেন।

শরীয়তপুর

শরীয়তপুরের নড়িয়া ও ভেদরগঞ্জ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। নড়িয়া উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন একেএম ইসমাইল হক। মোটরসাইকেল প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৩০ হাজার ২২৮ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী মামুন শিকদার ভিপি মোস্তফা পেয়েছেন ২০ হাজার ৫২৭ ভোট। টানা তৃতীয়বারের মতো উপজেলা চেয়ারম্যান হলেন একেএম ইসমাইল হক

ভেদরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ইঞ্জিনিয়ার ওয়াছেল কবির গুলফাম বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৬০ হাজার ৩১২ ভোট । নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী হুমায়ুন কবির মোল্লা পেয়েছেন ৪২ হাজার ৫২৫ ভোট।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান বলেন, শরীয়তপুরের নড়িয়া ও ভেদরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ সুষ্ঠ ও সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বান্দরবান 

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে বান্দরবান সদর ও  আলীকদম উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সদর উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে আব্দুল কুদ্দুস বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৯ হাজার ১৪৪ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী একেএম জাহাঙ্গীর আনারস প্রতীক পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৬৬ ভোট পেয়েছেন।

আলীকদম উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে জামাল উদ্দীন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। দোয়াত কলম প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৯ হাজার ৭০০ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. আবুল কালাম আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৭ হাজার ৫১৬ ভোট।

বান্দরবান সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো শহিদুল ইসলাম জানান, প্রশাসনের সার্বিক প্রচেষ্টায় শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীরা নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলায় এটা সম্ভব হয়েছে। নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন বিজয়ী প্রার্থীরা। 

পিরোজপুর

পিরোজপুরের তিনটি উপজেলায় শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার (৮ মে) ইভিএমে পিরোজপুর সদর, ইন্দুরকানী ও নাজিরপুরে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

রা‌তে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন অফিসার মো. মিজানুর রহমান বেসরকা‌রিভা‌বে নির্বাচনে বিজয়ী‌দের নাম ঘোষণা ক‌রেন। 

পিরোজপুর সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে এসএম বায়জিদ হোসেন, ইন্দুরকানীতে জিয়াউল আহসান গাজী ও  নাজিরপুর উপজেলায় এস এম নূরে আলম সিদ্দিকী শাহীন বিজয়ী হয়েছেন। 

সদর উপজেলায় এসএম বায়জিদ হোসেন দোয়াত কলম প্রতীকে ৩৪ হাজার ৭৩৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. শফিউল হক মিঠু আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ৬০৭ ভোট। 

ইন্দুরকানী উপজেলায় জিয়াউল আহসান গাজী আনারস প্রতীকে ১১ হাজার ২০৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফাইজুল কবির দোয়াত কলম প্রতীকে পেয়েছেন ৭ হাজার ৭৪৩ ভোট। 

নাজিরপুর উপজেলায় এস এম নূরে আলম সিদ্দিকী শাহীন দোয়াত কলম প্রতীকে ১৯ হাজার ২৭২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোহাম্মদ আলী সিকদার ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ১৮ হাজার ২৯৩ ভোট।

কুষ্টিয়া

কুষ্টিয়া সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়েছেন কুষ্টিয়া সদর আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফের চাচাতো ভাই আতাউর রহমান আতা। তিনি আনারস প্রতীক নিয়ে ৬৭ হাজার ৪৮১ ভোট পেয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে আবু আহাদ আল মামুন ৩ হাজার ৫৬৪ ভোট পেয়েছেন। 

বুধবার রাতে সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার মো. সহিদুল রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন খোকসা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আল মাসুম মোর্শেদ শান্ত। তিনি ঘোড়া প্রতীক নিয়ে ২৫ হাজার ১০১ ভোট পেয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী খোকসা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান বাবুল আখতার মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে ১৯ হাজার ৫৩৯ ভোট পেয়েছেন। 

খোকসা উপজেলা নির্বাচন অফিসার আলমগীর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

পঞ্চগড়

পঞ্চগড় জেলার সদর উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এএস মো শাহনেওয়াজ প্রধান শুভ ঘোড়া প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৩১ হাজার ৯৯৮টি ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আমিরুল ইসলাম। তিনি মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ১৫ হাজার ৩৮৭টি। 

তেঁতুলিয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন ব্যবসায়ী নিজাম উদ্দিন খাঁন। তিনি পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৮৪০টি ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মুক্তারুল হক মুকু ঘোড়া প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১১ হাজার ৮৬৫টি ভোট।

আটোয়ারী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক আনিসুর রহমান। তিনি ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ৩১ হাজার ৭৫৭ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম মোটরসাইকেল প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ২৫ হাজার ৮৮৭টি। 

জেলার তিন উপজেলায় মোট ভোটার ৪ লাখ ৪২ হাজার ৮৭৬ জন। পুরুষ ভোটার ২ লাখ ২২ হাজার ৮৬৯ জন ও নারী ভোটার ২ লাখ ২০ হাজার ৩ জন। তিন উপজেলায় ভোট কেন্দ্র ১৫৬টি ও বুথ ১ হাজার ২১৬টি। তিন উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট ৩৩ জন প্রার্থী ভোট লড়াই করেছেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এনামুল হক জানান, অবাধ, সুষ্ঠ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সিরাজগঞ্জ

সিরাজগঞ্জের তিনটি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন আনারস প্রতীকে ৪৭ হাজার ৮০৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রাশেদ ইউসুফ জুয়েল দোয়াত কলম প্রতীকে পেয়েছেন ৪৩ হাজার ৯৮৪ ভোট। 

কাজিপুরের বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খলিল সিরাজী আনারস প্রতীকে ৪৫ হাজার ২৩৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আশরাফুল আলম ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ২৫ হাজার ৬০৪ ভোট।

বেলকুচিতে ইঞ্জিনিয়ার আমিনুল ইসলাম দোয়াত কলম প্রতীকে ৫৪ হাজার ৮৪২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বদিউজ্জামান ফকির মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৩৫৭ ভোট। 

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটানিং অফিসার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বলেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সুষ্ঠ ও সুন্দরভাবে সিরাজগঞ্জের সকল উপজেলা পরিষদ সম্পন্ন হয়েছে। 

সুনামগঞ্জ

সুনামগঞ্জের দিরাই ও শাল্লা উপজেলায় অবনীমোহন দাস ও প্রদীপ রায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

সুনামগঞ্জের দিরাই ও শাল্লা উপজেলায় ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন-২০২৪ এর আওতায় ১ম ধাপের ভোটগ্রহণ অবাধ নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে। বৈরী আবহাওয়া ও ফসল কাটা মৌসুমের শেষ সময়ে ভাটি অঞ্চলে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি শতকরা ৫০ ভাগ ছিল।

বেসরকারী ফলাফলে জানা গেছে শাল্লা উপজেলায় জেলা আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট অবনীমোহন দাস ও দিরাই উপজেলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন।

দিনাজপুর

দিনাজপুরে তিনটি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

জেলার হাকিমপুর উপজেলায় উপজেলা চেয়ারম্যান পদে মো. কামাল হোসেন রাজ মোটরসাইকেল প্রতীকে ২২ হাজার ২৫১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হারুন উর রশীদ হারুন টেলিফোন প্রতীকে পেয়েছেন ১৯ হাজার ৩৭৮ ভোট।

ঘোড়াঘাট উপজেলায় কাজি শুভ রহমান চৌধুরী আনারস প্রতীকে ২৮ হাজার ৬৩৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সারোয়ার হোসেন মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৮ হাজার ৩৮৪ ভোট।

বিরামপুর উপজেলায় মো. পারভেজ কবির ঘোড়া প্রতীকে ৪২ হাজার ৯৬৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মতিউর রহমান আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৩২ হাজার ৮০৭ভোট।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম বলেন, প্রথম ধাপে বিরামপুর, ঘোড়াঘাট ও হাকিমপুর উপজেলার নির্বাচন সুষ্ঠভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কুড়িগ্রাম

কুড়িগ্রামে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রৌমারীর মো. শহিদুল ইসলাম শালু কাপ পিরিচ, চিলমারীর রুকনুজ্জামান শাহিন আনারস ও রাজিবপুরের মো শফিউল আলম আনারস প্রতীকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। 

শহিদুল ইসলাম শালু রৌমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি। তিনি ২৪ হাজার ৫০৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. মজিবুর রহমান বঙ্গবাসী টেলিফোন প্রতীকে পেয়েছেন ২৪ হাজার ২৫৩ ভোট পেয়েছেন। রৌমারী উপজেলায় মোট ৬১টি ভোট কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৬৮ হাজার।

চিলমারীতে রুকনুজ্জামান শাহিন আনারস প্রতীকে ২৮ হাজার ১৯৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি চিলমারী উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রেজাউল করিম লিচু কাপ পিরিচ প্রতীকে ১১ হাজার ৫৮৪ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন। রেজাউল করিম লিচু চিলমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এই উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৯ হাজার ৪৪৪ জন। 

রাজিবপুরে মো. শফিউল আলম আনারস প্রতীকে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ভোট পেয়েছেন ১৭ হাজার ৭৪৬টি। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আরিফুর রনি তালুকদার রানা ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ১৭ হাজার ৩৮৬ ভোট। নির্বাচিত শফিউল আলম কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। 

কুড়িগ্রাম জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলমগীর কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নাটোর

নাটোর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান কাপ পিরিচ প্রতীকে ৩৪ হাজার ৭৯৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম দোয়াত কলম প্রতীক নিয়ে ৩১ হাজার ৮৫৩ ভোট পেয়েছেন। শরিফুল ইসলাম রমজান সদর উপজেলায় টানা তৃতীয়বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন।

নলডাঙ্গা উপজেলায় আওয়ামী লীগ নেতা রবিউল জোড়া ফুল প্রতীক নিয়ে ১১ হাজার ২৪০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান পেয়েছেন ১০ হাজার ৭১৭ ভোট।

এদিকে সিংড়া উপজেলায় আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন দেলোয়ার হোসেন পাশা।

পাবনা

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে পাবনার তিনটি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সুজানগর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ওহাব মোটরসাইকেল প্রতীকে ৬২ হাজার ৭৫২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিনুজ্জামান শাহীন  (আনারস) পেয়েছেন ৫৮ হাজার ৪৪১ ভোট।

সাঁথিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা খোকন (কাপ-পিরিচ) ৩৮ হাজার ৫২৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আশরাফুজ্জামান টুটুল (আনারস) পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৭১২ ভোট। আর বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজলা আ’লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ দেলোয়ার পেয়েছেন ১৪ হাজার ১৭৪  ভোট।

বেড়ায় বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও আমিনপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হক বাবু (হেলিকপ্টার) ২৯ হাজার ৬৮৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র আব্দুল বাতেন (ঘোড়া) পেয়েছেন ২৩ হাজার ৭৬৬ ভোট। এই উপজেলার আরেক নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আফজার হোসেন পেয়েছেন ১৯ হাজার ৬২২ ভোট।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, পাবনার তিনটি উপজেলা কোন প্রকার সহিংসতা ছাড়াই অবাধ নিরপেক্ষভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।

ময়মনসিংহ

ময়মনসিংহের তিনটি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনের বেসরকারি ফলাফলে ফুলপুর ও ধোবাউড়ায় আওয়ামী লীগ এবং হালুয়াঘাটে বিএনপি নেতা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

ফুলপুর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান আনারস প্রতীকে ৪৯ হাজার ৩৯১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আতাউল করিম রাসেল ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ৩৬ হাজার ২১৬ ভোট।

হালুয়াঘাট উপজেলায় উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য মো. আব্দুল হামিদ আনারস প্রতীকে ৩৪ হাজার ১৮৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি মো. নাজিম উদ্দিন (দোয়াত-কলম) পেয়েছেন ২৮ হাজার ৭৭ ভোট।

ধোবাউড়া উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ডেভিড রানা চিসিম আনারস প্রতীকে ২৮ হাজার ৬৩৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান আকন্দ সাগর ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ২১ হাজার ৩৪৮ ভোট।

রিটার্নিং ও জেলা নির্বাচন অফিসার মো. সফিকুল ইসলাম জানান, কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই সুষ্ঠভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করা হয়েছে।

সিলেট 

সিলেটের চারটি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সিলেট সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে কাপ পিরিচ প্রতীকে ২৩ হাজার ২৬৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী একই দলের নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শামসুল ইসলাম টুনু আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১৩ হাজার ৮৬৩ ভোট।

ভোট গণনা শেষে বুধবার (৮ মে) রাতে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান বিজয়ী প্রার্থীদের তথ্য নিশ্চিত করেন।

দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে টেলিফোন প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদরুল ইসলাম। তিনি টেলিফোন প্রতীকে ২১ হাজার ৭৬৮ ভোট পেয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ১৩ হাজার ৯৮৮ ভোট।

গোলাপগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য মঞ্জুর কাদির শাফি চৌধুরী এলিম। তিনি দোয়াত কলম প্রতীকে ৩৭ হাজার ৭৮৯ ভোট পেয়ে পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী যুবলীগের সভাপতি আবু সুফিয়ান উজ্জ্বল আনারস প্রতীকে ২৯ হাজার ১৭ ভোট ও জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য শাহিদুর রাহমান জাবেদ ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ১৫ হাজার ৪১৩ ভোট পেয়েছেন।

বিশ্বনাথ উপজেলায় নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মোহাম্মদ সুহেল আহমদ চৌধুরী। কাপ পিরিচ প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ১৩ হাজার ৩২২। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকের প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন আহমদ পেয়েছেন ১২ হাজার ৯৬৮ ভোট।

চুয়াডাঙ্গা

চুয়াডাঙ্গার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দামুড়হুদায় আলী মুনছুর ও জীবননগরে মো. হাফিজুর রহমান হাফিজ চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। 

বুধবার (৮ মে) রাত পৌনে ১২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা নির্বাচন অফিসার মোতাওয়াক্কিল রহমান বেসরকারি ফলাফল সংবাদকর্মীদের কাছে হস্তান্তর করেন।

চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজগার টগরের আপন ভাই ও দর্শনা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বর্তমান চেয়ারম্যান আলী মুনছুর আনারস প্রতীক নিয়ে ৪৯ হাজার ৯৫২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী এস এ এম জাকারিয়া আলম ১৩ হাজার ৫৩০ ভোট পেয়েছেন। ঘোড়া প্রতীক নিয়ে অ্যাডভোকেট আবু তালেব পেয়েছেন ২ হাজার ৫৯০ ভোট।

জীবননগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বর্তমান চেয়ারম্যান মো. হাফিজুর রহমান হাফিজ ৯ হাজার ৪৩৬ ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি কাপ পিরিচ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৫৩ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এস কে লিটন আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৩ হাজার ৬১৭ ভোট।

দামুড়হুদা উপজেলায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন তানিয়া খাতুন। তিনি ফুটবল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৪৮৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাহিদা খাতুন ২৯ হাজার ৪৭ ভোট পেয়েছেন। জীবননগর উপজেলায় বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েশা সুলতানা লাকীকে হারিয়ে বিজয়ী হয়েছেন রেনুকা আক্তার রিতা। তিনি হাস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৬ হাজার ১০৮ ভোট। আর কলস প্রতীক নিয়ে আয়েশা সুলতানা লাকী পেয়েছেন ১৮ হাজার ৫৬৬ ভোট।

এদিকে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় দামুড়হুদায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে শফিউল কবীর ইউসুফ ও জীবননগরে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আব্দুস সালাম ঈসা নির্বাচিত হয়েছেন।

রাজবাড়ী

প্রথম ধাপে রাজবাড়ীর পাংশা ও কালুখালী উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৮ মে) ভোটগ্রহণ শেষে রাত সাড়ে ১০টায় বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার।

পাংশা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৫৪ হাজার ৫৭৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোটরসাইকেল প্রতীকের খন্দকার সাইফুল ইসলাম বুড়ো। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকের ফরিদ হাসান ওদুদ ৩৫ হাজার ৯৪২ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন।

কালুখালী উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আলিউজ্জামান চৌধুরী টিটু আনারস প্রতীকে ৩৮ হাজার ৫৭৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। অপর তিন প্রার্থীর মধ্যে এনায়েত হোসেন মোটরসাইকেল প্রতীকে ২ হাজার ৯০০ ভোট, এ বি এম রোকনুজ্জামান কাপ পিরিচ প্রতীকে ৩৪১ ভোট ও মাসুদুর রহমান দোয়াত-কলম প্রতীকে ২৩৭ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন।

জেলা নির্বাচন অফিসার ও ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার অলিউল ইসলাম বলেন, প্রথম ধাপে পাংশা ও কালুখালী উপজেলা পরিষদের নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। কোনো প্রার্থীর আজকের নির্বাচন নিয়ে অভিযোগ ছিল না।

বরিশাল

বরিশাল সদর ও বাকেরগঞ্জ উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার গণনা শেষে রাত ১২টার দিকে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা বরিশাল জেলার জ্যেষ্ঠ নির্বাচন অফিসার ওহিদুজ্জামান মুন্সী।

বরিশাল সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন কাপ পিরিচ প্রতীকের আব্দুল মালেক। তিনি পেয়েছেন ১৯ হাজার ৮০৭ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোটরসাইকেল প্রতীকের এসএম জাকির হোসেন পেয়েছেন ১৭ হাজার ৪১৪ ভোট। অপর প্রার্থীদের মধ্যে আনারস প্রতীকের মাহমুদুল হক খান মামুন পেয়েছেন ১৪ হাজার ১৪১ ভোট, ঘোড়া প্রতীকের মাহবুবুর রহমান পেয়েছেন ১১ হাজার ২৭০ ভোট এবং দোয়াত-কলম প্রতীকে মনিরুল ইসলাম পেয়েছেন ৭ হাজার ৮৬৮ ভোট।

সদরে ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন তালা প্রতীক নিয়ে জসিম উদ্দিন। তিনি পেয়েছেন ২৯ হাজার ৯৩৭ ভোট। নিকটতম প্রতীদ্বন্দ্বী বই প্রতীকে মাহিদুর রহমান মাহাদ পেয়েছেন ২৪ হাজার ৩৭৩ ভোট। টিউবওয়েল প্রতীকে হাদিস মীর ৮ হাজার ৯১৮ ও উড়োজাহাজ প্রতীকে মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ ৫ হাজার ৪৭৮ ভোট পেয়েছেন।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন কলস প্রতীকের অ্যাডভোকেট হালিমা বেগম। তিনি পেয়েছেন ৪১ হাজার ৫৩৫ ভোট। নিকটতম প্রতীদ্বন্দ্বী হাস প্রতীকে নেহার বেগম পেয়েছেন ১৬ হাজার ২৮৮ ও ফুটবল প্রতীকে মারিয়া আক্তার ১০ হাজার ৩২২ ভোট।

বাকেরগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন কাপ পিরিচ প্রতীকের রাজিব আহম্মদ তালুকদার। তিনি পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৫৪৯ ভোট। নিকটতম প্রতীদ্বন্দ্বী বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৩৫ হাজার ১৪৫ ভোট। এছাড়া দোয়াত-কলম প্রতীকে ফিরোজ আলম খান পেয়েছেন ১ হাজার ৫১ ভোট ও মোটরসাইকেল প্রতীকে শাহবাজ মিঞা পেয়েছেন ২৮৩ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন আবদুস সালাম মল্লিক ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে জাহানারা মাহাবুব।

বাগেরহাট

বাগেরহাটে দুইটি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রামপাল উপজেলা চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মোয়াজ্জেম হোসেন আনারস প্রতীকে ২৪ হাজার ১৯৪ ভোট পেয়ে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন। 

নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রামপাল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শেখ জামিল হাসান জামু পেয়েছেন ২৩ হাজার ৯৪৭ ভোট। এ উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল হক লিপন তালা প্রতীকে পেয়েছেন ১৯ হাজার ৩২৫ ভোট পেয়ে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন। উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হোসনেয়ারা মিলি কলস প্রতীকে ২৫ হাজার ৪১২ ভোট পেয়ে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন।

বাগেরহাট সদর উপজেলায় ৩ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় নির্বাচিত হয়েছেন। বিজয়ীরা হলেন, চেয়ারম্যান পদে বাগেরহাট সদর উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সভাপতি সরদার নাসির উদ্দিন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক ও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান খান রেজাউল ইসলাম এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বাগেরহাট পৌর আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক ও বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রিজিয়া পারভীন।

কচুয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে রাড়িপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান বাবু দোয়াত-কলম প্রতীকে ২৬ হাজার ৩৯১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাগেরহাট জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মীর জায়েসী আশরাফি জেমস মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ১৯ হাজার ৪৬৭ ভোট। এ উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে কচুয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শেখ সুমন টিয়া পাখি প্রতীকে ৩৭ হাজার ৫৪১ ভোট ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে হনুফা খাতুন ২৪ হাজার ৯২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।

রংপুর

রংপুরের পীরগাছায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ মিলন চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৪২ হাজার ৭৬৮ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মনোয়ারুল ইসলাম দোয়াত-কলম প্রতীকে পেয়েছেন ৪০ হাজার ৯৪৮ ভোট।

কাউনিয়া উপজেলায় পুনরায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের আনোয়ারুল ইসলাম মায়া। তিনি মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৬০ হাজার ৭১৪ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী একই দলের আব্দুর রাজ্জাক আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৪৭ হাজার ৮৬৩ ভোট।

বুধবার (৮ মে) রাতে রংপুরের দুই উপজেলার ভোট গণনা শেষে বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন রংপুরের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুলাহ আল মোতাহসিম।

সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরার শ্যামনগর ও কালিগঞ্জ উপজেলায় প্রথম ধাপের নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কালিগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শেখ মেহেদী হাসান সুমন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৬২ হাজার ৩৪৪ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাঈদ মেহেদী ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ৩১ হাজার ৯৪৫ ভোট।

এদিকে শ্যামনগর উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক সাইদ উজ জামান সাইদ আনারস প্রতীকে ৫১ হাজার ৩৫১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী গোলাম মোস্তফা ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ৩২ হাজার ৩৭৪ ভোট।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম বলেন, সাতক্ষীরার শ্যামনগর ও কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ সুষ্ঠ ও সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এছাড়া ভোটার উপস্থিতি ছিল সন্তোষজনক।

মুন্সীগঞ্জ

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুনসুর আহমেদ খান জিন্নাহ। কাপ পিরিচ প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ৪৪ হাজার ৫৩৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আমিরুল ইসলাম পেয়েছেন আনারস প্রতীক নিয়ে‌ ২৩ হাজার ৫৬৯ ভোট।  

অপর প্রার্থী আশরাফুল ইসলাম আকাশ দোয়াত-কলম প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৪১৯ ভোট, আবুল বাশার ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ৫ ভোট। 

মুন্সীগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বশির আহমেদ স্বাক্ষরিত বার্তা প্রেরণ শিট থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

এছাড়া এই উপজেলায় পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মিনা আক্তার ফুটবল প্রতীক নিয়ে জয়লাভ করেছে।

জয়পুরহাট 

জয়পুরহাটের কালাই, ক্ষেতলাল ও আক্কেলপুর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে কালাই উপজেলায় মোটরসাইকেল প্রতীকে ৪২ হাজার ৪৫৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিনফুজুর রহমান। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকের জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক তৌফিকুল ইসলাম তালুকদার বেলাল পেয়েছেন ৩০ হাজার ৯৪৩ ভোট। আরেক প্রার্থী সাবিনা ইয়াসমীন ঘোড়া প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১০ হাজার ২৯৯ ভোট।

বুধবার (৮ মে) রাতে রিটার্নিং ও জেলা নির্বাচন অফিসার ফজলুল করিম বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন।

ক্ষেতলাল উপজেলায় দোয়াত-কলম প্রতীকে ৩০ হাজার ৪০০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন ক্ষেতলাল পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি দুলাল মিয়া সরদার। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকের তাইফুল ইসলাম তালুকদার পেয়েছেন ২২ হাজার ৯০০ ভোট। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। বর্তমান চেয়ারম্যান মোস্তাকিম মন্ডল মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৪ হাজার ৯২৮ ভোট। তিনি ক্ষেতলাল উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। আরেক প্রার্থী নাজ্জাসী ইসলাম ঘোড়া প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১১৫ ভোট।

আক্কেলপুর উপজেলায় মোটরসাইকেল প্রতীকে ১৯ হাজার ৫৩৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোকছেদ আলী মন্ডল। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকের নুরুন্নবী আরিফ পেয়েছেন ৩ হাজার ১৮৮ ভোট। আরেক প্রার্থী নাজমা আখতার লাখি ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ৬৯২ ভোট।

এদিকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে কালাই উপজেলায় উড়োজাহাজ প্রতীকে গোলাম মোস্তাফা ৩৪ হাজার ৩৯৩ ভোট, ক্ষেতলাল উপজেলায় টিউবওয়েল প্রতীকে মতলুব হোসেন ২৪ হাজার ৬১৭ ভোট ও আক্কেলপুর উপজেলায় টিউবওয়েল প্রতীকে টুটুল হোসেন ৯ হাজার ৫৯৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। আর মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে কালাই উপজেলায় হাঁস প্রতীকে মেরিনা খাতুন ৪৩ হাজার ৪১ ভোট, ক্ষেতলাল উপজেলায় সেলাই মেশিন প্রতীকে নুরুন্নাহার গুন্নাহ ৩৭ হাজার ৩৭০ ভোট ও আক্কেলপুর উপজেলায় প্রজাপতি প্রতীকে আছিয়া খানম সম্পা ১১ হাজার ২৫০ ভোট বিজয়ী হয়েছেন।

কিশোরগঞ্জ

কিশোরগঞ্জে প্রথম ধাপে তিন উপজেলার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৮ মে) রাতে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোরশেদ আলম বেসরকারিভাবে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন।

সদর উপজেলায় মো. আওলাদ হোসেন মোটরসাইকেল প্রতীকে ৪৪ হাজার ৯৪২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মামুন আল মাসুদ খান কাপপিরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ৪২ হাজার ১৫৪ ভোট।

এ উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে রিফাত উদ্দিন আহম্মেদ বচন উড়োজাহাজ প্রতীকে ২৫ হাজার ৫৭২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোখলেছুর রহমান মিতুল চশমা প্রতীকে পেয়েছেন ২১ হাজার ১৯৯ ভোট। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছা. মাছুমা আক্তার। তিনি হাঁস প্রতীকে পেয়েছেন ৫৪ হাজার ৫৫ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তাছলিমা সুইটি ফুটবল প্রতীকে পেয়েছেন ৩২ হাজার ৫৭৪ ভোট।

পাকুন্দিয়া উপজেলায় এমদাদুল হক জুটন আনারস প্রতীকে ২৮ হাজার ৭৩৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রফিকুল ইসলাম রেনু মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ২৭ হাজার ৭৯১ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফজলুল হক বাচ্চু তালা চাবি প্রতীকে ২৬ হাজার ৩৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আতাউর রহমান উড়োজাহাজ প্রতীকে পেয়েছেন ২৩ হাজার ১৮৭ ভোট।

এ উপজেলায় টানা তৃতীয়বারের মতো মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন শামসুন্নাহার আপেল। তিনি কলস প্রতীকে পেয়েছেন ৪৮ হাজার ৯৬২ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ললিতা আক্তার ফুটবল প্রতীকে পেয়েছেন ১৭ হাজার ১৮৩ ভোট।

হোসেনপুর উপজেলায় মোহাম্মদ সোহেল আনারস প্রতীকে ২৩ হাজার ৯৬৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এমএ হালিম হেলিকপ্টার প্রতীকে ১৭ হাজার ১৭৪ ভোট পেয়েছেন। এ উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে মো. আল আমিন টিউবওয়েল প্রতীকে ৩৭ হাজার ৫৪১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শফি উদ্দিন সরকার বাচ্চু চশমা প্রতীকে পেয়েছেন ২০ হাজার ৯১২ ভোট। এছাড়া মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন ছাবিয়া পারভীন জেনি। তিনি কলস প্রতীকে পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৫২৫ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সেলিনা আক্তার হাঁস প্রতীকে পেয়েছেন ১৩ হাজার ৯৪০ ভোট।

নেত্রকোণা

নেত্রকোণায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে কলমাকান্দায় আব্দুল কুদ্দুস বাবুল ও দুর্গাপুরে নাজমুল হাসান নীরা (সাদ্দাম আকঞ্জি) বিজয়ী হয়েছেন। বুধবার (৮ মে) রাতে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফরহাদ হাসান আজাদ বেসরকারিভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করেন।

কলমাকান্দা উপজেলায় আওয়ামী লীগের সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক ও বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আব্দুল কুদ্দুস বাবুল দোয়াত-কলম প্রতীকে ৩২ হাজার ৩৫৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। আব্দুল কুদ্দুস বাবুল এর আগে উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের দুইবার চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মুহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান চয়ন ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ২৯ হাজার ৩৭৭ ভোট। 

দুর্গাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে জয় লাভ করেছেন যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান নীরা (সাদ্দাম আকঞ্জি)। তিনি মোটরসাইকেল প্রতীকে ৩১ হাজার ১৫৫ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সাজ্জাদুর রহমান কই মাছ প্রতীকে পেয়েছেন ২২ হাজার ১৪২ ভোট।

কুমিল্লা

কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তাজুল ইসলাম তাজ, লাকসাম উপজেলায় বর্তমান চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইউনুস ভূইয়া এবং মনোহরগঞ্জে আব্দুল মান্নান বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন।

বুধবার (৮ মে) রাতে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কুমিল্লার সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মুনির হোসাইন খান।

লাকসাম উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইউনুস ভূইয়া আনারস প্রতীকে ৮৩ হাজার ৭৭ ভোট পেয়ে পুনরায় জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা জাসদের সভাপতি বিকাশ চন্দ্র সাহা দোয়াত-কলম প্রতীকে পেয়েছেন ৬ হাজার ২৩০ ভোট।

মনোহরগঞ্জ উপজেলায় জয়ী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল মান্নান। তিনি ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ৭৭ হাজার ১১ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১১ হাজার ৬১৭ ভোট।

মেঘনা উপজেলায় সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম তাজ আনারস প্রতীকে ১৮ হাজার ৭০০ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা রমিজ উদ্দিন ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ১৫ হাজার ২১০ ভোট।

রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মুনির হোসাইন খান বলেন, কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই কুমিল্লার তিনটি উপজেলায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে।

রাজশাহী

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে রাজশাহীর গোদাগাড়ী ও তানোর উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গোদাগাড়ী উপজেলায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন বেলাল উদ্দীন সোহেল ও তানোর উপজেলায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন লুৎফর হায়দার রশীদ। বুধবার (৮ মে) ভোটগ্রহণ শেষে রাজশাহী জেলার অতিরিক্ত নির্বাচন কর্মকর্তা আজাদুল হেলাল ফলাফল নিশ্চিত করেন।

গোদাগাড়ী উপজেলায় বেলাল উদ্দীন সোহেল দোয়াত-কলম প্রতীকে ৬৭ হাজার ৮৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাহাঙ্গীর আলম কাপ-পিরিচ প্রতীকে ২৪ হাজার ৩২৮ ভোট পেয়েছেন। 

তানোর উপজেলায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন লুৎফর হায়দার রশীদ। তিনি কাপ-পিরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ৪৬ হাজার ৩৯৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুল্লাহ আল-মামুন মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ২০ হাজার ৯৭ ভোট।

নীলফামারী

নীলফামারীর ডোমার ও ডিমলা উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ডোমার উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে সরকার ফারহানা আকতার সুমি টেলিফোন প্রতীকে ৩১ হাজার ৪২১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তোফায়েল আহমেদ আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ২৩ হাজার ১৩৪ ভোট। ফলাফলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ডোমার উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নুর-ই আলম।

ডোমার উপজেলার ৭৫টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তোফায়েল আহমদ আনারস, ডোমার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মনোয়ার হোসেন হেলিকপ্টার, সাধারণ সম্পাদক মনজুরুল হক চৌধুরী কাপ-পিরিচ, কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেত্রী সরকার ফারহানা আখতার সুমি টেলিফোন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আব্দুল মালেক সরকার ঘোড়া, রাকিব আহসান প্রধান কৈ মাছ, মদন মোহন সিংহ পিন্টু মোটরসাইকেল এবং এহছানুল হক দোয়াত-কলম প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

এদিকে ডিমলা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আনোয়ারুল হক সরকার ঘোড়া প্রতীকে ২৭ হাজার ২৯০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফেরদৌস পারভেজ আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ২৬ হাজার ৯১ ভোট। ফলাফলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা শুভ কুমার সরকার।

ডিমলা উপজেলায় ৯৩টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। আব্দুর রহমান মোটরসাইকেল, আনোয়ারুল হক সরকার মিন্টু ঘোড়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা তবিবুল ইসলাম কাপ-পিরিচ, ফেরদৌস পারভেজ আনারস প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

মানিকগঞ্জ

মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলায় মোটরসাইকেল প্রতীকে ৩১ হাজার ৮৪৮ ভোট পেয়ে টানা দুইবারসহ তৃতীয়বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক দেওয়ান সাইদুর রহমান। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দোয়াত-কলম প্রতীকের প্রার্থী মো. সাদ্দাম হোসেন পেয়েছেন ২০ হাজার ১৬৪ ভোট।

সিংগাইর উপজেলায় প্রথমবারের মতো চেয়ারম্যান পদে ৪৭ হাজার ৯৮৮ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কাপ-পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী সায়েদুল ইসলাম। প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকের প্রার্থী আবদুল মাজেদ খান পেয়েছেন ৩৮ হাজার ২১৪ ভোট।

বুধবার (৮ মে) রাতে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ আমিনুর রহমান দুই উপজেলার এই তথ্য জানান।

সিংগাইর উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রথমবার তালা প্রতীকের প্রার্থী ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রমিজ উদ্দিন ৪৫ হাজার ৭৫৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী মাইক প্রতীকের প্রার্থী আবদুস সালাম পেয়েছেন ৩০ হাজার ৬২৯ ভোট।

সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে জেলা মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারা খাতুন হাঁস প্রতীকে ৬৯ হাজার ৬৮১ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত কলসি প্রতীকের প্রার্থী আফরোজা খান লিপি পেয়েছেন ২২ হাজার ৮২৮ ভোট।

হরিরামপুর উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৯ হাজার ১০৪ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন বই প্রতীকের প্রার্থী ও উপজেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক মো. বিল্লাল হোসেন। প্রতিদ্বন্দ্বী চশমা প্রতীকের প্রার্থী মো. মোশাররফ হোসেন পেয়েছেন ১৫ হাজার ১৬৫ ভোট।

সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীমা আক্তার চায়না ফুটবল প্রতীকে ২৯ হাজার ৩৩২ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী হাঁস প্রতীকের প্রার্থী জোসনা বেগম পেয়েছেন ২০ হাজার ৫০১ ভোট।

লক্ষ্মীপুর

লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে শরাফ উদ্দিন আজাদ সোহেল ও কমলনগরে মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। বুধবার (৮ মে) রাত ১২টার দিকে রামগতি উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহবুব রোমান চৌধুরী ও কমলনগর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জায়েদুল ইসলাম চৌধুরী স্ব স্ব কার্যালয় থেকে বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন। 

রামগতিতে শরাফ উদ্দিন আজাদ সোহেল কাপ-পিরিচ প্রতীকে ২৯ হাজার ৬৯৩ ভোট পেয়ে টানা দ্বিতীয়বার চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল ওয়াহেদ দোয়াত-কলম প্রতীকে ১৮ হাজার ৯০৩ ভোট ও রোকেয়া আজাদ আনারস প্রতীকে ২৩ হাজার ৭৪৫ ভোট পেয়েছেন। ওয়াহেদ ও রোকেয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন। এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। 

কমলনগর উপজেলায় খালেদ সাইফুল্লাহ মোটরসাইকেল প্রতীকে ১৮ হাজার ২৩০ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি উপজেলার চরকাদিরা ইউনিয়ন পরিষদের টানা দুইবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বাবুল মিয়া কাপ-পিরিচ প্রতীকে ১৬ হাজার ৮৭১ ভোট এবং বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মেজবাহ উদ্দিন বাপ্পী দোয়াত-কলম প্রতীকে ১৬ হাজার ৫২৯ ভোট পেয়েছেন। 

গাইবান্ধা

গাইবান্ধার দুই উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মোটরসাইকেল প্রতীকের আবু সাঈদ। তিনি ৩০ হাজার ৪৯৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। নিকটমতম প্রতিদ্বন্দ্বী জিএম সেলিম পারভেজ ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ১৩ হাজার ৭৬ ভোট।

সাঘাটায় চেয়ারম্যান পদের তিন প্রার্থীর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেওয়ায় ওই উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অ্যাডভোকেট এস এম সামশীল আরেফিন টিটু নির্বাচিত হয়েছেন।

জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল মুত্তালিব বিজয়ীদের নাম নিশ্চিত করে বলেন, দিনব্যাপী অবাধ ও সুষ্ঠু পরিবেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরে রাত ১১টার দিকে ফুলছড়ি উপজেলা কৃষি অফিসের হল রুমে ও সাঘাটা উপজেলা পরিষদ হলরুমে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ

চাঁপাইনবাবগঞ্জের তিনটি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গোমস্তাপুর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে আশরাফ হোসেন (আলিম) আনারস প্রতীকে ৪০ হাজার ৬২০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ নেতা হুমায়ন রেজা ঘোড়া প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪০ হাজার ৬১ ভোট।

নাচোল উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ঘোড়া প্রতীকে ৩৩ হাজার ৯৯২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ নেতা আবু রেজা মোস্তফা কামাল আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১০ হাজার ৮৭০ ভোট।

ভোলাহাট উপজেলায় সদ্য বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা আনোয়ারুল ইসলাম চিংড়ি মাছ প্রতীকে ১৩ হাজার ৮৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল খালেক কাপ-পিরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ১০ হাজার ৭৬৬ ভোট।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে।

ঝিনাইদহ 

ঝিনাইদহ সদর উপজেলা ও কালীগঞ্জ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন মো. মিজানুর রহমান (মাসুম) । তিনি আনারস প্রতীকে ৫০ হাজার ৭৪৬ ভোট পেয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী দোয়াত-কলম প্রতীকের জে.এম রশিদুল আলম পেয়েছেন ৪৩ হাজার ১৭০ ভোট।

অন্যদিকে কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে শিবলী নোমানী বিজয়ী হয়েছেন। তিনি আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৪২ হাজার ৬৭৫ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মোটরসাইকেল প্রতীকের মতিয়ার রহমান মতি পেয়েছেন ৫ হাজার ৫৭২ ভোট। 

বুধবার (৮ মে) রাতে ঝিনাইদহ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমান বেসরকারিভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করেন।

খাগড়াছড়ি

পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি, রামগড় এবং মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাচনের বেসরকারি ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। জেলার লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার স্থগিত হওয়া দুই কেন্দ্র ব্যাতিত ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। খাগড়াছড়ির জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা কামরুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

বেসরকারি ফলাফলে রামগড়ে বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক বিশ্ব প্রদীপ কুমার কার্বারী আনারস প্রতীকে ১৩ হাজার ৮৪৩ ভোট পেয়ে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের দোয়াত কলম প্রতীকে পেয়েছেন ৮হাজার ৪৪৭ ভোট।

মানিকছড়িতে বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জয়নাল আবেদীন আনারস প্রতীকে ২২ হাজার ৪৬২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম দোয়াত কলম প্রতীকে পেয়েছেন ৬ হাজার ৩৬১ ভোট।

মাটিরাঙ্গা উপজেলায় মো. আবুল কাশেম ভূইয়া কৈ মাছ প্রতীকে ১৯ হাজার ২০৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১০ হাজার ৮২১ ভোট। 

রাঙামাটি

রাঙামাটির চার উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার রাঙামাটি সদর, বরকল, জুরাছড়ি ও কাউখালী উপজেলায় এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। 

রাঙামাটি সদর উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে পাহাড়ের আঞ্চলিক দল পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) সমর্থিত প্রার্থী অন্ন সাধন চাকমা দোয়াত কলম প্রতীকে ১৪ হাজার ৮৮৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী অ্যাডভোকেট বিপ্লব চাকমা উট মার্কায় পেয়েছেন ১০ হাজার ২৯ ভোট।

কাউখালী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থী রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শামসুদ্দোহা চৌধুরী আনারস প্রতীকে ২৩ হাজার ৬৯৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মংসুইউ চৌধুরী ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ১১ হাজার ৫৭৭ ভোট।

বরকল উপজেলা পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) সমর্থিত প্রার্থী বিধান চাকমা দোয়াত কলম প্রতীকে ১১ হাজার ৩২৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী বরকল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সন্তোষ কুমার চাকমা আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৬ হাজার ৬৭৭ ভোট। 

গোপালগঞ্জ

প্রথম ধাপে বুধবার গোপালগঞ্জ জেলার ৫টি উপজেলার মধ্যে ৩টি  উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শান্তিপূর্ণভাবে ওই তিন উপজেলায় ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়। ভোট গননা শেষে রাতে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। 

নির্বাচিতরা হলেন- কোটালীপাড়া উপজেলায় বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাস (দোয়াত-কলম) ৪০ হাজার ২৭১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় মো. বাবুল শেখ ( দোয়াত-কলম) ৪০ হাজার ৭৯২ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী গাজী মাসুদুল হক মাসুদ পেয়েছেন  ১৯ হাজার ৯৫১ ভোট। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায়  স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা  মো. কামরুজ্জামান ভূঁইয়া লুটুল (টেলিফোন) ৩১ হাজার ৩৫৪ ভোট পেয়ে বেসরকারী ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।  

রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফয়জুল মোল্লা এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, কোটালীপাড়া উপজেলায় বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাস, টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় মো. বাবুল শেখ ও গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।